দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
মায়ার ছলনা
আরাধ্য সন্ধ্যার আবছায়ায়, এক নামহারা পাখির মায়াদৃষ্টি–
ছলকে পড়ে ভেতর ঘরে, যেন গঙ্গা শুষে নেয় প্রতিমার শরীর।
সুনিপুণ তালে ছক কাটে হৃদয়ের লেপাপোঁছা মাটির মেঝেতে।
ধূপারতি, উলুধ্বনিতে আমায় তুলে দেয় বাঘবন্দি খেলাঘরে।
নিজেকে হাতড়ে বেড়াই চারিপাশে, খুঁজেই পাই না আমার আমি।
চুক্তি বিহীন, অনানুষ্ঠানিক ভাবেই বেহাত হয়ে যায় হৃদয় ভূমি।
মায়ার ছলনাতে শিকার হয়ে যাই অযাচিত সুখের আবেশে।
সন্তাপের শ্রাবণ নদীটি উড়ে যেতে চায় মায়ামেঘের তরাসে।
নামহারা পাখিটি দৃষ্টিফলা ছুড়ে,
জিতে যায় আমার সীমানায়।
সে যে উড়ে যায়, আমি হেরে যাই বিভ্রান্তির নিরালোক বারান্দায়।
অচেনা প্রিয়
মাঝেমধ্যে খুবই দুর্বোধ্য হয়ে ওঠো
ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, সরল নিয়মের সরলতায়।
চিনতে পারি না জানালার শার্শিতে চিরচেনা আকাশের মতো।
বর্ণ,অক্ষর, সবটাই চেনাজানা তারপরও
পড়তে পারি না সাবলীল উচ্চারণে।
অক্ষরজ্ঞানহীন অবলার কাছে
চায়নিজ মান্দারিন হয়ে যাও কী দারুণ বিন্যাসে।
হিসেব মিলাতে গেলেই অচেনা হয়ে যাও
এলোমেলো হয়ে যাও, পৌষের নরম রোদে রচিত প্রিয় ধারাপাত।
বিরহী ঝংকার তুলে দু’হাত গলে পড়ে যাও খুচরা পয়সার মতো।
ঠিক তখনই মনে করতে পারি না
তুমি কি আমায় প্রথম ডেকেছিলে,
না আমি তোমাকে?
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..