প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
দূরত্ব মাপা হয় নি, বিসর্জন লিখছিলো
অচেনা যুবক, তার চোখে চাষ হয় ঘৃণা
আকাশ দেখে— ভাগ্যের রাহু দোষে
ঘূর্ণায়মান পৃথিবীতে আটকে ফেলি কল্পনায়
ভোরের আকাশটিও রোজ চুরি হয় বেখেয়ালে
কিছু শব্দ চাষে তাদের কথা বলেছি বহুবার
আগুন পোহানো শীতকাল যেন মেহমান
মূর্ছনায় রেখে দিচ্ছি গোপনীয় বুনো ঘ্রাণ
বনেদী শব্দের কাছে কান পাতি প্রসন্ন সময়ে।
মেঘের কাছে ঋণ, মেঘপত্র লিখছি অবকাশে
ভ্রান্ত সময়ে উড়ে যায় অমূল্য নিদর্শন
বেদুইন সমাজ ছুটে চলে উপত্যকায়
রেখে দিচ্ছি ক্ষত— শরীর জানে না পরিণতি
আগত দৃশ্যে কেবল ভাসে প্রিয় মানুষের মুখ।
মাপকাঠি নেই— অচেনা শব্দের কাছে নতজানু
হয়ে ক্লান্ত। ছিঁড়ে ফেলেছি মিথ্যে অর্গল,
নীলচে প্রাচীর টেনে থেমে যায় চুপিসারে
দূরত্ব মাপা হলে বেরিয়ে আসে জীর্ণশীর্ণ মুখ।
থেমে যায়। কিছু শব্দের কাছে থেমে যায় দূরত্বের কানাকানি, ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি শুরুর আদি বিন্দুগুলো। ভোরের কাছে বখাটে কিছু ঋণ। থমকে যায় আনন্দের যত উপলক্ষ। লক্ষ্যহীন সময়ে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি কাল্পনিক যত রাজ্যপাট। রক্ষিত সময়টুকু ভুল সময়ের কোরাস গায়। আনন্দের কাছে গিয়ে থমকে যায় হৃৎস্পন্দন।
ভুল সময়ের কাছে, ভুল স্মৃতি চারণে কেটে যায় সময়, নির্বাক সময়টুকু কথা বলে অবচেতনে। ভ্রান্তি ছড়িয়ে থমকে যায় পাপপূর্ণ জীবনের হিসাব নিকাশ। নিজেকে নিয়ে কাটছে সময়, অতিথি হয়ে ফিরে আসি নিজের ছায়ার কাছে। উইন্ড চাইমে মৃদু বাতাস এসে জানান দেয় সময়ের সকল সূত্রের মারপ্যাঁচ।
ছুঁড়ে দিচ্ছি পাপের সূত্র। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, প্রচলিত কিছু কুসংস্কারকে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থমকে যায় সকল গোপন অভিসন্ধি। নিজেকে আবিষ্কার শেষে অপঠিত থেকে যায় অনেক অধ্যায়, সত্যের বিনির্মাণে কেটে যায় উড্ডীন সময়ের অচ্ছুত চোরাবালি। আমারদের জন্য অন্ধকার পথ, কর্দমাক্ত যাত্রা, পিচ্ছিল আহ্বান।
অন্ধকার খুব কাছে এলে নিজেকে বিজয়ী মনে হয়। গান ভেসে আসে অচেনা, শূন্যস্থান থেকে। ভুলের মাত্রায় এখনো জেগে থাকে প্রান্তিক দুঃখের চাষবাস। হেসে ওঠে তারা, জ্বলছে নক্ষত্র, পুড়ে যায় আগুনের জীবন, ব্যর্থতার মাশুল আর অপেক্ষার প্রহর গুণে নামতা শিখছি রোজ।
মূর্ছনায় কেটে যায় নিযুত সময়
কাটাকুটিতে কাটছে ব্যস্ত জীবন,
ভুলের গলি পেরিয়ে দেখি ধানক্ষেত
জীবন কারাবন্দী পাখি-
মুক্ত আকাশ পর হতে হতে ক্লান্ত
সীমারেখা টেনে থেমে যায় নীল চোখ,
নদীপথ ধুঁকছে নাব্যতা হারিয়ে
বিভ্রান্ত জীবন ডাকে দূরের বিন্যাসে।
থেমে যাবার আগমুহূর্তের রূপকথা…
ব্যর্থ জানালায় প্রেমিকের শিস বাজে,
পাখিরা মৌনব্রত শেষে গেছে উড়ে
মায়াবী সময় কথার ফানুস যেন
দিকভ্রান্ত সময়ের সালতামামি আঁকছি।
নেশায় ব্যস্ত চোখ, সৌন্দর্য দেখে ক্লান্ত,
অবশিষ্ট থাকে দীর্ঘ ঘুমের ভূমিকা
নির্যাস শেষে অপেক্ষমাণ ঘুড়ি জীবন
ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি ক্ষত সময়ের প্রলেপ
নিজেকে আড়াল করছি দু’চোখের
নির্যাস সময় ব্যস্ত আত্মকথোপকথনে
ছুটে যাওয়া সময়কে হাতড়ে ফিরি।
অথচ জীবন প্রবহমান নদী-
কেবল; পাড় ভাঙার কথা ভেসে আসে
জোয়ার ভাটার গল্পটি বড্ড অচ্ছুৎ
দিনান্তের সুর থেমে যায়-
দূরের সিগন্যাল জানান দেয়
অপরিপক্ব শূন্যতার-
নিজের জন্য উড়িয়ে দিচ্ছি কল্পনা
ঘড়ির কাটায়, দেয়ালের পলেস্তারায়
অনুভব মুছে যাচ্ছে ভিন্ন আবেশে।
ছিঁড়ে যাচ্ছে সুতো, খসে পড়ছে সম্পর্ক
তড়িৎ আবেশে ঝরে যাচ্ছে চোখ, মুখ
নীল পৃথিবী ক্রমাগত নীলচে হচ্ছে
বিষাক্ত সময় সময় ফেরি করছি অবেলায়
অবহেলার সব আঙুল নেচে ওঠে—
দীর্ঘদিনের অবসানে ক্লান্তিময় যাত্রার
শুরু লিখি, বিভ্রমে কাটছে জীবন
যাপন চিত্রে কোমল স্বপ্ন হাসে
ভুলের জন্ম তিথিতে বাজে মাদল
ঋণের হিসাব নিয়ে ক্ষয়ে যায় নক্ষত্র
পৃথিবীকে বেচে দিচ্ছি ঘুমের নিলামে
আহত মানচিত্রে মানুষ দাঁড়িয়ে
অবহেলার হেমলক পান করে-
দুদিনের পৃথিবীতে এখন উৎযাপনও
আঁকা হয় সবার অলক্ষ্যে, নিভৃতে
পরাজিতদের মিছিলে বিজয়ীকেও
মনে হয় সব হারানো আহত যোদ্ধা।
(উৎসর্গঃ অর্পিতা চ্যাটার্জী)
এভাবেও নিঃসঙ্গতার পথ পাড়ি দেওয়া যায়!
নিজের জন্য রাখো নি একফোঁটা মুহূর্ত
জীবনকে উড়িয়েছো রঙচটা আবেশে
সময়গুলো সাদাকালো, ফ্যাকাসে আলোয়
দেখে নিই পৃথিবীর অযুত রঙ
সঙগুলো সামনে এসে দাঁড়ায়,
প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে দৌড়ে পালায়
মাইম শিল্পীর মতো স্ট্যাচু হয়ে
চোখ দিয়ে মেপে নিচ্ছে তোমাকে
আর, অজান্তে লিখছে মায়াকাব্য
ক্রমাগত শব্দগুলো উড়ে যাচ্ছে
এক শহর থেকে অন্য শহরে
নীরবতা ভাঙছে-
উড্ডীন সময় দেখছি-
ঘোর জাগানিয়া চোখ…
কেবল দৌড়ে চলে যায় সামনে
সমানে লুকোচুরি খেলায় ব্যস্ত
ভাঙাগড়ার খেলায় হারছে
নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে একদিন
হারিয়ে যাবে হরপ্পা সভ্যতায়
ইতিহাসও ক্লান্তিকর যাত্রায় লিখবে
প্রেম আর ভালোবাসার গোপন সূত্রগুলো।
অথচ, পাঠহীন, পাঠকহীন সময়
হা করে থাকবে সবটা গিলবার জন্য।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..