লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
অজ্ঞতা
একদিন তোমাকে জানতাম
সংশয় বা দ্বিধার পরিণাম
অন্যকিছু বুঝতাম না;
বেহদ্দ বিশ্বাসে আটখানা
দৃষ্টির নির্বিকার চেতনা
জীবন-যাপনের চারদিকে
অর্ধেক ঝুলে থাকে
এখন সবকিছুই বুঝি
অথচ তোমাকেই জানতে পারি না
কাকতাড়ুয়ার পদাবলীর মত
সময়ের সিঁড়ি ভেঙ্গে
কাকতাড়ুয়ার নিয়তি
গালে হাত দিয়ে বসে রয়
একাকী, নিসর্গ নগরীময়
প্রবল ডুবে যায়
ভয়ার্ত লুকায়
অক্ষরবৃত্তের আল্লখেল্লায়
অথচ খেয়ালের স্মৃতিগুলো
কাফকার সময় ঠেলে
চিলেকোঠা ফুড়ে মিশে যায়
পরিশুদ্ধতার নীলিমায়
ভেসে যায় মেঘেদের জলে
বিষাদের জয়নুলী কাক
ঠোকরায়
প্রস্থানের ডাস্টবিন
ভালোলাগা খুঁজে
হারানো আরব্যরজনীর সাঁঝে
দৃষ্টি বিনিময়ের প্রাচীন হাওয়ায়
ধীরে ধীরে
জীবন যাপনে গেঁথে যায়
অলৌকিক প্রতীক্ষা
ভালোলাগার টেরাকোটায়
আর
ঘূনে ধরা পূর্ণিমায়
থৈ থৈ ভেসে রয়
দৃষ্টির দু’তীর ব্যাপে
বিশ্বাসী অবয়ব
ভালোবাসার অস্তিত্বময়
আফসানা
(কাকন রেজা-বন্ধুবরেষু)
আফসানাকে ভুলে গেছি-
যেমন অবিনাশী
বৃষ্টিরা মেঘকে ভুলে যায়;
স্মৃতির দোরগোরায়-
আফসানার তুমুল তোলপাড়,
আফসানাতেই ভালোলাগাটুকু
করি উদ্ধার।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..