বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
তখনও নিয়ম মাফিক রোদ উঠতো বালির চড়ে
সূর্যের সাথে বনিবনা ছিলোনা কোনোকালেই,
গ্রহণের কাঁধে ভর দিয়ে দিনলিপি লেখা হতো।
এক সূর্য গেলে…এক সূর্য এলে , নতুন করে সূর্যদয়, সুখী গৃহকোণে।
আজ সূর্য দ্রাঘিমা বরাবর…
আমি সুড়ঙ্গ বেয়ে রাত্রি যাপন করি,
কালরাত্রি আমার সহচর।
আমি খুলছি পথিক-
খুলছি আমার বাহারি পোশাক।
কিন্তু তারপর?… কোন পোশাক?… কোন
ঠিকানা?… কোন আসন?
আমি ছিঁড়ে ফেলছি আমার ময়ূরপুচ্ছ…
আমার খোঁপার বেলফুল, গলার রত্নহার,
রতনচূড়, কোমড় বন্ধন….।
এই বার আমি নিরাভরণ,
তবে দাও! আমার একমাত্র আসল পোশাক,
মাথার বালিশ, প্রিয় আটপৌরে ময়নাটিকে!
যে আমায় একবার…অন্তত একবার–
জুরি বিবেচনায় ভূষিত আর্ট ফিল্ম না দেখিয়ে,
সূর্যাস্তের পর, তপ্ত বালিতে ফোটাবে এযাবৎ
জমে থাকা আধফোটা খইয়ের ধান।
ধাপে ধাপে প্রত্যাবর্তন….
পুরনো অসুখ, চেনা উপসর্গ,
আমি কেমন গুছিয়ে নিচ্ছি শোক, মুঠোবন্দী করে,
শুকনো রেটিনার কোণে, পোড়া গন্ধ।
চামরা পোড়া, পরিত্যক্ত পোশাক আশাক।
আজকাল আর বৃষ্টি নামেনা চোয়াল বেয়ে..
বরং তুমুল অসুস্থ ঘর খুঁজে পায়, মায়ের তৈরি কমপ্লান আর হাফ বয়েল ডিম।
আমিও কেমন গুছিয়ে নিচ্ছি ঘর,
শুকনো পাতা আর ধুলোর মিশেল ঝাড়ু দিয়ে ফেলে।
আমিও কেমন গুছিয়ে নিচ্ছি বুক–
নিয়তির গায়ে জল বসন্ত…
বাঁ পাশের ব্যালকোনিটার গায়ে!
এক জোড়া সবুজ ঢলঢলে কিশলয়।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..