ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
আদম গ্রামের ছেলে। কিন্তু বাবার চাকরীসূত্রে সে কোন্নগরে কয়েক বছর ছিল। শহরের আদব কায়দা শিখে নিয়েছিল ভালভাবে। গ্রাজুয়েশন হয়ে যাবার পর সে গ্রামে বেকারের দলে নাম লেখাল। কয়েক মাস পর থেকে সে প্রাইভেট টিউটর হিসাবে বাড়ি বাড়ি পড়াতে যেতে শুরু করলো। বেশিরভাগ দেখা যায় ছেলেরা টিউটোরিয়াল হোমে পড়তে যায়। গ্রামের মেয়েরা সচারাচর পড়তে না গিয়ে বাড়িতে প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়াশোনা করে। আর আদম সরল, সাদাসিধা ধরণের। তাকে সবাই বিশ্বাসও করে।আদমের বন্ধু কানাই বলে, সাবধান আদম। যেখানে বিশ্বাসের বাস সেখানেই যত অবিশ্বাস । সহজে গলে যেও না। আপন ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে চলবি।
তার স্কুলের মাষ্টারমশাই দীনেশবাবু। এই মাষ্টারমশাইকে ভুলতে পারে না সে। তার মা দীনেশবাবুর গল্প মাঝে মাঝে করত তাের কাছে। তিনি বলতেন, মাষ্টারমশাই দীনেশবাবু সাদাসিধা মনের মানুষ। একটা সাধারণ প্যান্ট জামা পরে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ট্রেনে তার নিত্য যাওয়া আসা। ট্রেনে যাওয়ার সময় অনেক বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ হয়। তারা হাসি মস্করায় ব্যস্ত থাকে। দীনেশবাবু নিজে জানালার এক কোণে বই নিয়ে বসে পড়েন। তিনি নিজেও অনেক বই লিখেছেন। কলকাতার নামীদামী প্রকাশনা থেকে তাঁর লেখা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে তার কোনো অহংকার নেই। ছাত্র ছাত্রীদের কি করে ভালভাবে প্রকৃত মানুষের মত মানুষ করা যায়, এই নিয়ে তাঁর চিন্তা। শিক্ষকতা শুধু পেশা নয় তার সঙ্গে মিশে থাকে বাড়তি দায়ীত্ববোধ। তিনি এইকথা ভাবেন মনে মনে। কি করে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করা যায়, এই নিয়েই দিনরাত চিন্তাভাবনা করেন। স্কুলে পৌঁছান। ঘন্টা পড়ে প্রার্থনা সভার। জাতীয় সংগীত শেষ হওয়ার পরে শুরু হয় ক্লাস। ক্লাসে গিয়ে তিনি কোনোদিন চেয়ারে বসেন না। ছাত্রদের কাছে গিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। পড়াশোনার কাজে সাহায্য করেন। স্টাফরুমে বসেন। তারপর কুশল বিনিময়ের পরে তিনি চলে যান ক্লাসে। কোন ক্লাস ফাঁকা আছে রুটিন দেখলেই জানতে পারেন। কোনো শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলেই তাঁর ক্লাসে চলে যান নিয়মিত। টিফিনে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটান। সদাহাস্যময় দীনেশবাবু নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। স্কুল থেকে ফেরার পরে নিজের লেখা নিয়ে বসেন। কোনোদিন ভাষাসদনে যান। সেখানে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান। তারপর বাজার সেরে বাড়িতে ঢোকেন।
পরেশের মা বলেন, ভাল লোকের কোন পারফিউম লাগে না। তাদের গা থেকে আপনা আপনি চন্দনের সুগন্ধ পাওয়া যায়।
তার মা আরও বলেন, ভরা কলসি টগবগ করে না।
জ্ঞানী লোক কথা কম বলেন। তাঁরা প্রচারবিমুখ হন। দীনেশবাবু এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কথা কম বলেন কিন্তু কর্মি লোক। লোকের ভাল ছাড়া মন্দ ভাবেন না কোনোদিন। তাঁর স্বভাব দেখলেই সকলের ভাল লেগে যায়। দীনুবাবুও এই ধরণের লোক। দীনেশবাবুকে পরেশের মা আদর করে দীনুবাবু বলেন।
তিনি সকালে নিমকাঠির দাঁতন ব্যবহার করেন। জনশ্রুতি আছে, বারোবছর নিমকাঠির ব্যবহারে মুখে চন্দনকাঠের সুবাস হয়। কথা বললেই নাকি চন্দনের সুবাস বেরোয়। শুনে অনেকে নিমকাঠির ব্যবহার করেন। কিন্তু পরেশের মা বলতেন, শুধু নিমকাঠির ব্যবহার নয়, তার সঙ্গে মানুষকে ভালবাসতে হয়। কারও অমঙ্গল কামনা করতে নেই। মিথ্যা কথা বলতে নেই। তাহলেই মানুষের মুখে সুগন্ধ হয়। এমনকি দেহের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। মানুষ তো দেবতার আর এক রূপ।
দীনেশবাবু ছুটির দিনগুলোতে ফুটপাতের অসহায় লোকগুলোর জন্য হোটেল থেক ভাত তরকারি কিনে, প্যাকেটে ভরে তাদের হাতে দেন। তাঁর ইচ্ছে আছে গরীব লোকগুলোকে প্রত্যেকদিন একমুঠো করে মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার।
তিনি সংসারী লোক। তাই এগোতে হবে ধীরে ধীরে।তিনি জানেন, এসব কাজে সবদিক চিন্তাভাবনা করে এগোতে হয়। তিনি ভাবেন, সামাজিক, আর্থিক, আইনগত সমস্ত দিক দেখে তবেই কাজে নামা প্রয়োজন।
একদিন সকাল সকাল দীনেশবাবু ছেলেকে ডেকে তুললেন ঘুম থেকে। ছেলেকে বললেন, পড়তে বোসো বাবু। সকালে পড়া মুখস্থ হয় ভাল। ছেলে বলে, বাবা তোমার মুখ থেকে চন্দনের সুন্দর গন্ধ পাচ্ছি ।
দীনেশবাবু বলেন, ও তাই নাকি? তোমার মুখেও তে সুন্দর গন্ধ।
রাস্তায়, স্কুলে যেখানেই দীনেশবাবু যাচ্ছেন সকলের মুখেই এক কথা,দীনুবাবু আর একটু কথা বলুন। আপনার মুখে চন্দনের সুবাস। বসুন বসুন। সকলের আদরে তিনি নিজেও যেন চন্দনের সুবাস অনুভব
করছেন। আদরের আতিশয্যে তিনি খুশি।
একটি শিশু দৌড়ে তাঁর কাছে এল চন্দনের সুবাস নিয়ে। দীনুবাবু শিশুটির কপালে একটা চন্দন সুবাসের চুমু এঁকে দিলেন সস্নেহে। পরেশের মা বার বার এই গল্প শোনান। কারণ দীনুবাবুর বাড়ি পরেশের পাড়াতে। তাই পরেশের মা সব জানেন।
পরেশ কিন্তু দীনুবাবু হতে পারে না। তার ব্যক্তিত্ব কম। দীনুবাবুর মত লোক মহাপুরুষ। সে জানে। তাই মনে মনে মাষ্টারমশাইকে প্রণাম জানায় পরেশ।
তবু একটা বাড়িতে পড়াতে গিয়ে সে চুপ করে বসে থাকত । তার ভাল লাগত না।
বেশি গল্পগুজব ছাত্রীর সাথে করত না। মিনা পড়ত তার কাছে। সেই প্রথম ছাত্রী । বেশ সুন্দরী। ক্লাস টুয়েলভ এ পড়ে। বাড়িতে মিনার বাবা, মা আর একটা ভাই থাকে নীচতলায়। আর দোতলায় মিনা আর পরেশ পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। চা দেয় মিনার মা। মিনার বাবা প্রয়োজনে ওপরে আসেন। তিনি একদিন বললেন, পরেশ অত চুপচাপ কেন? কোন লজ্জা করবে না। তোমার নিজের বাড়ি মনে করে পড়াবে। দেখবে আর লজ্জা লাগবে না। পরেশ তাই করে। একটা দুটো বাইরের কথা বলে। মিনা শোনে। এইভাবে একমাস হয়ে যায়। মাইনে পায় না পরেশ। তবু পড়ায়। আরও দুটো টিউশন ধরেছে সে। তারা দুজনেই কলেজের মেয়ে। পরেশ পড়াতে ভাল পারে না। সে স্বীকার করে নেয় আগেই। তবু অভিভাবকরা বলেন, আমরা তো কিছুই জানি না। তুমি বাংলা, ইংরাজীটা একটু দেখিয়ে দেবে। গ্রামের ছেলে, একটু উপকার না হয় করেই দিলে বাবা। পরেশ না করতে পারে না। আর সে তো বেকার ছেলে। লোকের ফাই ফরমাশি খাটাই তার কাজ।
মিনার মা পরেশের সঙ্গে খুব কথা বলে। মিনা বিরক্ত হয়। তবু কথা বলে যায় মিনার মা। মিনা পড়তে বসার আগেই মিনার মা বসে থাকত। একদিন পরেশকে বলল, আমার বয়স তিরিশ। পরেশ বলল, ও আচ্ছা । মনে মনে ভাবলো, পঁয়ত্রিশ ও হতে পারে। তবে দেখলে মনে হয় পঁচিশ। বেশ সেজেগুজে ম্যাক্সি পরে থাকে। মিনার মা বলল, তুমি শহরে ছিলে, তবু এত বোকা কেন? আমরা তো বন্ধু হতে পারি। পরেশ ভাবল, এর সঙ্গে জমবে ভাল। মাল একদম রেডি। পরাণের পান্তুয়া। তবু মুখোশের আড়ালে বলল, নিশ্চয়, নিশ্চয়। মিনার মা বলল, কি নিশ্চয়। হাত টেনে কাছে বসিয়ে বলল, মিনা বাথরুমে গেছে। দেরি হবে। এখন বোসো। গল্প করি। এই বলে মিনার মা ুউরু তুলে বসল আনমনে। পরেশ দেখল, ম্যাক্সির তলা দিয়ে জংলা নদী দেখা যাচ্ছে। অনেকটা চেরা। পা ফাঁক করাতে বাদামের মত একটা অংশ দেখা যাচ্ছে। সে শুনেছে, এই ফুটোর নেশায় জমিদাররা বিঘে বিঘে জমি ঢুকিয়ে দিয়েছে এই ফুটোয় ।
অপরিষ্কার, কালো, অদ্ভুত । এই প্রথম তার জংলা নদীদর্শন। গা টা রি রি করে উঠল। হাতটা নিশপিশ করতে লাগলো। মিনার মা আনমনে পিয়ারা খাচ্ছে আর বাঁ হাতটা পরেশের লুঙ্গির তলা দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। পরেশ আর কোন দ্বিধা না করে ম্যাক্সির তলা দিয়ে নদীর কিনারা বরাবর ঘুরতে থাকল। তার আঙুলে বন বাদাড় পরখ করতে করতে জলে পরল সটান। আঙুল চালিয়ে দিল গভীরে। মিনার মা চেপে ধরেছে পরেশের আট ইঞ্চি র লিঙ্গের মোটা বাঁট । পরেশ বেশ রসিয়ে চারটে আঙুল চালিয়ে দিল। বেমালুম কৃষ্ঞগহ্বরে ঢুকে গেলো মন। রস গড়াল দাবনা বেয়ে শীতের সকালে। পাক দিলেই যেন নলেন গুড় হবে । গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ব’সে দুজনে। কারো খেয়াল নেই, তারা ঘরে আছে। মিনা হঠাৎ এসে চেঁচিয়ে বলল, মা নিচে যাও, ভাই ডাকছে। মিনার মা পালিয়ে বাঁচলো। মিনা মরিয়া হয়ে পরেশকে বললো, এই অঙ্কটা করে দিন। পরেশ আঙুল নিয়ে ব্যস্ত। কোথায় লুকোবে। তার কামের রেশ কাটেনি। মিনাকে দেখে তার জেদ চেপে গেলো। মিনা তার মায়ের কামে কাতর রূপ দেখে মরিয়া। মেয়েরা মনের কথা বুঝতে পারে দ্রুত।
কিন্তু পরেশ না চাইলেও ভেজা আঙুল অজান্তে চলে গেলো মিনার প্যান্টির পাশ গলে কচি মাংসপিন্ডের গর্তে। আওয়াজ হতেই পরেশ সাবধান হয়ে বসলো। মিনার মা চা দিয়ে গেল। মিনাকে বলল, ভালো করে মন দিয়ে পড়। পরীক্ষা সামনে তোমার।
চা খেতে খেতে পরেশ মিনার মুখের দিকে তাকাল।মিনার পরীক্ষা চলছে যোনীর ভিতরে। আঙুলের যাদু চলছে হৃদয়জুড়ে। এ পরীক্ষায় সে কি পাশ করবে? পরেশকে আকুল চোখে দেখে মিনা।
জানালার বাইরে তখন সূর্যের রোদ প্রখর রূপে দেখা দিয়েছে।
মিনা পরেশের প্রথম পরশে শিহরিত হয়ে উঠেছিল। সময়ে অসময়ে সে অইদৃশ্য কল্পনা করত। এই অনুভূতি আনার জন্য পরেশ দায়ী হয়ে রইল। এখন মিনা জোয়ারের সময় নিরাপদ নৌকোর দাঁড় খোঁজে। একমাত্র পরেশ পারে বাইতে সে নাও।
পরেশ সকালে মিনাকে সাড়ে ন টা অবধি পড়িয়ে চলে যেত চুমকির বাড়ি। প্রতিদিন সে কলেজ যেতে চাইত না। পরেশ চুমকিকে পড়াত না। চুমকির মা বলেছিল, পরেশ আমার মেয়েকে একটু দরখাস্ত লেখা বা ইংরাজীটা একটু দেখিয়ে দিও। তারপর আমাদের বাড়িতে জলখাবার খাবে। তোমার সময়ও কাটবে। পরেশ বলত, আমি তো টীচার নই। কোনোদিন কলেজ স্টুডেন্ট পড়াই নি। বি,এ পাশ বলে অনেকে পড়া দেখিয়ে নেয়। বিনয়ে নিচু হয় সে।
চুমকির মা বলে, তুমি অত বিনয় দেখিও না তো। এস আমাদের বাড়ি যখন সময় পাবে চলে এস।
তাই পরেশ যেত চুমকির বাড়ি। শীতকালে ছাদে বসত। চুমকি চাদরের আড়ালে বই রেখে মাথা নিচু করে থাকত। পরেশ বলত, কই দেখাও?
চুমকি বলত, কি দেখাব? তুমি দেখাও।
—পড়বে না। কই একটা দরখাস্ত লেখ তো।
— ভাল লাগে না। মা বলুক। তুমি একটা গল্প বল না পরেশদা। কেউ জানতে পারবে না।
— কি গল্প রে?
—অই যে মিনাকে পড়াও। কখন যাও। কি পড়াও এইসব।প্রেম করো নাকি ওর সঙ্গে।
— তুই তো সব জানিস। প্রেম মানে ইয়ের প্রেম বুঝিস।
— জানি তো। মিনা আমাকে সব বলে। এইরকম প্রেম আমারও ভাল লাগে। বিয়ে করা প্রেম ভাল নয়।
—এই মেরেছে, কি বলে রে মেয়ে। অবশ্য আমিও বিয়েতে বিশ্বাসি নই। আমাকে ব্যবহার করলে করতে পারো। আমি রাজি। কিন্তু ফাঁদে পরে কাঁদতে রাজী নই।
চুমকি চুপ করে থাকে। হঠাৎ পরেশের আঙুল ধরে বলে, তোমার আঙুলগুলো কি বড় আর মোটা। একদম ভরপুর লেবেল। পরেশ ভাবে, যাক শালা লিঙ্গ দেখিস নি, তাই রক্ষে।
পরেশের বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে। তাহলে কি সব জানে। আবার ভাবে মরুক গো। জানলে কি হবে কি। সব জালি মাল। এ হয়ত তাই। চুমকি ভাবে, শালা আঙুল অবধি থাক। তোর ওটা ঢোকাবো না। কেলেংকারি হবে।
চুমকি ইয়ার্কি মারে পরেশের সঙ্গে। লুঙ্গির ওপর দিয়ে খামচে ধরে। বলে, শালা মাগুরমাছ । পরেশের লিঙ্গ খাড়া হয় কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিজের পরিচিত এলাকা। এখানে নোংরা ছড়ালে কেউ ছাড়বে না। মহাপুরুষের বাণি মনে পড়ে, ‘ভালো ছাড়া মন্দ করলে কেউ কিন্তু ছাড়বে না।’
তারপর হঠাৎ একদিন পরেশের কোলে বসে মিনা। বড় পাছার মাংসল পরশ । পরেশ বলে, কেউ দেখে ফেলবে। চুমকি বলে ছাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ আসবে না। পরেশ সুযোগ পেয়ে গেল। সে ভাবে, সুযোগ বার বার আসে না। ভাবাও যা আর কাজ শুরুও হয়ে যায়, আঙুলের। পরেশ আর কিছু জানে না। ডান হাতের আঙুল বাড়িয়ে দেয় চুমকির জাঙের ভেতরে। চুমকি পা দিয়ে চেপে ধরে, কেঁপে কেঁপে ওঠে, পরেশের চোখের আড়ালে। যোনীর এত রস, কোথা থেকে আসে, অবাক হয় পরেশ। তারও জাঙ্গিয়া ভিজে যায় কামরসে।
ব্যস লাইন ক্লিয়ার, পরেশ ভাবে। এবার গিয়ে কাজ হবে শুধু গল্প আর গল্প। সে ভাবে, আমি টাকা পয়সা নিই না। সুতরাং বেইমানি এটা নয়। আমি জোর করি না। ধর্ষণ করি না কোনোদিন করব না। ওরা যেভাবে চালায় আমাকে সেইভাবে আমি চলি। ওরা আমাকে ব্যবহার করে। আমি ওদের কাছে একটা সেক্স টয় ছাড়া কিছুই নয়। একটা পদার্থ। না অপদার্থ। যা হোক, কিছু বটে।
এটা পাপ বলে আমি মনে করি না। পরেশ নিজের মনের কাছে পরিষ্কার হতে চায়। সে পরিষ্কার। একদিন চুমকির মা বলল, এই বইটা পড়বে আড়ালে। কাউকে বলবে না। আমি দিয়েছি, কেউ যেন জানতে না পারে।
পরেশ আড়ালে বনে বইটা পড়েছিল। পড়তে পড়তে দুবার হস্তমৈথুন করেছিল। সে ভাবছিল, কি করে একজন মহিলা এই বই দিতে পারে। কেন দিল। সামন্য বুদ্ধিতে ধরা পড়েনি মহিলার মন। তা না হলে অনেককিছু হতে পারত। পরেশ ভাবে, না এই মহিলাকে এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি লোভ পাপের কারণ।
এই মহিলাকে এড়িয়ে চুমকির টানে চোখবুজে ছাদে চলে যেত চাঁদ ধরতে। পরেশ কোনোদিন প্রেম কি পদার্থ কোনোদিন জানতে পারে নি। এক শীতের সকালে চুমকি পরেশের গোপন অঙ্গে হাত দিয়ে বলেছিল, কি সুন্দর।
পরেশ বলেছিল, তোরটা দেখি।
— না, বিয়ের পরে দেখবে। তোমার বৌকে ল্যাংটো করে দেখবে।
—- কে বিয়ে করবে? তোকে যদি ল্যাংটো করে জংলা নদীটা দেখি।
—- সে আবারবকি। যে হোক কেউ তো বিয়ে করবে। তখন নদী কেন সাগরও দেখো।
— কেন, তুই বিয়ে করবি না? তোর গরম যোনীর প্রেমে পড়ে গেছি।
— এইসব বলতে নেই। আমি আর একজনকে ভালোবাসি। সে বড়লোকের ছেলে। তুমি শুধু একবার করে মজা দেবে। আর কিছু না।
পরেশের মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। সে জেনে গিয়েছিলো, খারাপ, গরীব ছেলের সাথে কেউ বিয়ে করবে না। এইসব দেহের খিদে মেটানের কাজ করতে পারে কিন্তু বিয়ে নয়। বিয়ে করার জন্য অন্য গুণের প্রয়োজন। মনটা ঘষটা খেতে খেতে ঘেঁটা পড়ে গেছিল। আর কোনো কথায় মনে বাজে না।
তারপর থেকে পরেশ কেমন যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছিল। মহিলা মহলে সে একজন প্লে বয়ের ছবি বয়ে বেড়াত। আর কিছু নয়। তার বদলে একটা মাছ ভাজা বা একবাটি মুড়ি জুটে যেত কোন কোনদিন। পরেশ এইভাবে অনেক মেয়ের দেহ জয় করেছে কিন্তু মন নয়। মিনাদের বাড়িতে একদিন বেড়াতে এল মিনার মামার মেয়ে অতসী। দারুণ দেখতে। পাড়ার সব ছেলেরা অতসীর পেছনে ঘুরঘুর করে কিন্তু পরেশ জানে তাকে ঘুরতে হবে না। মেয়েরাই মেয়েদের জুটিয়ে দেয় ক্ষণিকের নাগর। এ মানতে না পারলে সংসার অসার হয়ে যায়।
পরেশ পাঁচদিন পরে মিনাদের বাড়ি গেল। দোতলায় উঠে খাটে বসল। নিচে সবাই গল্প করছে। ওপরে মিতা আর পরেশ। মিতা তলায় কিছু পরে নি। পরেশ শুরু করল কাজ। আজ আর কেউ নেই। চাদরের ফাঁকে চলছে আঙুলের কারসাজি। কখন যে অতসী এসে পাশে বসেছে জানতে পারে নি মিনা। চমকে উঠে বলে, কখন এলি অতসী। অতসী বলল, তোর মনটা কোথায় ছিল। মিনা কথা ঘুরিয়ে বলল, পরেশদাকে চিনিস?
অতসী বলল, নাম শুনেছি।
পরেশ বলল, তোর বাড়ি কোথায়?
— রাউন্দী
— ও, মিনা তোর কে হয়?
— পিসির মেয়ে।
অতসী বলল, মিনা কোথায় গেল।
পরেশ বলল, বস, ও এখনি আসবে।
অতসী পরেশের সামনে উবু হয়ে শুয়ে পড়লো। পরেশ হাত বাড়িয়ে প্রথমে পাছায় হাত বুলিয়ে দিল। অতসী হাসল। তারপর সরিয়ে দিল। পরেশের অভ্যস্ত হাত আবার হাত বোলাতে শুরু করল। অতসী আর কিছু বলল না। তারপর আনাড়ির মত ভুলক্রমে কামের আবেশে পরেশ এক ঠেলায় মধ্যমা ঢুকিয়ে দিল অতসীর যোনীতে। অতসী, আঃ, করে চেঁচিয়ে উঠলো। পরেশ একটু থেমে আঙুল ঘুরিয়ে, আপ, ডাউন করে ভেজা আঙুল বের করল। অতসী ছুটে বেরিয়ে গেল।
পরেরদিন ভাঙা মন্দির বাড়িতে মেয়েদের মাঝে ডাক পরলো পরেশের। পরেশ গিয়ে দেখল, মিনা হাসছে। বলছে, তোমাকে জুতো মারতে হয়। পরেশ বলল,কেন? মিনা বলল,অতসীর ওখানে রক্ত পড়ছে, অত জোরে ঢোকালে আঙুল,যোনী ফেটে যাবে না। নরম জায়গা। এবার ও যদি আমার মাকে বলে দেয়? কি হবে বলো? পরেশ বলল,অন্যায় হয়ে গেছে তুই ম্যানেজ করে দে। চ এখন ওপরে যাবি? এখন কেউ নেই। মিনা দেখলো, বোকাচোদা, হাটে হাঁড়ি ভাঙবে।
মিনা বলল,এখন পড়ব না, যাও,শালা ঢ্যামনা।
মেয়েরা সকলে, হি হি করে হেসে উঠলো। যাবার আগে অতসী পরেশকে বলেছিলো, আমার ভালো লাগছিল কিন্তু তুমি অত জোরে না ঢোকালেই পারতে। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর একদিন থাকলে তোমার সঙ্গে প্রথম একবার করতাম। বিয়ের আগে প্রাকটিস হত একবার। পরেশ বলল, আচ্ছা সব মেয়েরা এরকম হয়। অতসী বলেছিলো, আর তোমাদের মত ছেলেদের ঢ্যামনা মি টা কিছু নয়? পরেশ বলেছিলো, ঠিক, মেয়েদেরও স্বাধীনতা থাকা উচিত। ঠিক বলেছ তুমি।
পরেশ চলে এলো ম্লান মুখে। আর কোনোদিন অতসীকে দেখে নি পরেশ। অতসী আর আসে নি। পরেশ শুনেছে, অতসীর বিয়ে হয়ে যায় অনেকদূরে।
তারপর কত বছর কেটে গেছে। সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু পরেশের গোপন কামলীলা চলতেই থাকে। একের পর এক আঙুলবাজি। অসংখ্য, অগুণতি এক জীবনে, গোপনে।
সোনাঝুরি গ্রামে একবার বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গেছিল পরেশ। সেখানে গিয়ে দুটি সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিলো পরেশের। পরেশ দেখলো তার বন্ধু একটা মেয়ের ভেতরের ব্রা ধরে টানছে আর মেয়েটার বুকটা চাপে ছোট হচ্ছে। তারপর অই মেয়েটা বন্ধুর সঙ্গে আড়ালে চলে গেল। আর একজন সুন্দরী পরেশের সামনে। বড় বড় দুধ নিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। বানরের দৃষ্টি কলার দিকে আর পরেশের দৃষ্টি মেয়েদের বুকের দিকে। পরেশ বলল, চল বসি ঘাসে। মেয়েটি বলল, ঘাসে বসব না। পরশের সন্দেহ হল বলল, কেন?
মেয়েটি বলল, অই যে পুকুরঘাটে বাঁধানো সিঁড়ি আছে অইখানে বসব। ওখানে বসে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা নেমে এল। পরেশ মেয়েটার দাবনায় হাত রাখল। মেয়েটা কিছু বলল না। আর মুখ দেখা যাচ্ছে না। পরেশ ফ্রক তুলে দেখল, একদম উলঙ্গ। জাঙ্গিয়া নেই। অইজন্যই ঘাসে বসতে চায় নি। আঙুল বুলিয়ে যোনিরসে সিক্ত হয়েছে তর্জনি। মেয়েটা বলছে, আপনি খুব সেক্সি। একদম শিরে হাত। সবাই পারে না। জানতে হয়। পরেশ কথা বলছে না। তিনটি আঙুল দিয়ে ম্যাসেজ চলছে ডাগর যোনীর। কুড়ি বছর বয়সের মেয়ে। কামে ছটফট করছে। রস গড়িয়ে পড়ছে কনুই বেয়ে। বেশ মজা পেয়ে মেয়েটি কোমর তোলা দিয়ে শিৎকার শুরু করল। পরেশের কাণ্ডজ্ঞান লুপ্ত হয়েছে। ঘাটে চিৎ করে ফেলে প্যান্টের ভেতরে বির্যপাত করে ফেলল। এদিকে বন্ধু এসে বলল, কি রে অন্ধকারে গাঁড় মারছিস। মেয়েটি হেসে উঠল। বন্ধুর সঙ্গে মেয়েটি বলল, সবাইকে নিজের মত মনে কোরো না। বন্ধু অকপটভাবে বলল,আমাকে পাছা দিলে না যোনীতে হাত মারলাম। এবার পেট হয়ে যাবে দেখবি। মেয়েটি বলল, তুই এলেই আমি ব্যবস্থা করে নিজেকে সেফ রাখি। বন্ধু বলল, জানা থাকল। পরেশ এসব পারে না। সে এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে দেখে মেয়ে দুজন বলে উঠল, তোর বন্ধুটা, থাকা কার্তিক। ভাজা মাছ উল্টে খায় না। কাঁটার ভয় করে। শালা একদম, চদু।
তারপর পরেশ চলে এলো কলকাতার এক মেসে। চাকরি খোঁজার জন্য আসা। সবাই খেয়েদেয়ে নিজের কাজে চলে যেত আর পরেশ জানালা ধরে বাইরের দৃশ্য দেখত। নিচে ভাড়া থাকত একটা পরিবার। তারা তিনজন। বাবা,মা আর মেয়ে। বাবা আর মা বেরিয়ে যেত চাকরি করতে আর মেয়েটি ঘরে একা থাকত। তার বয়স কুড়ি একুশ হবে। বেশ সুন্দরী। সে একদিন দোতলায় চলে গেল পরেশের কাছে। সে বলল, দাদা নিচে একা ভাল লাগে না। তাই তোমার সঙ্গে গল্প করতে এলাম। পরেশ পরিচয় বাড়াতে সিদ্ধহস্ত। পরেশ বলল, নিশ্চয়, আমারও একা ভাল লাগে না। এইভাবে তাদের পরিচয় পর্ব মিটে গেল। এক মাস পর সম্পর্ক মজবুত হল। মেয়েটা খুব পাকা। সে বলল, পরেশদা একটা মজার খেলা খেলব। পরেশ বুঝতে পারলেও না বোঝার ভাণ করল। বলল, কি খেলা? মেয়েটি বলল, তুমি শুয়ে পড়, আমি যা করার করছি। পরেশ শুয়ে পরলে মেয়েটি পরেশের লুঙ্গি তুলে লিঙ্গ মুখে পুরে নিয়ে পাগলির মত চুষতে থাকল। পরেশ বলল,আমি এসব জানি না। পেটে তোমার বাচ্চা এসে যাবে। মেয়েটি বলল, বাচ্চা আসবে না। তোমার মাল পড়ার আগে আমাকে বলবে। আমি যোনী থেকে তোমার লিঙ্গ বাইরে বের করে দেব। বাইরে তোমার সাদা মাল ফেলবে। অই সাদা মালে ই বাচ্চা হয়। পরেশ আঙুল চালিয়ে ক্ষ্যান্ত। এসব জানত না। যতই হোক শহরের মেয়েরা অনেক এগিয়ে সবক্ষেত্রে। মেয়েটি প্যান্টি খুলে ঢুকিয়ে নিলো নিজের যোনীতে, পরেশের লিঙ্গ খাড়া হয়ে ঢোকে আর বেরোয় মেয়েটির লাফানিতে। বসে বসে মেয়েটির কি লাফানি। প্রায় দশ মিনিট পরে পরেশ বলল, বের কর, এবার মাল পড়বে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি বের করে দিল রসে ভেজা লিঙ্গ। তারপর মুখে নিয়ে ফেলে দিল সাদা মাল। পরেশ খুব আদর করল মেয়েটাকে। স্তনগুলো মর্দন করল ইচ্ছেমত। মেয়েটি চলে গেল আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। পরেশের চাকরি আর হল না। ফিরে এলো আবার গ্রামে। পরেশের জীবনে সে দেখেছে নারীর অবদান তার জীবনে অনেক বেশি।। গোপন জীবনে তো বটেই তাছাড়া বাস্তব জীবনে নারীদের দয়া ছাড়া সে এক পাও চলতে পারত না। সে মনে মনে শ্রদ্ধা জানায় নারীদের।
নারী ছাড়া পুরুষের জীবন মরুভূমির মত। এই মরুর জীবনে নারী হল মরূদ্যান। ঠান্ডা রাখে দেহ, মন, আত্মা। প্রকৃতির কি অপরূপ সৃষ্টি। এই নারীরূপী দেবিদের কষ্ট দিতে নেই। তাদের সুখে রাখতে হয়। পরেশ এইসব ভাবে আর তার বন্ধুদের বলে এইসব কথা। বন্ধুরা বলে, এবার বিয়ে করে নে। পরেশ বলে, আমি তো রোজগার করি না। কেউ আমাকে বিয়ে করবে না।
পরেশ বন্ধুদের বলে, কবিগুরুর কথা মনে নেই তোদের। তিনি বলেছেন,’ নারীর প্রেমে পুরুষের যে শুধু আনন্দ তা নয়, তা তাদের কল্যাণ ‘। সমাজের সর্বস্তরের কল্যাণের জন্যই যেন নারীর জন্ম। বন্ধুরা পরেশকে খুবভালবাসে। তার কথা মন দিয়ে শোনে। পরেশ বলে, আমাদের মা তাদের কথাই ধর। আজীবন ছেলেমেয়েদের ভালমন্দে তারা থাকেন। অথচ বুড়ি হলে অনেক ছেলেমেয়ে মা বাবাকে দেখে না। এটা ঠিক নয়। এটা পাপ।যে কাজটা তোর বিবেক মানতে পারবে না সেই কাজ থেকেই পাপের সৃষ্টি হয়। তাই সমাজের,দেশের,দশের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হয়। নিজের জীবন তাহলে সার্থক হয়।
বন্ধুরা বলে একদিন চল সকলে একত্রিত হয়ে গরীবদের মছ্ছছপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করি আর তার সঙ্গে শীতবস্ত্র। একমাসের মধ্যই সব জোগাড় হয়ে গেল। অজয়ের ধারে একদিন পাঁচটা গ্রামের লোক নিয়ে বনভোজন ও বস্ত্র বিতরণ উৎসব পালন করা হোলো। পরেশ বলল ইচ্ছেশক্তিটাই আসল আর সবই তার অধীন। কোন কাজ টাকাপয়সার জন্য আটকায় না। ভালো মানুষ আর ইচ্ছেশক্তিটাই আসল।
সব মিটে গেলে পরেশ একা একা চলে গেল অজয় নদের ধারে। সেখানে নৌকো বালির চরে ঠেকে আছে।নৌকোর মধ্যেই বসে পরেশ নিজের জীবন নৌকোর কথা চিন্তা করতে শুরু করল। তার চোখের সামনে এখনধু ধু করছে বালি। কিন্তু যখন কালের পরিবর্তন হবে তখন আসবে জোয়ার। আর এই জোয়ারের অপেক্ষায় তার বসে থাকা।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..