আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
সোয়া পাঁচ শতাব্দী আগে নব আবিষ্কৃত জনপদ ছিল ঔপনিবেশিক
পৌনে তিন শতাব্দী ছিল কলোনিয়াল দু:শাসনের রাজত্বে জর্জরিত
জনপদে ছিলনা সুশাসন, ন্যায্যতা, প্রাপ্যতা, সাম্য গণতন্ত্রের লেশ
অনাচার লাঞ্ছনা বঞ্চনা হিংসাবিদ্বেষ জাতিগত বৈষম্য ছিল অহরহ।
অজস্র দেশপ্রেমিক সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র, সুশাসন, স্বাধীনতার প্রত্যাশায় শুরু করলো তেরো তারার পতাকার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ
সাগর সম রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সার্বভৌম গণতন্ত্র স্বাধীনতা
তেরো থেকে পঞ্চাশ তারায় সম ভাবে মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র
আড়াই শতাব্দী ধরে চললো গণতান্ত্রিক ধারায় চুত্যি-বিচুত্যি
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গণতন্ত্র রূপ নিলো মহীরূপে।
চর্চিত অবাধ মতামত; শুরু ধারণার আদান প্রদান
সম হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘুর অধিকার
নেই কোন সাদা কালোর বাদামী বর্ণের বৈষম্য
স্ব-ধর্ম পালনে ভিন্নমতের নেই কোন বাধা
সঠিক চর্চা দেশে দেশে দেয়া হলো সবক
বিশ্বময় আজ গণতন্ত্রের জয়-জয়কার।
গত চার বছরে এক স্বৈরাচারী এসে গণতন্ত্রকে করে দিল তছনছ
মিথ্যাবাদী সর্বকাজেই করেছে ব্যাঘাত ধ্বংস করেছে রীতি নীতি
তারই প্ররোচনায় ছয়ই জানুয়ারী গণতন্ত্রের পবিত্রঘর রক্তে রঞ্জিত
গণতন্ত্রের এই ভূমিধ্বস হয়নি কভু আগে এই প্রাণচঞ্চল জনপদে
চার বছরের ইতিহাসে গর্ধভ স্বৈরাচারী শাসকের ক্ষমতা-লিপ্সা
জনমতের তোয়াক্কা না করে শতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংসের অপচেষ্টা।
ক্ষত-বিক্ষত গণতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত সারিয়ে তুলতে
যেখানে থাকবে অবাধ মতামত ও ধারণার প্রকাশ
এই বিশ্বে আমেরিকা ও গণতন্ত্র এক অভিন্ন রূপ
সমান সবাই আইনের চোখে সম- অধিকার
বিশে জানুয়ারী ফিরে পেলো গণতন্ত্রের প্রাণ
সুপ্রতিষ্ঠিত হলো জনমতের পূর্ণ বাস্তবায়ন।
হে মানব কল্যাণের সদা আহবায়ক
তুমি সত্য ন্যায়ের চিরন্তন প্রতীক
মানব নিত্যই তোমার চর্চায় গর্বিত
তোমার অমূল্যবাণী সর্বত্র পঠিত
বইয়ের পাতায় খচিত শব্দগুচ্ছ
বিশ্বের অতি মহান মানব তুমি।
মানব জাতি সম্প্রীতির মনোভাব
হিংসা বিদ্ধেষ ভুলে হয়না মহীয়ান
গভীর অন্ধকারে ডুবে আছে মানব
জাত-পাতের ঘৃণায় জর্জরিত সমাজ
উঁচু-নীচু ভেদাভেদ হয়নি দূর কভু
মনন চিন্তার নেই কোন পরিবর্তন।
সকল ধর্মই সত্য চিরন্তন বাণী
সগৌরবে ঘোষণা করেছিলে
শিকাগোর সর্ব-ধর্ম সম্মেলনে
চলছে ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব্রের বড়াই
মানবিক কল্যাণমুখী হইনা
কভু আমরা মানিনা সত্য।
এক আত্মার মানব হই না
আমরা শুধুই করি অহঙ্কার
মানব ধর্মই চির সত্য ধর্ম
হই না পিছুটান পাথরে হোঁচটেও
ঘৃণা নয় সর্বজীবে ভালোবাসায়
কল্যাণের জন্য করো জীবন ধারণ।
চির সত্যই পবিত্রতার মূল চাবিকাঠি
পূজারী তোমার বাণী এক অমূল্য রত্ন
তোমার বাণীও গুণের নেই কোন তুলনা
গুরু তুমিই এ ভূবনের চেতনার আলো।
নীল আকাশের কালো ভ্যাপসা অন্ধকার কেটে
বৃষ্টির স্পর্শে আলোয় আলোকিত হৃদয় আমার
টাপুর টুপুর বৃষ্টির ছন্দের ধ্বনি প্রশান্ত করে মনকে
বৃষ্টির ঝাপসা ঝলকানী মনের কালিমা করে দূর।
বৃষ্টির ফোঁটায় পাখি নীড়ে ফিরে
প্রজাপতি বানায় ছাতা পাতাকে
রাস্তার দু’ধার হয়ে উঠে পরিচ্ছন্ন
প্রকৃতিও নেচে উঠে আপন মনে
বৃষ্টির ফোঁটা মুক্তা রূপে আবির্ভূত
আমার ললাটে আনে শান্তির পরশ।
আহ! কি যে মধুর বৃষ্টির পরশ
বৃষ্টির ছোঁয়ায় মনকে স্পর্শ করে
মনকে করে তোলে অতি প্রেম-ময়
উত্তাল সাগরের ঢেউ হয় শান্ত।
ময়ূর আনন্দে পেখম তুলে নাচে
প্রকৃতিও হয় বিমোহিত বিমুগ্ধ
দু:খ কষ্ট ভুলে বৃষ্টির ফোঁটায়
অন্তর আত্মায় শুভ্র পবিত্রতা
এ ভূবনে নামে হিমেল পরশ
দৃষ্টিনন্দন রূপে প্রকৃতি বিমুগ্ধ।
বাদামী-কালোর সংমিশ্রণে জন্ম নেওয়া এক পরী
তুমি স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্ব মানবিক রানী
ক্ষমতায়নের ধারায় বিশ্বের সকল নারীর গৌরব
বিশ্বময় ইতিহাসে নারীর অভিরূপ সর্ব ক্ষমতাধর
তোমার গৌরবে সকল নারী আজ অতি গৌরবান্বিত।
ধন্য মায়ের আত্মসম্মানী গুণানুরাগীতে
জীবনের সর্বক্ষেত্রেই অলঙ্কৃত অগ্রগণ্য
নারী- রা হবে তোমার চির অনুপ্রেরণা
সত্য ন্যায়ের প্রতীক উজ্জ্বল নক্ষত্র
সহমর্মিতায় গর্বিত নব নারী জগৎ।
সর্বগুণ সম্পূর্ণা ধন্য স্বর্ণশিখর বিজয়ী
প্রজন্ম থেকে নবপ্রজন্ম হবে অনুকরণীয়
নারীর ক্ষমতায়নের বিশ্বে তুমি অগ্র-দূতী
নারীদের সম-অধিকার মননচিন্তা পরিবর্তন
নারীদের গড়ে তুলবে মানবিক কল্যাণকারিনী।
হলো শুরু বন্ধুর কঠিন দূর্গম পথচলা
কৃতকার্যে বয়ে আনুক চূড়ান্ত সফলতা
তোমায় হাত ছানি দিচ্ছে সর্বোচ্চ আসন
বিশ্বে নারীরা পাবে জাগরণী অনুপ্রেরণা
সত্য সুন্দর তোমার হোক শুভ পথচলা।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..