অথবা কচুকাটা রাই

রাহেবুল
কবিতা
Bengali
অথবা কচুকাটা রাই

অথবা কচুকাটা রাই

ছ্যাপের গায়ে মখমল পিচ্ছিল
সাদা কাফন চুঁয়ে চুঁয়ে আঁশটে সুগন্ধী ঘরময়

বিষবৃক্ষ পুঁতেছি সসাগরা ভূমে।

টিব্রেকঃ সেলফি টাইম।

ইদানীং ফুটো দূরবীনে ছানি পড়ে দূরত্বটা অলীক।
চল্‌ রাই ছেঁউতি ধরি মরুধামে;
ব্যাংকফেল ভাব্ব না
সুগারফল ভাব্বনা

লিংকফেল অথচ

ভেন্টিলেটরে পুঁজ সংরক্ষণ হতে হতেই পুঁজিপতি আমি।
পুরানো জাহাজ নিলামে কেউ নিলেনা। নুহুও তুলে দিল হাত।

আত্মঘাতী হয়েছে অনিকেত এমন খুশখবরও তবু তো তোমাকে শোনাতে পারিনি
কাল অব্দি

কাতরানি এড়িয়েই যেতেছে চাপা স্বভাবে ট্রমাগুলান
অথবা এইখানে কচুকাটা রাই
সুখবর দিও কিন্তু শ্যাম

চৌদিক শুনছি চ্যাটহেডে টিপটিপ সবুজ , জ্বালিয়ে রেখেছিলি জাহান্নামি যক্ষী …

 

সইসাবুদ

পলকে স্লাইড শোয়ের মতোন পার করে যাচ্ছে গরু এবং গাড়ি । সরগরম কতিপয় ইন্ধন ।
দারোয়ান কিংবা গাড়িয়াল কেউ নিজের চটিজোড়া হারিয়ে । অথবা হারালো পা ।

ফ্লাড লাইটে গরিমার গরম ।

বিন্দু বিন্দু চুঁয়ে সাদা চুম্বন খোঁড়া । হস্তীর পায়ে শেকলের শোভা ।

আর আমি নিলামে কিনেছি সেই রাত্র । এবং রতি ।

চাকায় ঘড়ঘড় । মুচমুচে ক্র্যাকার । মাত্র দু পলক অথবা নিষ্পলকেতে
খুনি হওয়া আমি , আর এক মত্তমাতাল ক্লিভেজে খোদাই সেই সইসাবুদ ।

 

ঘুমবার

আজ রোব্বার … ঘুমাবার দিন (নাকি রাত্র মিত্রোঁ ?) …

বিগত দু-চারদিন কিংবা দিন পাঁচেক বা সাতেকের ঘুম পুষিয়ে নেয়া আজিকে ।
বোরখাডল তদুপরি বিকিনিপরি কী আজও নাইতে আসবে তোমা ঘিলুদিঘীতে ?

চৌদিক শান্তি শান্তি ঝনঝনানি …অতীব সুখ … আখের আত্মঘাতী তামাম বিক্ষুব্ধ ব্লেড …

ক’খানা ঘুমের বীচি হাতের তালুতে আজ ?
দেখি দেখি এক কী একের অনেক অধিক ?

আজিকে সমস্ত কিছু ছুটিতে । সমস্ত শুনশান । সূর্যি পাটে ।
ভিলেনভূমে এক সুসফল বনধ । নৃশংস রক্তারক্তি , সবটাই নিশ্চুপ নাড়ীতে ।

ঘুমাও ঘুমাও ।
আজ রোব্বার । ঘুমাবার …

———

হে

সে আছিল ফুল মুন রাত্তির । তুই আর আমি । ড্রোনে কুমকুম ।
বৈতরণীর পাড়ে বসত গেড়ে হাওয়া খায় অরাজনৈতিক স্যালাড ।
আসমানিদখল কারে কয় ? ভেবে পাগল ভবা ।

চোঁয়া

ঘুরেফিরে প্রতি শিশিরের ফলায় দৃশ্যত তারই নখর আজিকেও ।
হদিশ নেই সেই সিঁদুরের । কারোর রক্তবমিতে গুলিয়ে গেছে শুনেছি ।
সেই চিনিকলা তো খেয়ে ফেলেছি কবে দুয়ে একে ।
যার গায় সম্ভবত সিঁদুরে জামা, নাকি ছিল ব্রান্ডেড ডিয়োর ফুরফুরে ?
ভুড়িতে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে যে তৃপ্তির ঢেকুচ নিশিদিন
সেটা চোঁয়া হয়ে কবে ফিরিয়ে আনুক ভুলেবিসরে স্কুটির চাকা ।
হেব্বি লাগে বলছি আজও এইসকল , যথাঃ ইষ্টের কিংবা ইতরের স্মিত বদন ।
পুকুর বুজিয়ে ফিরছে , ফিরছে রক্ত আমাশার শেষ টুপ ।

রাহেবুল। কবি। জন্ম- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে। লেখালেখি শুরু দ্বিতীয় দশক থেকে। মূলত কবিতার পরীক্ষানিরীক্ষা, বিকল্প ধারার লেখালেখি নিয়ে ঘরসংসার। আবহমান বাংলা কবিতা ও বিকল্প ধারাগুলি আত্মীয়করণে নিয়ত নূতন। ইবলিশ নামের ছোট পত্রিকা সম্পাদনার সাথে যুক্ত। প্রকাশিতব্য প্রথম বই-...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ