প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ইচ্ছের কাছে যতই নতজানু হই
যতই তোমাকে ছুঁতে অভিলাষী হই
চেয়েছিলাম তুমি দূরেই থাকো।
একটা অনতিক্রান্ত দূরত্বে দাঁড়িয়ে
স্বপ্নের ভাঁজ খুলে দেখো
ছোপছাপ রঙগুলো মিলেমিশে
কেমন রঙধনু হয়ে আছে!
চেয়েছিলাম ভারহীন জীবন
পাখির পালক ছুঁয়ে থাকুক।
চোখের গভীরে লুকানো এক আকাশ মেঘ
অবেলায় বৃষ্টি হয়ে নামুক।
তোমার আঙ্গুল ছুঁয়ে নয়
আমার বিপর্যস্ত সময়টুকু নাহয়
সঙ্গীহীনই কাটুক!
অথচ জোৎস্নার ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে
তুমুল উচ্ছ্বাসে তুমি এলে
জীবনের সব কোলাহল শেষে
এ কেমন তোমার প্রলয়ী বিলাস?
বাতাসের গায়ে ঘ্রাণ শুকে শুকে
অন্তহীন দ্রাঘিমার পথ- প্রান্তর ঘুরে
পেয়েছ কি সহস্র শতাব্দীর কাঙ্খিত সেই
রমনীয় সৌরভ
কিংবা মেঘের শরীর ছুঁয়ে একবিন্দু জল?
অপ্সরীয় চন্দ্রালোকে ঘষে মুখ
হয়ত পেয়েছ টানটান উন্মাদনা সুখ
পেয়েছো কি প্রেয়সীর সুধাময় লাবন্য তিলক?
সাগর সঙ্গমে বিক্ষিপ্ত ঊর্মিদোলায় দুলেছো
খেলেছো জলকেলি যতবার
সাগরতলের ঝিনুক খোলে মুক্তো দেখেছ
একবার?
নদীমোহনায় অপেক্ষায় থেকে সহস্রকাল
আসেনি তো সোনার ময়ূরপঙ্খি নাও
বাতাসে উড়িয়ে পাল দিগ্বদিগন্তে খুঁজে
পরিশ্রান্ত তুমি ভালোবাসা করেছো নিলাম
অথচ নিজের ভিতরে খুঁজে দেখনি একটিবার
আমিতো তোমার অন্তর জুড়েই ছিলাম
জীবনকে ছুঁয়ে মৃত্যুকে ছুঁয়ে অনন্তকাল!
আমি একবার নদী হতে চেয়েছিলাম।
নিভৃতে নীরবে দু’কূল ছুঁয়ে
ভেসে যেতে চেয়েছিলাম বহুদূর!
আকাশটা বুকে নিয়ে
মিহি ঢেউ খেলে
হারাতে চেয়েছিলাম সাগর মোহনায়
ভেবেছিলাম ফিরবনা আর কোনদিন।
একবার চেয়েছিলাম বুনোহাঁস হবো
নয়ত শঙখচিল।
উড়ে উড়ে ঘুরেঘুরে সোনালী ডানায় চড়ে
নীলিমায় হবো বিলীন।
হেমন্তে শিশির ভেজা দুর্বাঘাস হতে চেয়েও হইনি সেদিন
ঘুমাইনি মৃত্তিকার বুকে।
কাঁঠালচাঁপার সৌরভ হবো ভেবেও
ভেবেছিলাম অবশেষে
উদাসী পথই হবো
সারাটা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে
আপণ ঠিকানার খোঁজে
তোমার আঙ্গিনায় ঠিকঠাক পৌঁছে যাব একদিন।
কোনো কোনো কষ্টের নিষ্পত্তি হলেও
কিছু কিছু কষ্ট বড়ো বেশি আপোষহীন
আজন্মকাল মিশে থাকে পাঁজরের সাথে।
ঝেড়ে কেটে নির্ভার হতে চাইলেও
পাঁজরেই চেপে থাকে রূদ্ধশ্বাসে।
আর জীবন তখন পিছু হেঁটে ফিরে যায়
সবুজ পাতার ভাঁজে
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্লোরফিলের সন্ধানে।
নগরের ঘড়ির কাঁটায় কিংবা সোডিয়ামের হলুদে সন্ধ্যা নেমে এলে
পাখিরা ডাকে না আর মগ্নসুরে
ফেরে না আপন নীড়ে।
শুধু শ্রমিকে মুঠোয় ক্রমেই মজুরীর গড়মিল বাড়ে;
অসন্তোষ অস্ফুট তোলপাড় তাও মিলিয়ে যায় টং ঘরে চায়ের আসরে।
আমদের নাগরিক জীবন সিকি – আধুলির
হিসেব নিকেশ মিলাতে মিলাতেই হেঁটে যাই সম্মুখে
অনাঘ্রাত মৃত্যুর সৌরভ শুঁকে নিতে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..