দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
শিকড়ের মতো কিছু
খুঁজেছে পাগল…
পাহাড়ে পাহাড়ে আর নদীতে নদীতে।
ক্ষত হয়েছে হাতে পায়ে, জায়গায় জায়গায়
ছোটবড় গর্ত। জল পড়ে নষ্ট হয়েছে চোখ।
ঘট রেখে পাগল তবু শূন্য হচ্ছে রোজ…
কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী, কুয়াশায়
স্থির নিকষ হয়ে আছে তাল পুকুরের জল
ঘাটের দিকে তবুও পায়ে পায়ে
হেঁটে যাচ্ছে একলা পাগল…
খালি ঘট রইল পিছনে। এখন ঘাতক এলে তাকে
ঘট দেখে ফিরে যেতে হবে।
সাড় নেই, সাড়াও নেই
স্থির হয়ে আছে এক মূর্তির মতো
এই এক তীব্রতার আঘাতে
ক্ষতময় হয়ে উঠছে ক্ষুদ্র কলসী…
জল ঢেলে কী আর লাভ হবে!
ফুটোময় পাত্রটির থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সুখ ও অসুখ।
দেখিনি তাই চিনতেও পারিনি…
বাসাটি শূন্য হয়ে আছে
শূন্য ঘরের অতিথির মতো যেমন সে এসেছিল
তেমনই ফিরে গেল।
এই যে যৌথ ঘর
দখিন দুয়ারী…
অনর্গল আনবাড়ি নয়
মাথাটি নুইয়ে মাটি ছুঁলে দ্বারীর সঙ্গে দেখা হয়…
জানি সে তো এসেছিল
তবে সে কোথায়
কেন এ অপ্রাপ্তি ঘনাল দুপুরে!
এখন তো উন্মাদ!
হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে উঠছ
স্বেদক্লান্ত হাসছ কখনো…
কোন গোপন যাত্রা মনে করে!
সেও এক বিষধরী
সরাসরি ছোবল মেরেছে
অঙ্গ তবু নিস্তরঙ্গ
বিরহিণী ঠায় বসে আছে…
ভুজঙ্গ এখন তবে নাও
যেভাবে যেমন বোঝো খাও।
জ্বলনটি রেখে ধিকি ধিকি
বিরহের কাঠ হয়ে থেক
শেষে এইভাবে পুড়ে গেলে
দুঃখও কবচ দেবে খুলে…
সেইভাবে কেঁপেছে পাগল…
গোধূলির ঘনঘোরে যেমনটি হয়
বল প্রেম বল শোক
বিরহ তুমিও বল
সাধু বল… তার কি উপায়!
ভালোবেসে স্পষ্টতর হয়ে ওঠো অন্তিম আলো
তাকে কী পড়ল মনে… প্রত্যূষে
যে তোমায় কাছে ডেকেছিল!
সেইসব স্বপ্নের মধ্যে দৃঢ় জাগি
মনে হয় ক্ষিতি অপ তেজ ও শূন্য
অচেতন…
ঘোরঘুমে তেমনি রয়েছে ভাগাভাগি
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..