যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
অদৃষ্ট
কাচের ওপাশে বেশুমার মায়া চোখ টেনে ধরে
সুখের পশরা সাজানো গোছানো যে থরেবিথরে,
খালি পকেটেই ঘুরি-ফিরি রোজ সুখের বাজার
দুঃখ আবাদ বাড়ছে নিত্য নিজেরই ঘরে।
সমুদ্র তটে সংসার বাস তবুও কী দোষে
খালি ঘটি পড়ে থাকে জীবনের চৌকাঠ ঘেষে
লেপ্টে কালির দুর্নামে যদি হই গো বিবাগী
দু’চোখে তাইতো কাজল আঁকিনি গূঢ় অভিলাষে।
অনিয়ম ঘটুক
এই অসময়ে একটা তুমুল তুফান উঠুক
সকল বিধান ভেঙেচুরে যাক এখানে,
নীরব সকল বিনাশিত নদী প্রমত্ত হোক এবার।
আজ খামোখাই সমুদ্র হয়ে ফুলেফেঁপে উঠে
প্রবল নাচুক গহীনের মায়া মোহনা,
এ আকাশটাও ভেঙেই পড়ুক নীলাভ জলের অতলে।
বিষন্নতার প্রেম পারিজাত এবার ফুটুক
কচুরিপানার উদ্যান হোক হৃদয়ে,
হিংসুটেদের চোখগুলো থেকে অঝোর ঝরুক প্রণয়।
মাদি ঘোড়াদের মতো অদম্য আস্ফালনেই
দাপিয়ে বেড়াক ঘুমন্ত সব মমতা,
অহৃদয়েরই অলিতে-গলিতে ক্লান্তি বিহীন ছুটুক।
ভীষণ গোপন অভিলাষ গান কন্ঠে উঠিয়ে
ঘরকুনো মন গাইতে থাকুক আরতি,
স্ব-প্রেমিকদের বেহায়ার মতো নিকটে টানুক প্রেমিকা।
একটুসখানি নিয়ম ভেঙেই ইচ্ছেগুলোতে
মহুয়া লাগুক তৃষ্ণা জাগুক ও-ঠোঁটে,
নির্বাসিত সে চাওয়ার পাখি পাখা মেলুক আদিগন্তে।
সকল কিছুই তোলপাড় করে ইস্পাত বিধি
উৎখাত হোক কিছু অনিয়ম ঘটুক,
নিয়ম যে বড় কঠোর শেকল ছকে বাঁধা এই জীবনে।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..