দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
নিরীহ দুপুর কাটে পাশের বাগানে
হরিণ এসে শুনে যায় ফ্ল্যামেঙ্কো স্কেচেস
সারা শরীরে দেখা দেয় বাদামী স্পর্শ,
স্পটগুলো উজ্জ্বল হয়।
অথচ ব্যর্থতা স্পষ্টতা চায়,
অলস সূর্য তার সৈন্যদের ঘুমোতে বলে
লেবু গাছের পাতায় পাতায়।
ভীতু হরিণ খেলা করে
গোটা পাড়া কৌতূহলে যায়,রিয়ারস্টলে বসে
মাথা উঁচু জানতে চায়
মাঝ দুপুরে হরিণ কেন?
হরিণ বোঝে না,
সে তো জানে না তাকে ঈশপের গল্পে ফিরতে হবে
বোতামের-ও ঘর থাকে,
যে ঘরে বোতাম থাকতে চায় না।
তাহলে তো জীবন মসৃণ,
সুখে থাকলেও কি ভূতে কিল মারতে আসে না?
আসলে সবাই প্রেম চায়
এতটাই উচ্চতায় অথবা নিঃশব্দে
যার ছায়া পড়বে না মাটিতে,
যা ঝড়ের হাওয়ার মতো সংযত।
তাই এ ঘর ও ঘর করে,
মানুষ আড়ষ্ট হতে থাকে,
একদিন দল বেঁধে তীর্থে যায়।
সেই পথে স্থির দাঁড়িয়ে থাকা কিছু বক
তাদের দেখে বিচ্ছিরী ভাবে হাসে।
তীর্থযাত্রীদের দলা পাকানো মুখগুলো
ফ্যালফ্যাল করে থাকে অথচ
সেই হাসি থেকে রক্ষা করার কেউ থাকে না।
বড়শি দেখেনি যে মাছ
সে তো জীবন দেখেনি।
অশ্লীলতার কিছুই পড়েনি চোখে
শুধু নগ্নতাকেই ভয় পেয়ে গেলো।
চোখের সামনের জিনিস এড়িয়ে যাওয়া
এক ধরণের ঘুম।
ঘুমকে মৃত্যু ভাবতে পারি
যদি তাকে সহজে ভাঙা না যায়।
তাই বলি,
বড়শি দেখে নি যে কর্পোরেট
তাকে তুমি ঘুম থেকে জাগাও।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..