আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
মর্জিনার আঁচলে গোধূলির রঙ
তার ভাঙা পাখির বাসায়
নীরবতার অসম্ভব রূপ
খেলা নিভে গেলে
বাসনে অন্ধকারের স্তূপ
বেড়ার অরণ্য ভিজে
ঈশ্বরীর চুড়ি গলে যায়
ঘুমিয়ে পড়ে কান্নার আকুরিয়ম
একটা রেলিং এর গায়ে নীল চাদর
ফুটপাথে লাল শালু
মড়ার খুলির দাঁত বের করা
বাসের জানালায় যুবক
সেলাই করছে সাদা বেদনা
বেকার ভাবনায় ডুবে
যুবতীর নাভি হারিয়ে ফেলেছে
সবুজ শাড়ি
ফাঁস বসে যাচ্ছে অন্ধকারের
গেম জমে গেছে
আঙুল ছাপ মোবাইলে
হাতের কাছে কোনো গান নেই
ওপরে হিজিবিজি কাটা দাগ
ভাগ্য আর মৃত্যুকে বেশ ফালা ফালা করলে
সামনের পুকুর ঘাটে নামে বিধবা চাঁদ
গাছের শব নিয়ে যাবার পর
সবাই তার স্নান দেখে
চোখের উপর তাদের থ্রি ডি
চশমা
জল চলকে উঠলেও গা ভিজছে না
হি হি হাসছে নির্লজ্জ বাতাস
কুয়াশা খেয়ে ফেলেছে রাস্তার অন্তর্বাস
চোখকে দেওয়া যাচ্ছে না একটা
পেটকাটা সূর্য
একটা পাখি দুলতে দুলতে ডাক
রেখে গেলে
সে বাক্সের অক্ষর ভিজে পড়ে
না পড়ার বেদনায় নীল
সুডোল ধবল বুক দেখা না হওয়ায়
বসন্ত হেঁটে যাচ্ছে মরুভূমির দিকে
আর তার ঘাড়ের কাছে
পুরাতন বাসের বেলুন
কর্কট নিয়ে কঁকিয়ে উঠেছে
কুয়াশা পড়ছে ভোরের কবিতার খাতা
অশ্রু বলে তাকে অক্ষরে বসাই
গাছের
খুশবুর অভাবে খুশি হারিয়ে গেলে
ফিরে পেতে চাই আলো
ভিজে যায় পায়রার পথ ও উড়ান
আর্তনাদের ভিতর মাছরাঙা বেজে
পুকুরের শ্যাওলা সরে যায়
ওই যে যার কুচযুগে ছুঁয়ে গেল মাছ
সে আজ রঙ ধরে বাসন্তী সেজেছে
ফাল্গুনের শরীরে শীতনামা পড়ছি
শীতল ষষ্ঠীর হারানো কাহিনি
সেই হলুদ সুতোর বাঁধন
ছিঁড়ে গেলে
ভিজে ভাতে মা গন্ধ থাকে না
পাথরের জঙ্গলে
থর থর কেঁপে উঠেছে ব্যথার অভ্যাস
বুকগুলি কি ফ্রিজ !
বরফচেতনায় বসে আলাপ করছে
সুপারি কিলার
ভীষণ কুলগলায় সে রাখছে ট্রিগারে হাত
হৃদয়ের রক্তপাত আপাতত চাপা
সাইলেন্সারে
পরিখা খননের দৃশ্যটি এখন অন্ধ রাস্তায় নেমে হারিয়ে গিয়েছে
খোলা শরীর খোলা দরজার খেলে
যাচ্ছিল ভিজে বাতাসে ৷ সে নেই
এই ধূপ গন্ধের ভেতর বন্ধ কাচ
বলছে বন্ধুদের
দেরির একটা আপসোস তো ছিলই৷ ইঁদারার সিংহ রেগে
দেখাচ্ছিল কতটা জল আর
কতটা আমি
মিশে একটা ভীতু খরগোশ হঠাৎ
চালাক লাক সবাইকে লাখপতি করে না বরং গুহার
ভিতরে সে নিজেই ঈশ্বর
স্বর শান দিচ্ছে বৃষ্টি বিষ ঝেড়ে
বিশুদ্ধ করবে বলে
রক্ত পলাশে ভরে বসন্তের উপহার এলো
বরফের গায়ে তীব্র সহ্য শক্তি
জলপাই পোশাক
নিস্তেজ করছে বৃদ্ধসূর্যকে
থমকে যাওয়া হৃদপিন্ডগুলির ভিতর
অনেক না বলা কথা বাজছে না
স্বর্গের কাছাকাছি যে ভূমি
পা লাগাতে পারছে না সুরে
অন্ধ ক্রমশ অন্ধ হবার পর
রাস্তায় নামি কিন্তু অনেক অনেক কিন্তু
নষ্ট করে যায় সদ্য নির্মিত কবিতার নীড়
মেঘলার অষ্ট প্রহর দরজা গুছিয়ে রাখে
জল রাখা আছে ঢাকা
টেবিল জানে আর স্থির চার পা
গ্লাসের ওপারে একটা গান
গাছ ভরিয়ে প্রতিলিপি করে স্নান
ঋভুর নৌকা ভেসে যায়
সার সার কফিনের ছবি ধরে
পাথর হেসে ওঠে
তার দুরন্ত স্বভাবদোষে
দাঁতগুলি স্পষ্ট হয়
রক্তরঙ খেলতে থাকে
বমি না আসা পর্যন্ত….
তোমার স্তন মেঘলা হলে
রোদ ফেলে কচুরিপানা জল
আলো একটি শব্দ ঈশ্বর যেমন
তোমার ক্ষরণে উজ্জ্বল
আশ্চর্য মাদকতাময়
ময়াল জড়িয়ে জঙ্গল
রিফু করে আমি ও প্রকৃতি
বেরোতে পারি না
গুহার ভিতরে শরনার্থী
জানে পৃথিবীর শামুক জীবন
মাঝে মাঝে হাই
ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির
যেন এছাড়া কোনো
উপায় ছিল না
নাড়া দেয় কুম্ভ
কর্ণে ডাক এলে
ফিরে আসে ভাঁজ
খোলা এনভেলপ
সে শোকবার্তায়
গান করে নদী
মাথায় চাঁদ নিয়ে
কুয়াশায় গলানো অক্ষর
এক অস্পষ্ট দেশের
ঠিকানা বলে
অন্ধ রাস্তায় নামে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..