প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
অন্বেষণ এবং
বৃষ্টি হতে চেয়েছিল যে অশ্রুদানা
তা এখন নিছক কুয়াশা।
মোহনা খুঁজে প্রেমিকা হতে চেয়েছিল যে নদী
সে এখন দম আটকানো ফল্গু।
ডানা মেলে জাহাজের মাস্তুল হতে চেয়েছিল যে জলপিপি
সে এখন শীতঘুমে অচেতন।
আসলে জ্যোৎস্নার আদরে ধান গর্ভবতী হলে
শেষ রাতের বৃষ্টিতে মাঠ বড়ো একা হয়ে যায়।
ইতিহাসের উপাদানগুলো সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে এসে
প্রত্নতাত্বিক শ্যাওলা হয়।
সারাজীবন কেউ তা খুঁজে চলে, কেউবা বেবাক উধাও।
পরিবর্ত
জানালা খোলা রাখলেই বাতাস বয়ে আনে
অবিশ্বাসের পচা গন্ধ।
আলপথ ধরে এগোলেই পথ বিছিয়ে দেয়
অগম্য কাঁটার আস্তরণ।
বসন্তের হাওয়া গায়ে মাখলেই বিপন্নতা প্রসব করে
এক আকাশ শূন্যতা।
এখন তাই জানালার কাজ করে ঘুলঘুলি,
প্রবৃত্তির গিঁট পড়ে পথে,
বসন্ত খুঁজি বুকপকেটে।
চেনা অচেনার তীরে
যে কাঁথাটায় লেগে আছে আমার শৈশব – গন্ধ
সেখানে এখন অস্তায়মান সূর্যের রক্তাভ আলো।
যে নীল কষ্টে জড়িয়ে আছে আমার প্রেমের ক্ষত
সেখানে আজ নজর – হারানো চোখের ফ্যালফ্যালে দৃষ্টি।
না – পাঠানো যে চিঠিতে মিশে আছে অগোছালো নিঃশ্বাস
সেখানে এখন সহবাসের অদৃশ্য ছায়া।
চোখ বন্ধ করলেও আজ সব নজরে আসে।
এ যেন অনন্ত মগ্নতার বিমূর্ত প্রবাহ,
স্বপ্নচারা – সময়কে ফাঁকি দিয়ে যা অজান্তেই বেড়ে ওঠে,
মাটি খোঁজে প্রান্তিক স্টেশনে।
এ কোন সকাল
নতুন বছরে শুরু হলো নতুন খাতা,
পুরোনো কিছু পাতা রয়ে গেল বেবাক ফাঁকা –
সে কি পরকীয়ার জন্য?
আমার সিঁথিতে এখনও আশ্বাসিত সিঁদুর ওঠেনি,
প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে আব্রু গড়ের মাঠ –
সে কি ‘ ভালোবাসি ‘ তাড়াতাড়ি বাসি হয় বলে?
বৃষ্টি হলেই দেরাদুন ভাতের ঘ্রাণে আমি অর্ধভোজন সারি,
কালের যাত্রায় আবার দেখা হয় অবিন্যস্ত পোশাকে –
সে কি বোধনে বিসর্জনের অশনি সংকেত?
সভ্যতার আলোয় আঁধার হয় হৃদয়ের চোখ,
অন্তরালে স্বস্তির শিশির কেঁদে মরে,
মানুষ হয়ে যায় ডোরাকাটা,
সকলকে ফাঁকি দিয়ে অজান্তেই বাড়ে পার্থেনিয়াম।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..