আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
ধাঁধা ধরা দিন শেষ হলে উড়িয়ে রঙিন পাল ভেসে যায় ঘূর্ণিনাচের দেহবাঁক
একদিন সে আমার চোখের মণি ছিঁড়ে নিয়ে বলেছিল-
এইবার লাগাব নিজের চোখে
দেখি তোকে দেখতে পারি কিনা তোর মতো করে
ছন্নছাড়া বাতাসের বিমনা সাঁতার রক্তের বাঁক ভুলে
চলে গেল অন্যপথে
রাতদিন গান গায় ধুলোর পাখি
চোখ গেল! চোখ গেল!! চিৎকারে
উন্মাদ চাঁদমারি ডুব দিল পুরাতন ক্রোধে
ভাষা নাই, ওরে পথ ভুলে ভুলে চলে গেলি অনার্য স্টেশনে
তোরও কি যাবার কথা ছিল মণিখোর চোখের অতলে
একবার বাঁক ফিরে দেখ
ভুলে থাকা একটি অসমাপ্ত অসুখ
কখনই পুরোপুরি ভুলে যাওয়া হয় নারে
মেধার গহবরে অনেক ফোস্কা পড়েছে
মাঝে মাঝে জল ঠেলে অশ্রু ভাসে
আশঙ্কায় চমকে উঠি
আগামীকাল না জানি কে এসে
নিয়ে যাবে চিকিৎসার দেশে! তারপর
আড়ালে খুব করে একটি কী দুইটি
জুতসই গাল দেবে কষে
এসবের কোনো কিছুই চাই নারে ভাই, তারচেয়ে
অসমাপ্ত অসুখেই থেকে যেতে চাই
তুইও ভালো থাকিস, যাই
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..