প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
প্রিয় ভোর,
ভীড়গুলো স্তিমিত হয়ে গেলে
তোমাকে ঠিক নিরালায় ডেকে নেব,
সবাই হারিয়ে গেলেও আমি থেকে যাবো,
আমার কৈশোরের ভালোবাসা এখনো অম্লান,
অপেক্ষায় থাকলাম….
একদিন ডাকতে তোমায় হবেই,
লু বাতাস কানে কানে বলে গেল সেই কথাই,
লকলকে আগুনের গ্ৰাসে সব ছাঁই হয়ে গেলেও,
আমি ঠিক তোমাকে নিয়ে ব্যক্তি করে নেব
ইতি সূর্যাস্ত…
কোনদিন চোখে দেখিনি তোমায়,
কোনদিন দেখতে পাব এমন সম্ভাবনাও তো নেই, ছিলওনা তো কোনদিন….
তবু কেন এত মায়া !
এত মায়া কে শেখাল তোমাকে ? আমাকে ?
কে দিল এত এত ভেজা মন খারাপ !
চলে যাবার সময়ে প্রেমে অপ্রেমে ,
তিক্ততা তো কিছু কম ছিলনা ,
তারচেয়েও ভালবাসাটা, কিছু বেশি ছিল বুঝি?
মনের চৌকাঠে আজ আলোকবর্ষ দূরত্ব ,
এই দূরত্বই কী তবে বাঁচিয়ে রাখে
ভালবাসা ছুঁয়ে দেখার অনুরাগ,অভিমান ,
কান্না করা অস্হিরতা … ?
এই দূরত্বই কী অপেক্ষা শেখায় ?
অভিমান সাজায় ? পরস্পরের থেকে দূরে থেকেও কাছে আগলে রাখার নিখুঁত যত্ন শেখায় !
জানি তুমি খুব প্রেম জানতে,
পরে পরে আমিও শিখেছি খানিক তোমার থেকে,
তবুও তোমার প্রেমেতে যখন আমার কৈশোরী লজ্জা ছিল ,আধপোড়া ভয় ছিল,
তখন তুমিইতো আমাকে হাতের পরে হাতের পরশে প্রেমটুকু শিখিয়েছিলে চুপকথায়…
শিখিয়েছিলে নীরবে ভালবাসতে নিশ্চুপে…
এত প্রেম কেমন করে জান তুমি ?
কি করে শেখালে এত প্রেম আমায় ?
আজ যখন তোমার অসহায়তা আমায় যাতনা দেয়, মন কেমনিয়া শীতলতা দেয়, ভেজাচোখে খসখসে একটু অভিমান দেয়, তখন শান্ত দিঘীর মত ব্যাকুলতাকে বশ করার সুপ্ত কৌশলটুকু
চুপমনে কেন শিখিয়ে দিলেনা ?
কেন দিলেনা অপ্রেমটুকুও শিখে নিতে ?
আজ যখন সকল লজ্জা ,ভয়, দ্বিধা, দ্বন্দ্ব কাটিয়ে তোমার প্রেমরাগে রঞ্জিত হলাম,
তখন তুমি আগুন হয়ে এলে ফাগুন মনে ?
তবুও তোমার অপ্রেমের আগুন আমায় জ্বালাতে পারেনি,সেদিনের মত আজও আমায় ভিজিয়ে দেয় …
আর দূরের আকাশের ঐ নিঃসঙ্গ তারাদের মত আমি আজও তোমার আগুনে, প্রেমের আলোটুকু খুঁজে নিই অপ্রেম অভ্যেস করতে ……
তবু কেন এত মায়া ?
কে শেখাল বলতো এত মায়া,
তোমাকে , আমাকে ??
সম্পর্কের মধ্যে নৈকট্য এলেই অধিকারবোধ জন্মায়,সেই অধিকারবোধ থেকে উঠে আসে মান,অভিমান, ঝগড়া,কিন্তু সেই ঝগড়া কি হতে পারে বিচ্ছেদের ? সেই ঝগড়াকি সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গন ধরায় ,মান অভিমান কি সম্পর্কের মধ্যে দুরত্বই তৈরী করে,নৈকট্য আনেনা ?
মান অভিমানের মতোই ঝগড়াও লাইফের একটা পার্ট ; তাই তা নিয়ে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই,
যে কোন সম্পর্কের মধ্যে যদি ভালোবাসা,শ্রদ্ধা,বিশ্বাস থেকে থাকে,তবে চুটিয়ে ঝগড়া করে যান ,,আর যদি তা না থাকে তবে নীরবে সরে যাওয়াই ভালো,
কেননা সম্পর্কে শ্রদ্ধা ছাড়া কোন সম্পর্ক বাঁচেনা,
সম্পর্কের মৃত্যূ হয়তো হয়না,
হয় অপমৃত্যূ
রোজ, রোজ,
প্রতি রোজ…..
আমার সেলাই করা বুকের মধ্যে
নিদ্রাহীন রাতে বিশ্বাসঘাতকের মরশুমি যুদ্ধ চলে,
আমার হাতের তালুতে অট্টহাসির রোল তুলে
অবিশ্বাসী মুখটা,আমার সদ্যস্নাত চোখ
সাদা সাদা ইচ্ছে ওড়ায় রাতদুপুরে,,
তবু ইচ্ছেদের ভাঁজে বিশ্বাসঘাতকের গন্ধ,
আমার প্রতিটি রাতের পিঠে অবিশ্বাসের গল্প,
তবু অন্ধ বধির রাতগুলোই বিশ্বাসী বন্ধু হয়ে থেকে যায় চোখের শিরায় শিরায়
বুকে কেবল মেলবন্ধনের অসুখ ছড়ায়…
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..