দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
ভাবছিলাম অবকাশে কাছে এসে দাড়াবো
তেমনই চাঁদ থাকবে
ছাদের ওপর পাখিদের হল্লা হবে
কুড়িয়ে বাড়িয়ে নেব
সকাল আর বিকেলের সুঘ্রাণ
ফিরতি টান অনুভব করিনি
তাই বেঁচে আছি
না হলে আমার আগুন ছাই হত
এখনো দিব্যি আমি পুরুষ
পুকুরে স্নানে নামলে মনে হয়
আহ এই তো বেঁচে থাকা
পাখিদের ডাক শুনি
এখনো ক্রিকেট ডাক দেয়
লাল বলে এখনো আঁচড় লাগে
আমি জমিনে দেখি মাটি
আর আকাশে উড়ছে খোয়াবের আশ্চর্য
ঘুড়ি
ঘুম ঘুম লাগছে
ক্ষুধা জেগে আছে তলপেটে
ওখানে হাঙরের ক্ষুধা
নারী মাংস পেলে শান্ত হতে পারে
আর যদি না পারে তাহলে
এন্টিসাইকোটিক ড্রাগ দিও
আমার হাত খুলে দেখছিলাম খুচরো
পয়সার মতো বয়স চলে গেছে
পায়ে লেগেছে উদাসীন ঢেউ
চোখগুলো এখনো ঘুমকাতুরে
ঘুমের মধ্যেই মনে হয় চলে যাবো
একদিন।
আচঁল ভালো যদি তুলে নিলে
পুকুর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বিকেল
কবিতার শেষে নামগান গুলো
মাইকে ভেসে আসছে
রাতের শেষে নেমে আসবে কোন মধ্যযুগের রুপোলী ভোর…
বৌদ্ধ পতাকায় হাওয়া লেগেছে
ভ্রমণের প্রান্তে গান আর সারি সারি
রোদের উল্লাস
শূন্য উপত্যকায় শুধু মনখারাপের ঢেউ
আমার ভালোবাসা বেঁচেই আছে মরেনি
পুকুরের মধ্যে নেমে গেছে হাঁস
বালিকা তুলে এনেছে কল্মি শাক
আর আকাশের শেষে কে যেন লিখে
রেখেছে বজ্রপাত
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..