অবকাশ

ওয়াহিদার হোসেন
কবিতা
অবকাশ

অবকাশ

ভাবছিলাম অবকাশে কাছে এসে দাড়াবো

তেমনই চাঁদ থাকবে
ছাদের ওপর পাখিদের হল্লা হবে

কুড়িয়ে বাড়িয়ে নেব
সকাল আর বিকেলের সুঘ্রাণ

 

টান

ফিরতি টান অনুভব করিনি
তাই বেঁচে আছি

না হলে আমার আগুন ছাই হত

এখনো দিব্যি আমি পুরুষ
পুকুরে স্নানে নামলে মনে হয়

আহ এই তো বেঁচে থাকা

 

পাখিদের ডাক শুনি

পাখিদের ডাক শুনি

এখনো ক্রিকেট ডাক দেয়
লাল বলে এখনো আঁচড় লাগে

আমি জমিনে দেখি মাটি
আর আকাশে উড়ছে খোয়াবের আশ্চর্য
ঘুড়ি

 

ঘুম

ঘুম ঘুম লাগছে

ক্ষুধা জেগে আছে তলপেটে

ওখানে হাঙরের ক্ষুধা
নারী মাংস পেলে শান্ত হতে পারে

আর যদি না পারে তাহলে
এন্টিসাইকোটিক ড্রাগ দিও

 

আমার হাত খুলে

আমার হাত খুলে দেখছিলাম খুচরো
পয়সার মতো বয়স চলে গেছে

পায়ে লেগেছে উদাসীন ঢেউ

চোখগুলো এখনো ঘুমকাতুরে
ঘুমের মধ্যেই মনে হয় চলে যাবো

একদিন।

 

আঁচল ভালো

আচঁল ভালো যদি তুলে নিলে

পুকুর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বিকেল

কবিতার শেষে নামগান গুলো
মাইকে ভেসে আসছে

রাতের শেষে নেমে আসবে কোন মধ্যযুগের রুপোলী ভোর…

 

উপত্যকা

বৌদ্ধ পতাকায় হাওয়া লেগেছে

ভ্রমণের প্রান্তে গান আর সারি সারি
রোদের উল্লাস

শূন্য উপত্যকায় শুধু মনখারাপের ঢেউ

 

বজ্রপাত

আমার ভালোবাসা বেঁচেই আছে মরেনি

পুকুরের মধ্যে নেমে গেছে হাঁস

বালিকা তুলে এনেছে কল্মি শাক

আর আকাশের শেষে কে যেন লিখে
রেখেছে বজ্রপাত

ওয়াহিদার হোসেন। কবি। জন্ম ১৯৮৬, ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি রাঙ্গালিবাজনায়। লেখাপড়া করেছেন ইংরেজি সাহিত্যে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন শিক্ষক। চাকরি করছেন ডুয়ার্সের এক প্রত্যন্ত চা বাগানের প্রাথমিক স্কুলে। প্রকাশিত বই: 'মধ্যরাতের দোজখ যাপন' (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৩) এবং 'পরিন্দা' (কাব্যগ্রন্থ,...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..