অব্যক্ত প্রেমের ঘুমন্ত প্রেমিক

তুলোশী চক্রবর্ত্তী
কবিতা
Bengali
অব্যক্ত প্রেমের ঘুমন্ত প্রেমিক

অব্যক্ত প্রেমের ঘুমন্ত প্রেমিক

যুগল প্রেমের
সংগম স্রোতে ভেসে ভেসে
আমি কার জন্য
এসেছি গো এই ত্রিজগতে?
কি হয়েছিল পূর্ব জন্মে
কোনো অঘটন?
তাই বুঝি হয় না আজো তার সঙ্গে
কোনো মনের মতো কথপোকথন,
বিধিরে কেনো দিলে মোর মনে
এইরুপ ভালোবাসা?
মোর অব্যক্ত প্রেম প্রকাশের
দিলেনা কেন কোন ভাষা?
ব্যথাক্লান্ত প্রেমিক মন আজ ঘুমন্ত
তাই জানে না মোর মনের কোন কথা,
তাই সে বোঝে নারে কেমন হয়?
খোলা ডাইরির পাতার হাহাকার ব্যথা,

আধুনিক প্রেম না জানি
কতো জীবনকে দিয়েছে বিদায়
শুধু মিথ্যে
প্রবঞ্চনায়,
মনের কোনে মেঘগুলি তবু
প্রেম খোঁজে হায়!
চেতনা বিরহীত
এ প্রেম দরিয়ায়,
মোর স্বপ্নের বসুধা
আজ ছেয়ে গেছে বিষে
তবু কেনো ক্ষনে ক্ষনে মোর মনে
প্রেমানুভুতি আসে?
বেদনার্ত কন্ঠ মোর
পৌচ্ছায়নি আজো কেন তার হৃদয়ের দ্বারে?
ফোলা ফোলা দুটি চোখে
যুগে যুগে খুঁজি যারে বারেবারে মনের মাঝারে।

 

সেই ছেলের আত্মকথা

নেশা করি তাই আমারে ভাবো বদ
আরে কষ্ট কমাই খেয়ে অল্প মদ
নিকোটিন পুড়ে ঠোটের ফাকে
মহাসুখে বছর কাটে,

মজা পাই তাই খাই
নিষেধ করে লাভ নাই,
তুই বলিশ নেশায় হচ্ছে আমার অকেজো মাথা
সত্যি কি ভাবিশ আমার কথা?

জানি নেশায় করে স্মৃতি শক্তি ক্ষয়
করবো কি?এটাই প্রিয়ার চলে যাওয়ার বিনিময়
অনেক বড়ো হবো ,রয়েছে কতো আশা
মাথা ঝিমায় ,চোখে খুজে পাই না দিশাढ
এই ভবের কানামাছি খেলা
করেছে অভিনয় আর অবহেলা

তুমি অশিক্ষিত ইংলিশ জানোনা
বক বক করে কিছু বুঝাতে এসোনা,
সিগারেট পুড়ি টেনশন থেকে বাঁচার চেষ্টা,
আমি খাই ,তোর কি?তুই না করার কোন কেষ্টা?

 

বড়দিন

পঁচিশে ডিসেম্বরে
প্রভু যীশুখৃষ্টের জন্মদিন
গীর্জায় গীর্জায়
খ্রিষ্টানেরা প্রার্থনায় লীন,

বিশ্বে দিনটি আবার আনন্দের
উৎসবের শুভবড়দিন
কেক কাটে নাচে গায়
সাজসজ্জায় তাধীনাধীন,

সাদা লাল পশমের
টুপি ও পোশাক গায়ে,
কোমরেতে কালো বেল্ট
আর কালো বুট জুতো পায়ে,

দুধ সাদা গোঁফ আরো
উপহারের এক ঝোলা কাঁধে,
স্যান্টাক্লজ আসে সেদিন
আনন্দে মাতে শিশুদের মধ্যে,

তার ঠোট ভরা হাসি
আর চোখে থাকে চশমা,
স্যান্টা দাদুর সাজের
হয় নাকো কোনো উপমা,

কতো শতো ভবন সেদিন
থাকে আলোয় শোভিত,
ক্রিসমাস বৃক্ষ থাকে
পাশে সুসজ্জিত,

এমন সুখের দিনেও
বহু শিশু কেনো থাকে বিনান্নে?
কারন কোনো স্যান্টা আডো
বিশ্বে আসেনি তাদের জন্যে।

 

স্বামী বিবেকানন্দ

তুমি আদর্শ মহামানব তথা যুগাবতার
তুমিই শ্রেষ্ঠ সেবক বিশ্ব মানবতার,
তব পদে বারে বারে শ্রদ্ধানম্র প্রনাম
সিমলার নরেন্দ্রনাথ দত্ত,বিলে তোমার ডাকনাম,
তোমার দেখানো পথ যে জন অনুসরন করে
অন্ধকার থেকে সে শীঘ্র পৌছায় আলোর দুয়ারে
তোমার বানী চিরন্তন হৃদয়ে অনুপ্রেরনা য়োগায়
কঠিন সময়ে মনোবল ধরে রাখতে শেখায়
একাধারে তুমি প্রাবন্ধীক তথা লেখক
তুমি দার্শনিক ,সঙ্গীতঞ্জ তথা গায়ক
তোমার লেখা প্রাশ্চ প্রাশ্চাত্য-বর্তমান ভারত
প্রতিটি গ্রন্থই যেনো জ্ঞানের তথ্যে পুর্ন সাহিত্যের আরত
শুনে তোমার সমধুর কন্ঠের গান
তব গুরু শ্রী রামকৃষ্ণও পরম তৃপ্তি পান
তব সৃষ্ট অমৃত গীতি
“নাহি সুর্য নাহি জ্যোতি”
কিংবা তোমার কবিতা “সখার প্রতি”
সবই বহন করে চলছে তোমার শ্রেষ্ঠত্বের পরিচিতি,
শিকাগো বিশ্ব মহাধর্ম সন্মেলনের প্রধান বক্তা যিনি
তুমি সে আদর্শ মহামানব ,তোমায় আমরা আজো ভুলিনি।

 

বাগদেবী বন্দনা

মা গো শ্বেতবরনী বীণাপাণি বীণায় ধর টান
ঝংকারে ঝংকারে তুলো হৃদয়ে কবিতার বান,
মাঘ মাসে শুক্ল পঞ্চমীতে তিথিতে
পূজা করে সবাই তোমায় এ জগতে,
বিদ্যার দেবী রুপে খ্যাত তুমি ভুমন্ডলে
তোমার আশীর্বাদে মানব ধন্য হয় নরকুলে,
অল্প বুদ্ধি আমি মাগো ভয়ে কাঁপে অন্তর
কৃপা দৃষ্টি রেখো মাতা আমার উপর,
তোমার চরনে জানাই ভক্তিযুক্ত সহস্র কোটি প্রনাম
হে মা জননী তোমার কৃপায় মূর্খ হয় জ্ঞানবান,
যত দেবী আছে এই ব্রহ্মান্ড মাঝারে
তোমার স্থান মাগো সবার উপরে,
বাগদেবী ছাড়া মানুষ হয়ে যেতো বোবা
বাগশক্তি আছে বলেই বিশ্বে মনোরম শোভা,
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তোমার পূজা করেছিল প্রথম
কৃপা করো মা আমায় আমি বড় অধম,
অপূর্ব বীণা এক থাকে তোমার হাতে
শ্বেত বর্ন হংস বাহন রযেছে সাথে,
শ্বেত পদ্মে উপবিষ্ট,শ্বেত পুষ্প মালায় তুমি শোভিত
আর নানাবিধ শ্বেত অলংকারে ভূষিত,
স্মৃতি-জ্ঞান-বিদ্যা সবই কৃপায় তোমার
মাগো তোমার পায়ে জানাই হাজার নমস্কার।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..