শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
শব্দগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছে গুহার গহ্বরে;
সৃজনশীল স্বপ্নগুলো হারিয়ে যাচ্ছে রূঢ় বাস্তবে।
আর আমি হারিয়ে যাচ্ছি প্রবল
সাদা শৈত্যপ্রবাহে।
পুরু বরফের স্তরে সারা শরীর,
শুধু হাত দুটো বরফের উপরে।
শব্দ আর স্বপ্নগুলো একে অপরকে
জড়িয়ে শীতঘুমে আচ্ছন্ন।
কবে এন্টার্কটিকা উষ্ণ পরশ পাবে
কে জানে? কে বলতে পারে?
আমি বসে আছি তোমার
চোখ ও ঠোঁটের উষ্ণ অপেক্ষায়।
মানুষের ভিতরে বৃষ্টির বড় অভাব,
বাইরে বৃষ্টিতে স্নাত হয়ে কি লাভ!
অন্তরে যদি প্রাণ না থাকে
তবে মানুষ হয়ে কি লাভ!
আবেগ নিয়ে যদি কাটাকুটি খেলো
সবই যদি মাথা দিয়ে ভাবো
তবে তুমি যন্ত্র ছাড়া কিছু নও।
আদিম রক্ত এখনো তোমার শরীরে,
ভালোবাসার আলো এখনো তোমার অজানা,
শুধু খোলস বদল করলে কি লাভ!
আসল মানুষটা তো
সেই আদিম থেকে গেলো।
মানুষের ভিতরে বৃষ্টির বড় অভাব,
বাইরে বৃষ্টিতে স্নাত হয়ে কি লাভ!
অন্তরে যদি ভালোবাসা না থাকে
তবে মানুষ হয়ে কি লাভ!
বাড়ির ছাদে উঠে হাত বাড়ালেই
মেঘ ছোঁয়া যায়;
কোনোদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম না—
‘কিসে তোমার চোখের জল,
কিসে তোমার আলোকিত হৃদয়’?
বৃষ্টিকে ছুঁয়ে পুলকিত
আর দামিনী থেকে নিজেই সরে গেছি।
কখনো মেঘকে বলি নি
‘ এসো তোমার সঙ্গী হই,
এসো আমার মনে একটু জায়গা দি’।
মেঘেরও তো ইচ্ছে হয়
মনের কথা শুধাবার।
মেঘেরও তো ইচ্ছে হয়
তার যাত্রাপথে তার হাত
কেউ ধরে বলুক
আমি তোমার পাশে পাশে আছি।
আমরা কেউ কারুর পাশে নেই,
পাশে থাকতে পারি না, জানি না—
কারণ ছোটোবেলা থেকেই
নিজেকে বেশি বেশি করে ভালোবাসতে শিখেছি।
আর অন্য কারুর কথা ভাববার
অবকাশ নেই।তৈরিও হয় নি।
মেঘের মতো আমরাও যে একা, বড্ড একা।।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..