যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
অজানা, অচেনা
হঠাৎ ভালোলাগার কবিতা
অজানার মত দীর্ঘ হয়-
যেন কিশোরী রাতের বিস্ময়
লাজুক জোনাকি হয়ে উঠে;
স্নায়ুর নিস্তব্ধতা আর
অন্তর্জীবনের ঠোঁটে
অস্থিরতার ভেতরে বাইরে
নুয়ে পড়ে
উদ্বেগের অসহিষ্ণু শরীরে
এইসব বেঁচে থাকায়
শুশ্রূষাহীন বেদনায়
বিস্মিত আওড়ায় ক্রমাগত
ছা-পোষা জীবনের
অচেনা ক্ষত
বয়সী সময়
ভালোলাগার ঘন্টা বাজে-
তবু ভালোবাসার ছুটি হয় না
অপেক্ষায় রেখে যাওয়া রাজকন্যা
হয়ত ভুলেই গেছে
কেউ একজন
এখনও দাড়িয়ে আছে
বয়সী সময়ের কাছে।
অতীত বৃক্ষ
কেউ কেউ অতীত-বৃক্ষ হয়ে যায়-
সেখানে কৈশোরের রোদ জ্বলে
আকাঙ্ক্ষার অহেতুক বৃষ্টি ঝরে
আর স্মৃতির করতল থেকে
নিয়তির পাখিরা এলোমেলো উড়ে;
স্বপ্ন-যাপনের প্রহরে প্রহরে
ভালোলাগার ফিনিক্স
মায়ার মত ঘুরে
সে অতীত-বৃক্ষ জুড়ে
অভিজ্ঞান
নিজেকে ভেবে ভেবেই
জীবন কাটাচ্ছি
দেখছি
নদীরা ভিজে গেছে
বর্ষার কাছে
মাতাল স্রোতের মত দুলছে
আমাদের লোকায়ত জীবন
মৃগয়ার বন
ছেয়ে গ্যাছে
অনুপস্থিতির ক্যাকটাস
এক রাগী বেড়াল
খামচে দিচ্ছে
কবিতার শরীর বারোমাস
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..