যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
অভিমানী
–সবর্না চট্টোপাধ্যায়
১.
পেঁচিয়ে উঠছে শ্বাস
বুকে কাঁটা দেয়…
ছলছলে চোখ আশ্রয় খুঁজতে খুঁজতে
পেরিয়ে এসেছে দীর্ঘ শতাব্দী…
‘এক হওয়া হল না আর!’
২.
গোথিক আকারের বার্চের মুখে
ঝুঁকে পড়া চাঁদ…
চার্চের ভেতর কতকাল ঢোকেনি কেউ!
পাতা ঝরা… নিঃসঙ্গতা
হুঙ্কার দিচ্ছে সিংহের মতো!
৩.
আমার দেয়ালে ছিল ছায়া ছবি…গাঢ় নীল
একা দ্বারকাপতি…
চোখের মায়া টানে ডুবছে কত মাছ
গহন গিরিখাত….
অন্তরে আত্মায় জটিল সময়!
৪.
‘কতবছর মাস দিন! কোথায় ছিলে বলো’
কিভাবে কেটেছে তিক্ততা, অভিসার!
পেঁচিয়ে উঠেছে শ্বাস…
যতবার ভেবেছি…’এক দূরের জাহাজ
অস্তাচলের দিকে চোখ রেখে
বানিজ্যে গেছে’…
৫.
ফেরার সময় বুঝি…
হারানো জলের স্রোতে ছেঁড়া পথ।
জমেছে ফেনা! জমতে জমতে
শ্যাওলায় কালো হয়ে আসা…এক অবুঝ শিলালিপি…
মুখ বুজে বসে আছে জলের নীচে… তার
স্পর্শের অপেক্ষায়!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..