দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
অনভ্যস্ত চুমুক জমকালো হয়। অমলতাসের পাতায় পাতায় ছেয়ে আসে তীব্র প্রেম। অস্ত যাওয়ার আগে ভয়ানক হয় সূর্য।
আর মাটি! শিকড়’কে কে বঞ্চিত করে পালক পালক মেঘ একজোট করে।
সবটা জেনেও বৃষ্টি’কে কেউ বিদ্রোহ বলে না।
এরপরই একটা জলজ্যান্ত আকাশ গিলে নেবে বলে সমুদ্র উর্দ্ধমুখী হয়। স্পর্ধার নাম হয় পাহাড়। জমানো ইতিহাসে গর্ভসঞ্চার হয়।
আর জন্ম! অভ্যস্ত হয় অন্ধে। আলোয় মাতে বহির্বিশ্ব।
অজানাগুলো আকাশ হয়।
হয়ত হয় না কিছুই। আসলে যা হয়। মনে হওয়া সবটাই। যেমন বিস্ফোরণ। ছিটিয়ে পড়া শব্দ। শক্তি। নৈশব্দ।
গোঙানিদের থিতু হয়ে যাওয়া।
এই মৃত্যুটা নিয়তি ছিল তবে! এত নিয়মিত! এত সংগঠিত! সাধারণ! হয়!
অদূরেই গঙ্গা। চেনা জল। অচেনা স্রোত। মুখোমুখি হলেই গুলিয়ে যাচ্ছে।
বিস্ফোরক গৌরবান্বিত হচ্ছে।
এখনই সঙ্গমে বিষ চাইছি। বারুদের গন্ধমেশা হাওয়া টেনে অসুস্থ হয়েছে অমলতাস। আমাদের সন্তান শুশ্রূষা হোক তার।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..