প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
অলৌকিক আরোগ্যকারী এক শিশুর জন্ম বেথেলহাম শহরে
মানবের পাপ বিমোচনে স্বর্গের দূত হয়ে এসেছিল পৃথিবীতে
এই স্বর্গ দূতের ছোঁয়ায় অগণিত মানব আরোগ্য পেয়েছে
মানব কূল পেয়েছে ত্রাণকর্তা দর্শন সততা শান্তির বার্তা।
এই ধরিত্রী হতো অদৃশ্য অনুজীব মুক্ত
এ শতাব্দীতে যদিবা আসতো এই ছোঁয়া আরোগ্যকারী
বিশ্বমানব হতো ক্ষণিকেই করোনামুক্ত।
বড়দিনের আলোকসজ্জ্বায় নগরে মানুষের ঢল আড়াইকোটি
যেখানে গত বছরও মানুষের পদচারণায় কোলাহলে মুখরিত
এবার করোনাকালের জন্য আধাকোটি মানুষের সমাগম
করোনাকালে হবেনা কোন গীর্জায় সমাগম ও প্রার্থনা
এবার সীমাবদ্ধ ঘরে ঘরেই যীশুর জন্মোৎসব।
কেনা-কাটা, ভ্রমণ ও উপহার বিনিময় হবে সীমিত
অনুজীবের ভয়ে করোনাকালে সান্তাক্লস এবার উধাও
শিশুরা পাবেনা এবার কোন ক্যান্ডি ও চকোলেটের সম্ভার
নীরোগ বিশ্বে করেনামুক্ত আগত নতুন বছরের শুভ বড়দিন
শুভ হোক শান্তিময় হোক কল্যাণময় হোক সকল বিশ্ব মানবের।
লাল সবুজের পতাকায় রক্তে রঞ্জিত লক্ষ শহীদের বিজয়
২৬৫ দিনের সশস্ত্র যুদ্ধের বিনিময়ে পেলাম আমার ভূখণ্ড
৭১ এর যুদ্ধ হলো বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজ পতাকা অর্জন
এই ভূখণ্ডের মাটিতে লাল রক্তে আঁকা লাখো শহীদের বিজয়।
পদ্মা-মেঘনা,যমুনা অলি গলিও সাক্ষী ছিল রক্ত ঝরানো বিজয়ে
এই যুদ্ধে পিছিয়ে ছিলনা তারামন সেতারা জ্ঞানবালা ও কাঁকন
দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছি লাল সূর্যের পতাকা
আমার ভূখণ্ডে নেই কোন জাতি ধর্ম ও বর্ণের বিভেদ হিংসা-বিদ্বেষ।
পাঁচ দশকের ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে দাঁড়িয়ে আছি মাথা উঁচু করে
ঝড়ঝঞ্জা যতই আসুক আমি আমার পতাকা সদা সমুন্নত রাখবো
লাল সবুজ আমার গর্ব আমার অহংকার সার্বভৌম স্বাধীন ভূখণ্ড
আমার পথচলা চির অনন্তকাল এগিয়ে যাবো আমি দুর্বার গতিতে।
বিষময় বিদায়ের ঘন্টা বেজে উঠলো দিগন্তে
একটি বছর ঝরে গেল জীবনের পাতা থেকে
পুরাতনের জরাজীর্ণতা কেটে নতুনের আগমন
দুহাজার বিশ সনের করোনাকে বিষ মুক্ত করে
নীরোগ বিশ্বকে নতুন আলোয় আলোকিত করা।
হাসি, কান্না, সুখ-দু:খ সব ভূলে নতুন ভোরের প্রত্যয়
একাকী দাড়িয়ে আছি মধ্যরাতে টাইমস স্কোয়ারে
ক্রিষ্টাল বলের নতুন বছরের সূচনা ঘণ্টীর অপেক্ষায়
যেখানে প্রতিবছরই আধাকোটি মানুষ সমাবেত হতো
নতুন আশা নতুন সঙ্কল্প ও নতুন প্রত্যাশা নিয়ে
নব প্রজন্ম পরিকল্পনা নিয়ে গড়বে নতুন বিশ্ব।
হবেনা পার্টি ও কেক কাটা সবই ভার্চুয়াল
হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে মনন রুচির পরিবর্তনে
নতুন বছর সর্ব মানবের জন্য শান্তির বার্তা
নতুন বিশ্ব হবে মানবিক নবরূপে পরিশুদ্ধ।
নিখুঁত পরিস্কার সাদা ধবধবে শুভ্র তুষার
পৃথিবীর রূপকে আলোকিত করে তোলে
অপরূপ ধরিত্রীকে একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই
রাশি রাশি তুষারের ছোঁয়ায় বিশ্ব-বিমোহিত।
পরীদের কান্নার জলে মুছে যায় সব দু:খ
পত্রহীন বৃক্ষে আসে খুশীর ঝিলিক
শিশুরা বানায় নানা রকমের স্নোম্যান
পাহাড়ের ঢালুতে শুরু হয়ে যায় স্কেটিং।
ঝলক তুষার স্পর্শ আমার নয়ন ছুঁয়ে দিল
তুষার স্পর্শে আমি আনন্দে আত্মহারা
ক্ষণে ক্ষণে আমি নবযৌবনে ফিরি
তুষার স্পর্শে আমোদের এ ভূস্বর্গ!!
শুভ্র আভায় আলোকিত এ ভূবন
পত্র ঝরা বৃক্ষ এক ফ্রেমে বাঁধা চিত্র
রাস্তার দুধারে আচ্ছাদিত বরফের স্তুপ
তুষারগিরি প্রকৃতির মোহনীয় নব রূপ।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..