অশ্লীল কাব্য

কাকন রেজা
কবিতা
Bengali
অশ্লীল কাব্য

কবিতাগুচ্ছ

মনে রেখো
গ্লাসটা খালি হলে উঠবো ঠিক দেখো
খালি গ্লাস এখানে শরাব ছিলো মনে রেখো

কফি ও কাপ
কফিতে চুমুক দিই নাকি কাপে
এ দুয়ের প্রশ্নে ভালোবাসা মাপে

বিষাদ
বুজে থাকা চোখ দেখে হলুদের রঙ
বিষাদ বুনে নেয় বুকের জমি তোমায় এবং

ঋণ
বহুদিন ঋণে ডুবে আছি… দীর্ঘতম ঋণ
স্পর্শের ঘি খাই পাত চেটে আমি অর্বাচীন

অপেক্ষা
তুমি কি খুব দূরে থাকো, খুলে রাখি চোখের ঝাঁপি
বাস্তুসাপ তুমি, ফিরে আসো, খুব ভালোবাসা মাপি

ঠিকানা
আমি লিখি ঠিকানাবিহীন, তুমি পেয়ে যাও চিঠি,
আকাশ কি তোমার ঠিকানা, শূন্যতার পিঠাপিঠি?

গল্প- ২
সে তার গহীনে ঢুকে পড়ে
গল্পটা তারপরে-
না, সে থাক
যে যাবার যাবে, যাক।

গল্পটা না হোক শেষ

গল্প- ৩
তোমার আমার গল্প সবে শুরু
কেউ সেটা বললো পড়ে ধুরু;

তোমার আমার গল্প হলো শেষ
অন্য কেউ মুড়ে বললো বেশ।

গন্তব্য
কাঁটাতার ভাগ করে জমিন বুকের
কিংবা বুক পেতে নেয় কাঁটার প্রহার

যাতনা বিক্ষোভ আনন্দ শোকের
অকারণে ঘটে যায় প্রকাশ তাহার।

রাস্তা বসে আছে, সাথে আমি
গন্তব্য কোথায় জানে অন্তর্যামী।

আগুন
আগুন আগুন, আগুন আমার
ভেতর জামার-
ভীষণ গভীর পুড়ছে দেখো
দেখে দেখে পুড়তে শেখো।

অশ্লীল কাব্য

ঘুমুতে যাবার আগে বলি
এখনো সময় আছে, গোপন দরোজা খুলি

দুই
ছিড়ে ফেলি অনভ্যস্ত রাতের পোশাক
চলো অশালীন হই শালীনতা দূরে থাক

তিন
অশ্লীল বলবে লোকে, বলুক
দু’চোখের মনিটরে নীল ছবিটা চলুক

চার
শীৎকারে জাগুক কান
শুনুক সবাই জীবনের আহবান

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য- ১

তুমি কি দেখতে চাও শাড়িটা খুলে
অথবা খোলা যায় কোন কৌশলে
খুব করে ভাবো,
শাড়ি খুলে তৈরি, আমি যাবো।
দেখি কতটুকু পারো তুমি
কর্ষণে আমার ভূমি,
যোগ্য কৃষাণ কি হবে
অনাবাদী থাকে যদি তবে?
প্রশ্নটা রেখে গেলাম ঠিক আগে
সহসা যদি তার পৌরুষ জাগে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য- ২

স্তনবৃন্ত দেখি, প্রতীক্ষা কাঁপে তিরতির
বৃষ্টির প্রার্থনা শেষে চাতক অধীর।
আহা, পিপাসার কষ্ট বোঝানো যে দায়
জলটা আটকালো কে, সে কোন বাধায়।

জানিতো তৈরি স্খলনে, বাঁধ নাই কোনো হৃদে
বান ডাকুক, জলের প্লাবন, কোথায় অসুবিধে!
সাঁতারে অপটু কি সে, অথবা জলেতে ভয়
শেখাবে ভেসে থাকা নিশ্চিত, দিয়েছে অভয়।

বান ডাকে, উপচানো নদীতে ভাসানের কাল
ব্যাকুল অপেক্ষা বোঝে না সে, ভীষণ আবাল।

কাকন রেজা। লেখক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ৬ মার্চ, বাংলাদেশে, ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে। তারুণ্যের দিনগুলো পাড়ি দিয়েছেন লেখকের নিজ জেলাশহর শেরপুরে। তাঁর বাবা মরহুম আব্দুর রেজ্জাক ছিলেন, একাধারে লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিক। মা জাহানারা রেজ্জাক এক সময়ে ছিলেন...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..