আকাশলীনা তোর জন্য

বিদ্যুৎ ভৌমিক
কবিতা
Bengali
আকাশলীনা তোর জন্য

যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না … তিন সত্যি ! দিব্বি কাটছি !

এই ভাবে ঠিক মনের মধ্যে প্রতি মূহুর্ত আঁকতে আঁকতে গভীরে তোর লাবণ্যরেখা ; এরপরেতে মেঘের দেহে হঠাৎ করে আচম্বিতে আগুন জ্বলে ওঠে , নতুন কেনা আয়না দিয়ে অঝর ধারায় শ্রাবণ নামে ছন্দ না মেনে ! ঠিক এভাবেই সে–ই আগের মতই দলবেঁধে বৃষ্টিরা সব একই সাথে নেমে আসে ভুবনডাঙায় ভরদুপুরে ! কি,  বিশ্বাস হ’চ্ছে না আকাশলীনা ?

 

শেষ সন্ধ্যায় চাঁদের আলো কী ভাসমান অসাবধানী ; তবুও যেন ভালো লাগা , মন্দ লাগা যাইনি ভোলা ! তোকে ছুঁয়ে বলছি…

দুই হাতেতে হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টি আদর ; হৃদয়পাড়ে যত্ন করে রাখাই ছিল সাতটা বছর ! এটা আমার সর্বকালীন সত্যি কথা ; তবুও আমি বুক বাজিয়ে বলতে পারি ,— তোর মত একটাও মিথ্যা বলতে পারবো না !

 

অন্ধকারকে বনের পথে খুঁজতে গিয়ে আকাশ আমায় হাত বাড়িয়ে দু’চার মুঠো হীরের মতন জ্বল জ্বলে কত তারা দিল , বিনে পয়সায় !

এই যে আমার মনের মধ্যে সমুদ্র এসে সতত ঢেউ তোলে ; তবুও যেন তুমি শূন্য তুমি শূন্য এই বিছানা… অবিবেচক প্রতিটা রাতে !

যদিও আমার স্বপ্ন থেকে নতুন একটা আকাশ ডাকে ; রূপকথারা সেই হরিণীর পেছন ছোটে মৃগনাভীর ব্যাকুলতায় !

 

হঠাৎ করেই অন্য একটা সময় এসে হাজির হলো ! এই তো আমার ঠোটের মধ্যে তোর আঁকা সেই প্রথম চুমু ; অটুট তবু স্মৃতিনির্জন… তবু কেন এই এতক্ষণ তোরই জন্য অতল জুড়ে বৃষ্টি ভেজা সকাল – দুপুর – সারারাত্রি !
অন্য একটা দিনের মধ্যে সে-ই তোকে তাই গুছিয়ে রাখি ; স্বভাবদোষে !

 

বাতাসপরীর ডানার ঝাপট স্বপ্নে স্বপ্নে স্মৃতি নির্ভর ; অথচ কেন ভেতর থেকে ভুলতে চেয়েও যায় না ভোলা তোর দেওয়া সেই শর্তগুলো ! বহুদিনের কষ্টরা সব মিথ্যা মিথ্যা দগ্ধে মারে অতলান্ত… শেষ পর্যন্ত এমন থেকে এতকালের বৃষ্টিগুলো বের করে দেই ; অথচ আমি অনেক চেষ্টায় না পারি যে তোকে ভুলতে, সত্যি বলছি আকাশলীনা ! তিন সত্যি , দিব্বি কাটলাম … !

বিদ্যুৎ ভৌমিক। কবি। জন্ম ও বাস ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের হুগলী জেলায়।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..