শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
হোগলার বন জুড়ে এক বেয়াড়া বাতাস শিকড় নাড়ায়
চুপিচুপি জমানো অন্ধকার টেনে নেয় অসহায় রমণীর
লজ্জাবস্ত্র যেন দুর্দম লম্পটের মতো! নিরুপায় মন আর
নিষ্ঠুর মননের খেলা।
দুর্বোধ্য নিয়মের ঘাত-প্রতিঘাতে কত হ্যাঁ কিংবা না এর
হিসাব ওলটালে কতটা তাপ বা শৈত্য সহনবেলায় নামে
তার হিসাব কে রাখে?
একটি বিচ্ছিন্ন মন যদি কোণ ভরে অজস্র ইসিজির ছবি আঁকে
তবে শীতপোড়া সাপের মতো তাকে খোঁচানোর কারণ
থাকে কি না ভাবা উচিত। পুনর্নির্মাণ বা বিনির্মাণে মগ্ন
যারা তারা আগুন আর বরফ নিয়ে পঞ্চম বাহিনী হোক
সবচেয়ে বেশি আরাম বা ব্যথা কীসের প্রতীক তারাই ভাবুক।
স্থলকচ্ছপের মতো হেঁটে যাচ্ছে সময়
অষ্টাবক্র পিঠে তার উদাসীন বর্ম প্রশ্নপ্রুফ
নিশ্চল লক্ষ তার ঠিক বুড়ি ছোঁয়া।
আয়েশি খরগোশ ঘুম ভাঙলে বিকেলে
ছুঁইবুড়ি টা – টা দেয় ব্যালকনি বালা আর
জ্যোৎস্নাশরীর।
জঞ্জাল জমা যত ধমনির পথ
যৌবন দিশা করে দুর্গন্ধ গলি অন্ধকার বাঁকা
হাসে কদাকার বক্র সময়।
পথগুলো খানিকটা সংশয় নিয়ে শুয়ে
জড়িয়েছে অন্ধকার সত্যমিথ্যার দোলাচল
নির্বিচারে বুক পেতে সেইসব অস্পৃশ্য পরজীবীর
ছন্দহীন নাচনকোঁদন মাখে।
পথের চালিকাকে পেলে বলে দেওয়া যায়
চোষণ যন্ত্রের কূটকৌশল ।
প্রাণের সম্পদগুলি টেনে নেয় যেসব মেশিন তাদের
তেলচিটে চরিত্রের দুর্গন্ধ পর্দা উড়ানো যায়
পূতিগন্ধ নর্দমায়।
বিজ্ঞাপনহীন বিপ্লবের আশায় কত দিনরাত পথের
পাশেই গড়ায়।
সময় নামের আলেয়ার আলো আর ডাকেনা।
খোলা ভেঙে লার্ভা থেকে পতঙ্গের পূর্ণতা…..
দেখতে দেখতে উঠে আসে পথের মানুষ
গুটিয়ে যায় অমসৃণ ফিতে এবার চারণ শেষের গান
রোমন্থনের সুখে বেজে যায়।
বর্ণান্ধ মানুষের কাছে রঙিন শরীর আর
সিরোটিক লিভারে চিকেন মাঞ্চুরিয়ান সমার্থক।
অপস্রিয়মান প্রেমিকার দিকে পুরুষের চোখ আর
ধু-ধু মাঠে উনুনযাত্রী গাছের উপর উড়ন্ত মেঘ সমতুল।
ভিখিরি রাজনীতিকের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি এবং
ব্যর্থ মানুষের সাফল্যের রূপকথা তুলুমূল্য।
একটি তীব্র রোদ্দুর বিকেল কীভাবে একটি প্রচণ্ড কাঁপুনি সন্ধ্যা আনে
চিন্তার সরলীকরণ নেই।চামড়া নামের সেন্সিটিভ আবরণ বাদ
প্রায় নীরস মাটি ও মাঠ তাপ বা শৈত্যের হিসাব মেলাতে জাস্ট বেকুব বুঝি।
অথচ বিকেলে যার সাথে এত কাব্যকথা অভিনব শব্দনির্মাণ সেগুলি সান্ধ্য হিমে
বেমালুম জলের অবতার ছোঁয়া বা ধরার বাইরে হতভম্ব জাদু আরশি
ছোটোখাটো ব্যর্থতার তেতো মিশে পথ মার্কা সময় সবুজ যবক্ষার ছাড়া কিছু না।
প্লিজ ট্রাই আফটার সামটাইম বার্তার সরলার্থ, এখন বিশ্রাম।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..