প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
(১)
অনেক প্রাপ্তির মধ্যে যেমন একটা শূন্যতা থাকে,
ঠিক সেভাবে মহা শূণ্যের মধ্য দিয়েও পরম প্রাপ্তি লুকিয়ে থাকে;
শুধু তাকে সময় মত অনুভূত হতে হয়।
(২)
আজেকর সমাজ জাহির করতে ব্যস্ত,
পুরুষেরা পুরুষত্ব, নারীরা নারীত্ব –
এসবের মাঝে শুধুই অবহেলিত,
মানুষের ‘মনুষ্যত্ব’-
(৩)
অভিনয় শুধু রঙ মেখেই হয়না,
অভিনয় শুদ্ধ মনেও করা যায় –
সে অভিনয়ে আর যাই থাক;
জীবন্তের ভাব থাকেনা।
যা থাকে তা হল,
পৈশাচিক প্রগাঢ়তা।
বাস্তবিক সম্পর্কের মৃত্যুসূচী প্রকাশিত হয় মাত্র।
(১)
শব্দের কাঁধে শব্দ চাপালে,
বহন করাই বোধহয় তারে বলে –
কবিত্ব কোথায় কবি?
(২)
শব্দের মারপ্যাঁচে নিজেকে
শুধুই জাহির কর,
কবিত্বকেও একটু মনেতো কর
এ যে কবির কল্পনা নয় –
শব্দের কেবল ব্যায়ামই হয়!
(৩)
সমালোচকের কথায় ক্ষেপে যায়
যুক্তি তক্কো পাত্তা না পায়,
সৃজনলীলতার ধার ধারে না হায়
আদৌ তুমি কবি,
সেটাই বোঝা দায়!
(৪)
পরিবেশকে দেখোনা ,
শুধুই প্রেম প্রেম করে যাও –
কত শিশু অনাথ থাকে পথে ,
তাদের কথা কি ভাবতে না পাও –
(৫)
নিজের দুঃখে বিশ্বকে মাতাও
কখনো তো কলমে তুলতে পার
সমাজের কালো দিকটাও –
কি এত দ্বন্দ্ব মনে তুমি কর!
(৬)
একটা কথা বলব কি কবি
কিছু মনে করনা,
কবি হওয়া ভাই মুখের কথা নয়
সেই তো সমাজের অন্তিম সহায় হয়
যার কলম চলে চাবুকের মত,
শব্দে থাকে সমাজের ক্ষত,
শুধুই নিজের টুকু তুলে ধরা নয় যে কবির কাজ।
তার কলমেই থাকে সমাজের সংস্কারের তাজ –
(৭)
তাই তুমি কবি ও নও,
নেই কোনো কবিত্ব।
আগে সমাজের একজন হও,
তার পর না হয় দেখব তোমার কলমের দৌরাত্ম্য।
(১)
তার চোখের অন্ধকারের গভীর স্তব্ধতা
দুটো ঠোঁটের তীব্র শুষ্কতা
ঘনকালো চুলের সর্পিল অবয়বে শান্ত
মুঠো মধ্যে পূজিত পরম দেশমৃত্তিকা চিহ্ন
অসহয়তার মধ্যে অন্তিম চেষ্টার তীব্রতা
যোনির মধ্য দিয়ে জাতি ধর্মের সেই প্রতীকী
রূপের তীব্র প্রহসন বয়ে যাচ্ছে।
মাতৃত্বের অহংকারের ছিন্নাবস্থা সূচিত হচ্ছে।
(২)
তুমি লজ্জা পাচ্ছ!
লজ্জা কি তোমাকে দেখচ্ছেনা?
সমাজের সেই বিদ্বজনের কফি মাগের
পাশে তোমার লজ্জা অ্যাশট্রেতে
ঝরছে বারংবার।
এ লজ্জা তোমার নয়
কেন নিজেকে কলুষিত করছ?
এ লজ্জা আমার, আমাদের
তুমি কেন মুখ ঢাকছ!
মুখ তুলো, উঠে দাড়াঁও
লজ্জাকে বল-
লজ্জা পাওয়ার সময় তোমার
তুমি দাড়াঁও,
আমি আসছি, আমি আসছি-
(৩)
আজ প্রশ্ন রাখ-
চোখ আজ ধর্ষক,
মন আজ ধর্ষিত,
দেহ হল কারাগার:
আত্মা হল বন্দীপাখি-
সমাজ আজ যাত্রার স্টেজ,
বুদ্ধিজীবিরা মোমবাতির মিছিলে –
নিজস্বী নিতে আজ ব্যস্ত-
আজ সেই বাসুদেবের হলনা আর্বিভাব
চারিদিকে শুধুই যে দুঃশাসনের
লোলুপতার বাড়ছে প্রভাব
বুঝতেই দিলনা এই সুন্দর মমতাময়ী, পৃথিবীর মাতৃসমা রূপকে।
বন্দী সুবিশাল কারাগারে
পথ সেখানে ভেঙে গেছে-
চরাই উৎরাই মাঝে
শরীর চায় ঘুমের স্বাদ
কিন্তু আঙুলের সাথে আঙুল যে
প্রযুক্তির জালে বিমোহিত!
কখনো সেখানে শক্তির হুংকার
কখনো আবার বন্দুকের ক্লান্ত নীল মুখের ছবি
এসবের মাঝে পরাধীন আমাদের চেতনা
ছিন্ন আমাদের বিবেক
আর আঙুলের সাথে আঙুলের আক্ষেপে জরিত আমি।
অন্তরঙ্গতা মগ্নতা আর ভালোবাসার
প্রগাঢ় বহিঃপ্রকাশ,
তোমার ছোঁয়ায়
আঙুলের আঙুল স্পর্শে জানান দেয়!
তোমার আদিম চিরায়িত অনুভবকে
জানান দেয়,
আমার তোমার হৃদয়ের বাধন কে
তোমার আলতো আঙুলের ছোঁয়া
আমার ভালোবাসার বর্তমানকে বাধে,
আর গড়ে তোলে ভবিষ্যতের নিবিড়তাকে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..