আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
যত দূর দৃষ্টি যায় গভীর হতে গভীরে,
অপার বিষাদ মেশে মহা শূন্যতায় ঘিরে।
দুটি পার হাহাকারে এক অখণ্ড বোধের,
অনির্বাণ শিখা জ্বলে অপূর্ণ প্রতিরোধের
অন্তরে জাগ্রত নিত্য সত্যময় ভালোবাসা
হৃদয় অনন্ত ময় ছায়া আবৃত কুয়াশা।
শবলী নিলীমা অঙ্গে হাজার লণ্ঠণ জ্বলে
নিরন্তর নিরিবিলি নিঃসঙ্গ চেতনা তলে!
নৈঃশব্দ্যশমিতা শপ্ত অন্তরীক্ষ শবাধার!
ভালোবাসা দৈন্যতার নীরব সাক্ষীসাকার
হারানো পরশ নিতে ভয় পথ হারাবার!
ভালোবাসা সমাধিতে মহারাত্রি পারাবার।
আলো আর আঁধারের খেলাঘর উপকূলে,
আলেয়ার আবাহনে ভালোবাসা ওঠে দুলে।
বাতাসের গন্ধ মেখে মধুকর তুমি প্রেমের ইথারে
মাধুকরী কোরে ফের।
দেউলের প্রদীপ শিখা আর একবার প্রজ্জ্বলিত-
আর একবার উদ্বেলিত প্রাণ অনির্বাণ!
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি চেয়েছিল মুক্তি অনন্তঅন্তে!
অন্তরে সে নিঃস্ব ,খণ্ড তুষার কার্বনে অগ্নি পালিত!
আলেয়ার মতো প্রেম হেঁটে যায়,শূন্যতায় ভর করে।
জল মরে খোয়াইয়ের চরে জেগে থাকে
শুধু বেদনার দাগ, রাত কালো অন্ধকার;
শুধু বুক জ্বলে প্রদীপের নিঃশেষে ফুরিয়ে যাবার।
পড়ে থাকে কফিনের একরাশ অন্ধকার।
রাতের সোপান বেয়ে এসেছিলে পান্থ তুমি
হৃদয়ের সম্মোহনী কল্লোলিত তরঙ্গ ভেঙে ;
দেখোনি আলেয়ার চোখে ফল্গু স্রোত ,
হৃদয়ের গভীরে বসন্ত বিলাপ,পাতা ঝরার বেদনা।
সমুদ্রের প্রাণের আবেগ ধরা দেয় চন্দ্রের উচ্ছ্বাসে,
বন্ধু তুমি অশরীরী সময়ের বুক চিরে আগুন নিলে
একমুঠো ; বুলিয়ে দিলে অনুভূতির অঙ্গে;
পাথর গলিয়ে ক্ষয়িষ্ণু অন্তরের লাভায়
বিস্ময়ের প্রলেপে তিতীর্ষু অভিকর্ষণ!
অন্তপ্রাণ নির্যাতিত সময়ের কড়িকাঠে।
সূর্য যখন প্রজ্জ্বলিত তোমার মধ্যাহ্ন দ্বারে
কৃষ্ণ ভ্রমর রাতের ডানায় চড়ে পশ্চিম পারে
সময়ের সূত্র ধরে টানে;
অস্ত রঙিন স্বপ্ন ছোঁয়ায় হাঁটে ফেলে আসা নীড়ে
অতীত স্মৃতিরা মন্দাকিনীর তীরে আসে ফিরে ফিরে।
তোমার ই অপার্থিব দানে।
রাত্রি যখন নক্ষত্রে খোদাই, শান্ত নিঝুম
তন্দ্রা এসে দাঁড়ায় রুখে তীরে, নেমে আসে ঘুম;
স্বপ্নরা সব ঝাঁপিয়ে পড়ে;
মহাশূন্যের ঈথারে সমর্পিত চেতনার চুম!
স্বপ্নডানায় কল্পনা এঁকে এঁকে চালাও জুলুম।
তোমারি নিঃশ্বাসে আসি ফিরে।
ঘূর্ণাবর্তের মতো আমার পথচলা!
আমার গর্ভেই ঘুমিয়ে আছে যে আগুন —
ডুবুরির মতো টেনে তুলি কালের প্রবাহে!
জন্ম হয় পৃথিবীর।
আমার শরীর জুড়ে ছুটে চলেছে রক্তের উন্মাদনা
সেই রক্তেই তুমি জাত!
আমার শরীর বেয়ে নেমে আসে তোমার সকাল ;
আমার কর্মে তোমার মধ্যাহ্ন;
আমার বুকের গভীরে তোমার রাত্রি যাপন।
তিল তিল করে তোমাকে গড়ি ষড়রিপুর সংবর্তে।
আমার অস্থিতে তোমার পিঞ্জর, স্বপ্নে গড়েছ প্রেম!
তুমি কাফেলা,আমাকে ঘিরে তোমার প্রব্রজ্যা।
আমি ই নির্বাসিত তোমার অন্তে যেখানে
তুমি আমাকে ধারন কর। তুমি আত্মজ পৃথিবী।
কালের শরীর থেকে আরো একটা বছর খসে গেল।
কিছু সুখ কিছু বা দুঃখ,বেদনা অথবা ভালোবাসা
আরও একটা বসন্ত চেয়ে চেয়ে প্রেমের পিয়াসা,
হেমন্তিকার রং নিয়ে বিরহের মালা গেঁথে গেল!
কিছু প্রাণ ভৈরব কোলে, কিছু অবিশ্বাসী ধারকে
পায়ে পায়ে গেল পরবাসে রক্তের খনি খুঁড়ে খুঁড়ে
যুদ্ধ বিবাদ বিদ্রোহ বৈষম্যের আঁধার জুড়ে
পার করে কোথায় ফেলেছে বন্ধ্যা সময়ের রাহুকে।
এবার নতুন সূর্যের পরমায়ু নিয়ে ফুটবে কী
রাঙামাটির দগ্ধ বুকে উনিশের শীতল প্রলেপ;
ধর্ষিতা আবার ফিরিয়ে নেবে কী সে সম্মান শ্রেফ?
বোধোদয়ের লাল সূর্য আবার সমাজে উঠবে কী?
যত আশা বৃক্ষের পাতা সত্যের আগমে লিপ্ত
মমতা প্রেমের অনুসূয়া বন্ধনে হোক ব্যাপ্ত।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..