দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
যে প্রণম্য যোনির কাছে তুমি নতজানু ছিলে-
হে প্রাচীন;
সৃষ্টির সেই বিশুদ্ধ গরিমাকে হত্যা করে যাই অবিরত!
যে দিকে তাকাও শুধু
আমি-আমি-আমি আজ ঘরে ঘরে বাড়ন্ত
কান্নার মত, বাষ্পের মত,
বিষাক্ত ছত্রাকের মতো বেড়ে চলি ক্রমাগত
মৃত গোলাপের মতো দুমড়ানো যোনি নিয়ে
পথে ঘাটে পড়ে থাকে যারা, কখনো আড়ালে-
জেনো আসলে তারা আমাকেই পেটে ধরেছিল
মানবিক হতে পারি ভেবে।
মানুষ মানে, সে তো মুখোশের আড়ালে
কিছু অন্ধকার রাখা থাকে।
যদি খুঁজে নিতে চাও, তবে নিশ্চিত খুঁজে পাবে
প্রতিবিম্বের প্রচ্ছদে।
তবু কেউ কেউ, যারা মহামানবের দাবী রেখেছিল,
যারা মহান হবে জেনে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যেত একদিন,
তাদের মহানুভবতার কাছে শৈশবও নিরাপদ নয় আজ।
এরপর?
প্রগাঢ় অন্ধকার পড়ে থাকে।
প্রতিটা দৃষ্টি একে অপরের প্রতি শঙ্কিত চেয়ে থাকে,
বুঝে নিতে চায়, কতটা দূরত্ব বেড়ে গেলে
একে অপরের থেকে নিরাপদ থাকা যাবে তবে।
আর পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস!
ওরা প্রত্যেকে আদর্শের স্বাদ চিনেছিল।
যদিও আদর্শ শব্দটা আপেক্ষিক।
সেসব মৃত মানুষের কাছে গচ্ছিত রাখা আছে মনে হয়।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..