আদর্শ

দেবতনু ভট্টাচার্য
কবিতা
Bengali
আদর্শ

যে প্রণম্য যোনির কাছে তুমি নতজানু ছিলে-

হে প্রাচীন;

সৃষ্টির সেই বিশুদ্ধ গরিমাকে হত্যা করে যাই অবিরত!

যে দিকে তাকাও শুধু

আমি-আমি-আমি আজ ঘরে ঘরে বাড়ন্ত

কান্নার মত, বাষ্পের মত,

বিষাক্ত ছত্রাকের মতো বেড়ে চলি ক্রমাগত

মৃত গোলাপের মতো দুমড়ানো যোনি নিয়ে

পথে ঘাটে পড়ে থাকে যারা, কখনো আড়ালে-

জেনো আসলে তারা আমাকেই পেটে ধরেছিল

মানবিক হতে পারি ভেবে।

মানুষ মানে, সে তো মুখোশের আড়ালে

কিছু অন্ধকার রাখা থাকে।

যদি খুঁজে নিতে চাও, তবে নিশ্চিত খুঁজে পাবে

প্রতিবিম্বের প্রচ্ছদে।

তবু কেউ কেউ, যারা মহামানবের দাবী রেখেছিল,

যারা মহান হবে জেনে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়া যেত একদিন,

তাদের মহানুভবতার কাছে শৈশবও নিরাপদ নয় আজ।

এরপর?

প্রগাঢ় অন্ধকার পড়ে থাকে।

প্রতিটা দৃষ্টি একে অপরের প্রতি শঙ্কিত চেয়ে থাকে,

বুঝে নিতে চায়, কতটা দূরত্ব বেড়ে গেলে

একে অপরের থেকে নিরাপদ থাকা যাবে তবে।

আর পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস!

ওরা প্রত্যেকে আদর্শের স্বাদ চিনেছিল।

যদিও আদর্শ শব্দটা আপেক্ষিক।

সেসব মৃত মানুষের কাছে গচ্ছিত রাখা আছে মনে হয়।

দেবতনু ভট্টাচার্যর জন্ম ১৯৮০ সালে, দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ রোডে। ১৯৯০ সাল থেকে পাকাপাকি বেহালায় বসবাস শুরু করেন। পেশায় ইলেক্ট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার এবং বর্তমানে সৌর শক্তির প্রয়োগ ও ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত। কর্মসূত্রে গোটা ভারতবর্ষে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং বর্তমানে মুম্বইতে থাকেন।...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..