আন্দালীবের চারটি কবিতা

আন্দালীব
কবিতা
Bengali
আন্দালীবের চারটি কবিতা

লংগরখানা – ১

বিপন্নতা এক রাষ্ট্রজনিত অসুখ। তারও আছে

আমিষের লোভ। শাসন, ত্রাসন, সর্বগ্রাস।

গুম করে ফেলার ভালবাসা। সে তো হায়

বাঘবন্দি খেলছে সর্বত্র তোমার তরে,

বুদ্ধিদীপ্ত হে সিটিজেন। মৃদু উৎপীড়ন আর

সহনীয় মাত্রার দুর্ভিক্ষ ঠেলে তোমার কাছে

অনিবার্য উঠে আসে ক্ষুধা। নবায়নযোগ্য,

চিরমৌলিক। ফলে তন্ত্র মানেই এক রাষ্ট্রচালিত মাৎস্যন্যায়। যেই ইকোসিস্টেমে আজ এ খাচ্ছে

ওকে, আর ও খাচ্ছে তোমায়। রাষ্ট্র ও নৈরাষ্ট্রের পাকস্থলীতে পড়ে থাকছে হাহাকার, সুশাসনের অধঃক্ষেপ।

স্নেহ

তোমাকে রেখেছি স্নেহে, সঙ্গোপনে। বাদামি

ত্বকের নিচে, মেদ ও মাংসে। যত দূর দেখি

এনজিওশাসিত গ্রাম। তোমার আঁকাবাঁকানো

হেরিং-বন্ডের রাস্তা ঘুরে শেষ হয়ে গেছে টেকসই

উন্নয়নের কাছে এসে। তোমার মৌনতা-পীড়িত

ফিশারিতে আজ চাষ করেছে কারা এমন

গভীর জলের মাছ! তোমার কলহাস্যমূখর

পোল্ট্রি ফার্মগুলো যেন দপ করে নিভে গেছে।

তোমার ভোগ্যপণ্যের গ্রাফ, বড় স্খলন প্রবণ।

স্নেহের মত নিম্নগামী, পরান্মুখ এমন! তোমার

স্বনির্ভরতার ইতিহাসে ক্ষুদ্রঋন বলে যেন

আর কিছু নেই। তোমার কাচ-ভাঙা হাসি

বন্ধক রেখে কিনে নেব লাল হন্ডা আজকেই।

ট্রিগার হ্যাপি

এত কেন ঘোড়া দাবড়াচ্ছো হে তর্কবাগীশ?

তোমার দিকেই চেয়ে আছে যখন আগ্নেয়াস্ত্র সুন্দর!

ওই টোটাবন্দুক হাতে যারা শিকার করছে খরগোশ,

ঘন-ঘন নিশানা পাল্টাচ্ছে; তারা ছড়াচ্ছে কপট ত্রাস। স্যাংচুয়ারিতে নির্মম শুরু হচ্ছে মৃগয়াপর্ব।

কিছু দেখলেই লোকে বলছে – ফায়ার!

অপুষ্পক – ৪

ফিরিয়ে নাও ফুল

এই মত্ত ঢালাইমেশিন যে’ রকম

উগরায় ক্লিংকার

শ্রমঘন দুপুরের পাশে

এসে বসে মৃদু

বিকেলবেলার হাওয়া

চূর্ণ হীরক আর

ঘাসের জঙ্গল থেকে

অনাবৃষ্টির ছাট আসে

উদ্ধত বাবেলের চূড়া

থেকে দেখা যায়

অধঃপতনের দিকে সামান্য

এগিয়ে এসেছে ফুল

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..