প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ভ্যালিডিটি শেষ হতেই সব সম্পর্কেরা
নদীর মতো বয়ে চলে
কোনো আঁচড় নয়, জোয়ার ভাঁটা নয়
বয়ে চলা ব্যক্তিগত মিউট…
১
প্রত্যেকটা দরজা কিছু না কিছু সংকেত
বহন করে
মুগ্ধতার কোনও ভূমিকা হয় না,
হয় না উপসংহার
আবিষ্কারের পূর্ব-মুহূর্তে জীবনের সমস্ত
পরিভাষা বদলে গেল
আমরা,
এক আলোকবর্ষ থেকে অন্য আলোকবর্ষে
এক মুগ্ধতা থেকে অন্য মুগ্ধতায়
প্রবেশ করলাম
২
গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে
সূক্ষ্ম রেখার মতো আলো
ফাটিয়ে দিল নির্জনতার স্ক্রিনসেভার
শরীরের বিজ্ঞাপনে বারবার পেন্ডুলাম দোলায়
বিস্তীর্ণ জলের পিঠে জঙ্গলের স্তন…
আমার দৃষ্টি কেঁপে ওঠে উজানে
কতটা নিবিড় হলে চুমুতে লেগে থাকে রং
এ আমার প্রত্যক্ষ
আমার ঈশ্বর
এর চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই
৩
সমঝোতার অঙ্কে নদী জানে
নক্ষত্রের যৌনতা…
নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত ঘোষণায়
মাছরাঙার কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই
সে তো শূন্য থেকে তুলে নেয়
প্রাণ
পৃথিবীর সমস্ত বিস্ময়চিহ্নের পাশে লেখা
মাছেদের শীৎকার
অরণ্যের গভীরতায় নদীও নিবিড় হয়
মুঠো ভরে ওঠে
রাতভোর অভিমানে…
৪
সেই বৃদ্ধ ঘোড়া একাই এগিয়ে যায়
কুমিরের চোখে শান্ত বিষাদ
এতটা উচ্চতা কেবল বিটোফেন স্পর্শ করেছিল
হওয়ার বুকে শব্দের সিম্ফোনি
সবকিছুর অনুবাদ হয় না
যেমন হয় না স্বপ্নের
আমার হৃদপিণ্ড ধরে রেখেছিল কিছুটা
নিরুদ্দেশ প্রাপ্তির মতো
মাটিতে যুবতী ছাপ
আমি জানি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তোমাকে
আমি দেখেছি তোমার চোখে জলের আবডাল
৫
জল ও জঙ্গলের উপপাদ্যে
কখন যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি
শহরের সমস্ত বেড়া ডিঙিয়ে
আমাকে সাঁতার কাটতে শিখিয়েছে আলো
আলোর বিকল্প যেমন একমাত্র আলো
শূন্যের বিকল্পে শূন্যের কথামালা
৬
আমাদের যৌনতার প্রতীক হতে পারে নৌকা
এতখানি সময় একসঙ্গে কাটানোর পর
ড্রয়িংরুমে অক্ষরের জন্ম হলে,
সেখানেও জঙ্গলের গন্ধ থাকে
জলের কোনও পূরাণ নেই, গীতা নেই
জল – আদিম স্বপ্ন
জল – জলের মতো সত্য
৭
অন্ধকারের খেলায় জোনাকিরা খুঁজে পেয়েছে পেখম
জীবনের টাইটেল ট্রাকে সমস্ত বিজ্ঞাপন
পরিবেশবিদ্যার উপকরণ হয়ে যাচ্ছে
আক্ষরিক অর্থে ঘটনাটা এরকমও হতে পারে
অন্ধকারের যোনিমুখে কলিংবেল বাজায় হনুমানচল্লিশা
সামাজিক অনুশাসন থেকে বেরিয়ে ইভ ও আদম
খেলছে জলমৈথুন
৮
আমাদের পাঠক্রমগুলো বিস্ময়সূচক দূরত্বে বসে থাকে
সেলুলয়েডের খেলায় জীবিত জন্মান্তরবাদ
ঘুমের মধ্যে রাত হেঁটে চলে
বিষণ্ণরেখার ওপাড়ে রূপকথার গল্প
যত সময় এগোয় তত গাঢ় হয়
জঙ্গলের শরীরে ভালোবাসা-চিহ্ন …
৯
ছায়ায় মিশেআছে ক্রিয়াপদ- ঈশ্বরের রঙিন চাকা
মেটেরিয়াল সুখ স্পর্শ করতে পারে না এসব
যে ঠোঁট চুমু খেতে জানে
সে ঠোঁটে বসন্ত স্বাভাবিক
গ্রহণের সূত্রে কোথাও চোখের বালির উল্লেখ নেই
স্বপ্নে যে আলো ফিরে আসে
পবিত্র সে প্রতিফলন
একমাত্র পূর্ণিমা জানে আলোকিত দূরবীন
১০
জঙ্গলের শরীরে লেখা থাকে সহস্র পদাবলি
অপার বিস্ময় টেনে নিয়ে যায়
গভীরে, আরও গভীরে
জলের চোখে অনন্ত আবেদন
এখান থেকে পরাবাস্তবের জন্ম হতে পারে
নদীর শরীরে সহস্র এক নদী
১১
অন্ধকারের বুকে যতি দিতেই
শুনেছি নৈঃশব্দের গান
গাছেরাও নাকি কথা বলে
সূর্য ডোবার আগেই
ক্যানভাসে এক ঝাঁক বক উড়ে এল
বাকি রাত শুধুই নির্জনতায়
পূর্বজন্মের উদহারণ টেনে আমরা ঘুমাতে যাই
জোয়ার আসে লেখার মাঝখানে
পৃথিবীর সমস্ত সিগন্যাল যখন ওয়াচ টাওয়ারের পরিভাষা
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..