আবদার

দ্যুতি পুরকাইত
কবিতা
Bengali
আবদার

আবদার

তুমি আমার জন্য পাহাড়ে গিয়ে কি আনবে?
খুচরো পাথর,পাহাড়ী-বৃষ্টি আর…

আর কি?

তোমার খোঁপার জন্য, কয়েকশো বাগান
পাহাড়ী-গোলাপ।

না, তুমি পাহাড়ে গেলে আমার জন্য এক বুক পাহাড়ী-হাওয়া এনো।
পাহাড়ী-মানুষের পাহাড়ী-কথা এনো।

বেশ বেশ, তোমার জন্য গোটা পাহাড়টাই নিয়ে যাবো।

 

ছাতা

অখিলেশ,
শহর বোধহয় একটু বেশীই ডিপ্রেশনে আজ,
হাওয়ায় হাওয়ায় চেনা অভিমান।
কালো কালো মেঘ পেরিয়ে
একটু পরেই হয়তো সশব্দে বৃষ্টি নামবে।

আমি ছাতা নিয়ে আসিনি
পারলে একটা ছাতা এনো।
কারণ বৃষ্টি ভিজে জ্বর এলে, যত না ক্ষতি,
তার চেয়ে বেশী ক্ষতি জ্বর শরীরে বৃষ্টিতে ভিজলে।

শোনো, বৃষ্টি না হলেও একটা ছাতা এনো,
কারণ, একমাত্র একটা ছাতাই পারে,
দূরত্ব মিটিয়ে আমাদের পাশাপাশি হাঁটাতে।

 

বুঝো না হেরেছি

মেঘ জমেছে অনেক আগেই
আজ বৃষ্টি এলো জোরে,
সদ্য যে ঘর বাঁধ ছিল মন
তার চাল গিয়েছে উড়ে।

ছন্নছাড়া ক’দল পাখি
বিভ্রান্তে উড়ে।
মনের হদিশ কজন রাখে_
যাদের ঘর ভেঙে যায় ঝড়ে?

বলতে পারো–
আমি এখন সর্বহারা।
বুক জলেতে অথৈ,
দেখছি প্রচুর নৌকা আছে
কিন্তু জায়গা পাচ্ছি কই।

তুমি পাখি,
ভাঙা গাছে কি আসে যায়
ঘর বাঁধবে নতুন গাছে গিয়ে।
সাঁতারু নয়, তাই তো দেখো
কেমন তলিয়ে যাচ্ছি জলে।

আমাদের চাল উড়ে যায় প্রবল ঝড়ে
ঘর ভেসে যায় জলে ।
তবু মায়ার দলিল আগলে থাকি
আবার ঘর বাঁধবো বলে।

ঘর বাঁধবোই নতুন করে
দেখো আবার এসে,
নেমোকহারাম প্রেমিক তুমি
পাখির ছদ্মবেশে।

 

জেনেও

এমন এই বৃষ্টিমুখর রাতে, পায়রা জোড়া প্রেম করতে চায়।
শিকারী তীর বিঁধেছে বুকে, কে নেবে বুকের ক্ষতের দায়?

আমি সেই গঙ্গাফড়িং যেনো, তুমি এক দস্যি-দামাল ছেলে।
বড়ঁশির আগায় বিঁধে আমায়, দিলে তো মাছের গালে ফেলে।

আমি জানি, মরন তোমার হাতে, তবুও পড়ছি ধরা জালে।
তুমিও শেষ করছো আমার, অদৃশ্য ছুড়ির ঘায়ে ঘায়ে।

পুড়বে জেনেও আসো কাছে, বুকেতে আগুন জ্বলে আছে।
কেনো যে নিঃস্ব হওয়া মন, ভালোবেসে ফকির হতে থাকে।

আমি তো জড়িয়ে ধরে তোমায়, মেখেছি সব অচেনা সুখ,
এমন এই বৃষ্টিমুখ রাতে ক্ষত দিয়ে কি যে পেলে সুখ।

ছুরে ফেলে ঝগড়া ঝাটির কারন, তুমি হও দস্যি দামাল ছেলে।
আমি সেই গঙ্গাফড়িং হয়ে, ধরা দেবো তোমার হাতে গিয়ে।

দ্যুতি পুরকাইত। কবি ও সংবাদকর্মী।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..

ফ্রেম

ফ্রেম

দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..