প্রক্সি
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
মনোবিজ্ঞানী আবুল খায়েরের সামনে যেই রোগীটি এখন বসে আছেন তাকে এক পলক দেখেই নিঃসন্দেহে যে কেউ বলে দিতে পারবেন যে তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর পাগল। নানান রকম আজগুবি কথা বলছেন আসার পর থেকেই, এই লোক যে তার ছেঁড়া লোক এটা বুঝবার জন্য মনোবিজ্ঞানী হওয়া লাগে নাহ; রাস্তার টোকাইরও এই জ্ঞান আছে, এই উদ্ভ্রান্ত না ঘুমানো লাল চোখ আর কাঁপা কাঁপা হাত আর উদ্ভট সব কথাবার্তা শুনলে যে কেউ ধরতে পারবেন ব্যাপারটা। লোকটি নাদান বাচ্চাকে বুঝাবার মতন করে ব্যাকুল হয়ে বললেন,
– ডাক্তার সাহেব আপনি বুঝতে পারছেন না
– কি বুঝতে পারছিনা?
– আমার স্বপ্নের ব্যাপারটা
– স্বপ্ন তো সবাই দেখে ভাই
– কিন্তু আমার স্বপ্ন আর সবার স্বপ্ন তো এক না, আমার রোজ রাতে স্বপ্ন দেখার পর হ্যালুসিনেশন হয়, গভীর রাতে,
– এই না বললেন শুধু স্বপ্ন?
– প্রথমে স্বপ্ন তারপর ঘুম ভেঙ্গে গেলে স্বপ্নের পর হ্যালুসিনেশন
– আচ্ছা আচ্ছা। আই সি! কি হ্যালুসিনেশন হয় দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন একটু?
হাসি হাসি অবিশ্বাসী খটমটে চেহারার দিকে তাকিয়ে ফর্শা সুদর্শন আবীর ভেতরে ভেতরে রেগে গেলেও দমে যান সে, ব্যাপারটা নিয়ে আসলেই সে প্রচণ্ড ভয়েই আছে, কেবল মাত্র একজন মনোবিজ্ঞানী চিকিৎসকই পারবেন তার সমস্যার সমাধান করতে।
অফিস শেষ করে প্রতিদিন রাতে বাসায় ফিরে স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমাতে যান রোজ কিন্তু গত সাত দিন! সাত সাতটা দিন ঠিক মত ঘুমাতে পারছেন না আবীর।
মধ্যরাতে রোজ একই স্বপ্ন তার জীবন রীতিমত ভয়ংকর করে তুলেছে, রোজ রাতে এই এক ঘটনা, এই এক স্বপ্ন প্রথমে সে নিজেকে আবিস্কার করেন একটি বিশাল খোলা প্রান্তরে।
স্বপ্নের শুরুটা খুবই চমৎকার, এক ঝাঁক উড়ে যাওয়া পাখি, মোলায়েম সবুজ কোমল ঘাস, অচেনা বন্য ফুল, তারপর ধীরে ধীরে সেই স্থান পরিবর্তন অদ্ভুত এক জঙ্গলে প্রবেশ করেন আবীর, সেখানে বিশাল আকৃতির সব গাছ, বীভৎস পাখির কলতান। বড়ই রুক্ষ কর্কশ সেই সময়টা, এক পর্যায়ে শুরু হয় একটা সঙ্গীতের আওয়াজ, ওটা কানে পৌঁছাতেই দৌড়ানো শুরু করেন আবীর,
কেন ছুটছেন কি জন্য ছুটছেন কিছুই বুঝতে পারেননা, ভেতরে একটা আতংক কাজ করে, ছুটতে ছুটতে দম ফুরিয়ে আসতে চায়, তবু থামেন না, স্বপ্নের শেষ অংশে পথ রোধ করে দাঁড়ায় একটা কালো রোমশ ক্ষুধার্ত বিশাল আকৃতির কুকুর সে যখন তখন আবীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন কিংবা এই পড়লো বলে এই অবস্থায় ঘুম ভেঙ্গে যায় তার, প্রতিবার স্বপ্ন শেষ শেষ অংশে উঠে বসে আবীর শুরু হয় তার হ্যালুসিনেশন।
তাকিয়ে অন্ধকারে ও স্পষ্ট তিনি দেখেন যে কুকুরটা তার রুমের ভেতর দাঁড়িয়ে, ওটার লম্বা জিভ জিভ থেকে ঝরে পড়া লালা সহ বিশাল হা করে আক্রমণ করবার ভয়ংকর অবয়ব। কুকুরটি প্রায় লাফ দিয়ে তার ঘাড় মটকে দিবে এই পর্যন্ত এসে ভয়ে আতংকে লাইট অন করেন লাইট অন করার সাথে সাথেই কুকুরটি গায়েব। এই হচ্ছে হ্যালুসিনেশন।
ডক্টর আবুল খায়েরে তার অভিজ্ঞ চেহারায় আরও অভিজ্ঞ ভাব এনে আবীরের দিকে কিছুটা ঝুঁকে তাচ্ছিল্য ভরে জিজ্ঞেস করেন-
– আপনার পেশা কি?
– জী আমি একজন ব্যাংকার।
-কতদিন ধরে এই পেশায়?
– পাঁচ বছর
– আপনি অবিবাহিত?
– জী; অবিবাহিত,
– কেন বিয়ে করেননি?
– দেখুন এসব প্রশ্ন আমার প্রবলেমের সাথে যাচ্ছে না
– মনোবিজ্ঞানী আপনি না আমি?
– আপনি
– তাহলে কোন প্রশ্ন কিশের সাথে যাচ্ছে সে কথা কি আপনার জানার কথা না আমার?
– জী দুঃখিত আপনি প্রশ্ন করুন।
– আপনার কোন পোষা কুকুর ছিল?
– ছিল
– এখনো আছে?
– না নেই
– মরে গেছে?
– হ্যাঁ মরে গেছে
– মরে গেছে না মেরে ফেলেছেন?
– বাজে বকবেন না প্লিজ
– কি হয়েছিলো কুকুরটির?
– একদিন বাসায় ফিরে টাইগারকে কোথাও খুঁজে পাইনি, অনেক খুঁজেছি আমাদের এলাকা; পাশের এলাকা সব তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাইনি, সেদিন প্রথম টাইগার বাড়ি ফিরলো না।
– পরে পেয়েছিলেন?
– নাহ, ঘটনার ৮ দিন পর ওকে খুঁজে পেয়েছিলাম মৃত।
– কোথায় খুঁজে পেয়েছিলেন।
– যেখানে খোঁজা হয়নি সেখানে, একটা পরিত্যাক্ত কবরস্থানে, তখন টাইগার পঁচে গিয়েছিলো মাথা পড়েছিল খানিকটা দুরেই। আমার সাথে শত্রুতা করে কেউ হয়তো ওকে জবাই করে মেরে ফেলেছিল।
– অথবা এটাও হতে পারে আপনি নিজেই ওকে জবাই করে ফেলে দিয়েছিলেন।
– না, কি বলেন আপনি! আমি আমার নিজের পোষা কুকুরকে হত্যা করবো? কখনোই না,
– নিজের কর্মকাণ্ড নিজের ভালো মন্দের ব্যাপারে আমরা যে সব জানি তা কিন্তু নয়, যেমন যিনি বর্ণান্ধ কিংবা কালার ব্লাইন্ড তিনি তার পুরো জীবন এই ভুলের ভেতরে থাকেন যে, তিনি যা কিছু দেখছেন যেইভাবে যেই বর্ণে দেখছেন তাই-ই সঠিক। যিনি এইরকম দেখছেন বলে থাকেন নিঃসন্দেহে তিনি একজন কালার ব্লাইন্ড এবং সম্ভাবনা নিরানব্বই ভাগ যে তিনি এই বাপারটা জানেন না। একজন কালার ব্লাইন্ড ব্যক্তি তার সারাজীবন অতিবাহিত করে দেন এই জেনে যে তার রঙ দেখা সম্পর্কে কোন সমস্যা নেই,
অনেক সময় অপরাধী তার অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতে এই পন্থা অবলম্বন করেন, তার ব্রেন তার স্মৃতি থেকে অপরাধের মুহূর্ত মুছে দেয়।
– আমি আমার কুকুর হত্যা করিনি
– হয়তো করেছেন
– কেন করবো?
– কোন ক্ষোভ কোন খামখেয়াল
– এটা সম্ভব না,
– হয়তো সেই অপরাধ বোধ থেকেই এই দুঃস্বপ্ন অথবা হ্যালুসিনেশনের সুচনা, আপনি হয়তো ভাবছেন কুকুরটি ফিরে এসেছে প্রতিশোধ নিতে।
– ডক্টর সাহেব আমরা কিছু না জেনেই অন্যদের সম্পর্কে যাচ্ছেতাই একটা সিদ্ধান্তগ্রহণ করি। বেশিরভাগ সেটা হয় মানুষটি কে ছোট করে সস্তা ধরনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এটা ঠিক না, একদমই ঠিক না, খুব বেশি হলে আমরা তার নামটা জানি দেখা হলে বাইরের তাকে দেখি, তার ভেতর কিন্ত দেখিনা, তার বিপদ তারই, আমরা কজনই বা তার পাশে থাকি, তার বিপদে সাহায্য করি, তাছাড়া মানুষ হিসেবে সবাই সবার শ্রদ্ধা এবং সন্মান প্রাপ্য। আমি আপনার কাছে এসেছি চিকিৎসা করতে, সাহায্য পেতে, আপনি সেটা করছেন না, অযথা অপমান সুচক কথা বলে যাচ্ছেন, আমার এক কলিগ আপনার খোঁজ দিয়েছেন, আপনি একজন মনো চিকিৎসক সেই বিশ্বাসেই আপনার কাছে এসেছি, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না আপনি আমাকে কোন উপকার করতে পারবেন,
আপনি বুঝতেই পারছেন না ডাক্তার আমি আমার কুকুরটাকে কতটা ভালবাসতাম ওকে আমি কখনোই হত্যা করিনি, আর হত্যা করবই বা কেন।
– ঠিক আছে ঠিক আছে, মেনে নিচ্ছি আপনার কথা , কিন্তু এমন তো হতে পারে কুকুরটি হত্যা করতে আপনার গার্লফ্রেন্ড হয়তো বলেছেন,
– আমার গার্লফ্রেন্ড নেই, আপনাকে বলেছি
– আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই আপনি সিওর?
– ডাক্তার সাহেব আপনি বোধহয় টপিকের বাইরে কথা বলতে পছন্দ করেন।
আবীরের খোঁচায় কিছুই মনে করলেন না ডক্টর বললেন-
– আচ্ছা লাইট জ্বালালেই আর কুকুরটাকে দেখতে পান না তাই তোঁ?
– হ্যাঁ
– কদিন ধরে এই হ্যালুসিনেশন হচ্ছে?
– যতদিন ধরে স্বপ্নটা দেখছি, গত সাতদিন ধরে,
– আজ রাতেও কি হ্যালুসিনেশন হবে বলে মনে হচ্ছে আপনার?
– গত সাতদিন ধরে যেহেতু হচ্ছে, আজ না হবার কিছু নেই।
– বাসায় আপনার কে কে আছে? আমি কি আজ রাতটা আপনার বাসায় এসে কাটাতে পারি। দেখুন আবীর আমি সত্যিই আপনাকে সাহায্য করতে চাই?
– বাসায় আমি একাই থাকি, বাবা মা দেশের বাড়ি থাকে।
– তাহলে তোঁ সমস্যা নেই আজ রাতে আপনার বাসায় এসে থাকব আমি।
– আসুন, আমি তাহলে খুশিই হব।
সেই কথা মত আবুল খায়ের সাহেব রাত ১০টা নাগাদ আবীরের বাড়ি পৌঁছে যান।
ডিনার শেষ করে আবীরের সাথে খুচরো আলাপ করে দরজা জানালা চেক করে, কোথাও কোন ফাঁক ফোঁকর আছে কিনা যেখান দিয়ে কুকুর ঢুকতে পারে বাড়িতে এবং এরকম কোন ফাঁক ফোঁকর নেই নিশ্চিত হয়ে নিলেন তিনি।
– দেখুন আবীর সাহেব দরজা কিন্তু খোলা রেখে ঘুমাবেন আজ।
-জী আচ্ছা
– আর রাতে যখন আপনি স্বপ্নটি দেখবেন এবং ঘুম ভেঙ্গেই হ্যালুসিনেশন হবার কথা তাই তো ?
– হ্যাঁ
– তখন লাইট অন না করে আমায় ফোন করবেন ঠিক আছে?
– আচ্ছা
– কুকুরটি দেখার সাথে সাথে কিন্তু
– আচ্ছা
-লাইট জ্বালালে কুকুরটি অদৃশ্য হয়ে যাবে কাজেই কোনমতেই লাইট জ্বালানো যাবে না কিন্তু
– জী
– তাহলে লাইট জ্বালাবেন না, মোবাইল হাতের কাছে রাখবেন, আমি আপনার পাশের রুমেই থাকবো, ফোন করলেই চলে আসবো। এটাই ফাইনাল, এবার তাহলে ঘুমাতে যান, শুভ রাত্রি।
আবীর আজ তুলনামূলক নিশ্চিন্তেই ঘুমাতে গেলেন পাশের রুমে আবুল খায়ের সাহেব টিভি ছেড়ে কিছু বই সাথে এনেছিলেন সেগুলো চোখ কান খোলা রেখে পড়তে চেষ্টা করলেন, যদিও জানেন টেনশন নিয়ে আজ রাতে কোন কিছুই মাথায় ঢুকবে না।
কিন্তু এত বড় শীতের রাত সহজে তো কাটতে চাইবে না আর হল ও তাই সে কিছুক্ষন বই পড়ে, কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করে কিছুক্ষন টিভির রিমোট দিয়ে চ্যানেল পাল্টায়।
আবিরের পুরো ব্যাপারটি তার কাছে ছেলেমানুষী মনেহয় এবং সে একশো ভাগ শিওর যে আজ রাতে কিছুই হবে না। আগামিকাল ভোরে কিছু ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করে এই রোগীকে বিদায় করে দিবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তারপর রাত যখন তিনটা। হাল্কা ঝিমুনির মাঝে এক অদ্ভুত শব্দ কানে আসে ডক্টর আবুল খায়েরের; কিছুক্ষণ পর দস্তাদস্তির আওয়াজ।
হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন আবীরের ঘর থেকেই আসছে শব্দটি। সেই ঘড়ের দৌড় দেন আবুল খায়ের। দ্রুত দরজার নব ঘুরাতে থাকেন, দরজা ভেতর থেকে লোক,
ওহ আল্লাহ! ছেলেটাকে এত বললাম দরজা খুলে ঘুমাতে! আবীর আবীর বলে ডাকতে ডাকতে দরজা খুলবার নানান চেষ্টা করতে করতে এক পর্যায়ে ওটা ভেঙ্গে ফেলবার জন্য ভারী টুল নিয়ে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকেন, ভেতরে ততক্ষনে দস্তাদস্তির শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে! খারাপ কিছু ঘটে গেছে কি!?
অবশেষে মিনিট বিশের চেষ্টায় দরজা ভাঙ্গতে সক্ষম হন আবুল খায়ের সাহেব। অন্ধকারে আবীরের মেঝেতে পড়ে থাকা শরীর দেখে কেঁপে ওঠেন তিনি। লাইট জ্বালাবার পর হতবাক ডক্টর দেখেন আবীরের গলায় বিচ্ছিরি রকম ভয়াবহ জখম শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ, আবীর মারা গেছে।
মুহূর্ত মাত্র সময়ে সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে এই লাইনে দুর্দান্ত অভিজ্ঞ মনে করা ডক্টর আবুল খায়ের, একা একা মাথা নেরে বলেন প্রচণ্ড হতাশায় নিজের গলা নিজে কেটে সুইসাইড করেছে সে। এরকম হতেই পারেনা যে স্বপ্নের সেই কুকুরটা এসে গলা কামড়ে মেরে ফেলে গেছে, রুম খালি বাড়িতে তো দূরে থাক এই এলাকায় কুকুর আছে কি না সন্দেহ!
আবিরের মৃত্যু হবার খানিক পর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন সে। পুলিশে খবর দিতে হবে, নিঃসন্দেহে ছেলেটি হতাশা থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ওসব স্বপ্ন হ্যালুসিনেশন বলে আসলে তার জীবনে কিছুই ছিল না।
এরকম একটা মৃত্যু চোখের সামনে দেখার পর বাস্তবিকই ভেতরে ভেতরে ডক্টর আবুল খায়ের দুর্বল ফিল করেন, ড্রয়িং রুমের লাইট বন্ধ, সুইচ অন করে ও জ্বালানো গেলো না, লাইট ফিউজ হয়ে থাকতে পারে।
মোবাইল বের করে পুলিশে খবর দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি, অপেক্ষা করতে করতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন, তখনি স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেন তিনি এক ঝাঁক উড়ে যাওয়া পাখি আহা কপি সুন্দর, মোলায়েম সবুজ কোমল ঘাস, অচেনা বন্য ফুল গন্ধ নেই কোন, ধীরে ধীরে স্থান পরিবর্তন, অদ্ভুত এক জঙ্গলে প্রবেশ করেন ডক্টর আবুল খায়ের, সেখানে বিশাল আকৃতির সব গাছ, বীভৎস পাখির কলতান। বড়ই রুক্ষ কর্কশ সেই সময়টা, এক পর্যায়ে শুরু হয় একটা সঙ্গীতের আওয়াজ, ওটা কানে পৌঁছাতেই দৌড়াতে শুরু করেন তিনি,
কেন ছুটছেন কি জন্য ছুটছেন কিছুই বুঝতে পারেননা, ভেতরে একটা আতংক কাজ করে শুধু, ছুটতে ছুটতে দম ফুরিয়ে আসতে চায় তার, তবু থামেন না, স্বপ্নের শেষ অংশে পথ রোধ করে দাঁড়ায় একটা কালো রোমশ ক্ষুধার্ত বিশাল আকৃতির কুকুর সে যখন তখন ঝাঁপিয়ে পড়বেন শরীরে কিংবা এই পড়লো বলে এই অবস্থায় তন্দ্রা কিংবা ঘুম কেটে যায় তার,
তারপরই হঠাৎ লক্ষ্য করেন জিনিসটা,
একটা শব্দ!গড়গড় গড়গড় গড়গড় গড়গড় একদম কানের কাছে।
তারপর ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যাবো। আমার দেরি হবে আসতে। স্বামী অমর বলে, ঠিক আছে।…..
নভেম্বর চলছে। অনির সাথে আজ দেখা হবে তা জানাই ছিল। এই তো ক’দিন আগেই দেখা…..
বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..
এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..