প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মৃতের সৎকার কিন্তু আমার কাজ না
তোমরা বারে বারে ডাকছো গোরের নিকট
আমি শুধু নীলিমার দিকে চেয়ে থাকি অপলক
আমি তো আমৃত্যু জীবনের কারিগর
শুশ্রুষা আমাকে সাজে
সৎকারে আমার কোনো কাজ নেই
মৃতের শরীর কিংবা আত্মা
কোনোটাই আমাকে টানে না
আমাকে একান্তে আজ থাকতে দাও
তোমাদের কান্নাকাটি লাশধোয়া কবরখনন
এসবে ডেকো না আর পরাস্ত সৈনিকে
নীলিমার শূন্যতায় বিষণ্ন অসীমে
আমি হয়তো খুঁজে নেব অনন্ত জীবন
আমাকে ডেকো না আর মৃতের সৎকারে
কুড়িগ্রাম আর রংপুর থেকে বানভাসী হয়ে তিস্তা গড়িয়ে ফিরছি। করতোয়া আর মহানন্দার ঢল এসে একাকার। আমি ভেসে যাই কালান্তরের পথে, নূহ নবীদের কিস্তিমাতেরও আগে। আমার বাঁপাশে বুঝি বাইসন ডানপাশে কোনো ডাইনোসরাস; কাল স্রোত যাকে টেনে নিয়ে যায় তাকে ধরে রাখে কেবা। দিন শেষে শুধু বন্যার জল, ঘটি বাটি আর ডায়রিয়া মহামারী, চারিদিক থেকে ধেয়ে আসে যেন পামিয়ান যুগে বরফ গলিত ধারা। রংপুর ভাসে কুড়িগ্রাম ভাসে — গ্রামবাসীদের ঘর ডোবে আর ডুবে মরে সম্ভ্রম। কাল থেকে কালে আমি ভেসে যাই — হাতে কিছু নাই খড়কুটো নাই ধরবার ছুতোখানি।
তিনি বলেছেন মহাপ্রলয়ের দিন তবে সমাগত। সকলেই তার আভাস পেয়েছি কত। সাবধান করা হলো বহুবার আয়ুবৃক্ষের পত্র ঝরেছে যদি, তখনই বাজবে জীবনের শেষ ঘড়ি।
তিনি বলেছেন মহাপ্রলয়ের কালে, সূর্য ভীষণ তেজোদ্দীপ্ত হবে। গনগনে রোদ তাপের অনলে ভীষণ অসহ ক্ষণ। আসবেই জানি, এসেছিল তার খবর রাখিনি কোনো।
পামিয়ান যুগে ঘুরে বেড়াচ্ছি আমি। আজ থেকে যেন বছর বাইশ কোটি বর্ষেরও আগে। দলে দলে যত প্রাণীকুল যেন ঝর ঝর করে মরে। যারা ধ্বংসের নিত্য দুয়ারে থাকে, অতি ক্ষুদ্র কি অতিকায় প্রাণী যে যার নিয়মে মরে। এমন প্রলয় বারে বারে আসে, বরফ তালে কী জলস্রোতে ভেসে; পঁয়ত্রিশ কোটি বছর আগেও এমনটি ঘটেছিল। তিনি বলেছেন?
রঙের সাথে রং মেশাতে দু’এক টুকরা ভুল
কোথায় যেন হারিয়ে বসি বিহঙ্গ বকুল
ভুল তো কেবল রঙেই নয় ভুল হয়েছে পথে
ভুলের সঙ্গী যাদের পেলাম উঠছে দিব্যরথে
একলা বিকেল ক্লান্ত হয়ে সন্ধ্যাকে দেয় ডাক
কোথায় যেন সান্ধ্য পূজার উঠলো বেজে ঢাক
দিন হয়েছে পার হয়েছে তৃষ্ণা জুড়ে বুকে
যে গেছে সে চলেই গেছে থাকবে বুঝি সুখে
আমার শুধু মনে পড়ে সে কোন্ অভিজ্ঞান
সারাজীবন শূন্য পাবার জন্যে যতো ধ্যান
এমন যারা পাগল তাদের জীবন ভরা সুর
আকাশ মেঘে যতোই ঢাকুক মন ভরা রোদ্দুর
প্যারাপিথেকাস প্রাইমেট প্রাণী হেঁটে চলে বন পথে
সাড়ে চার কোটি বছরের আগে ফায়ুম মরুতে
একদিন তার মিলবে ফসিল সেকথা জানে না
ছোটখাট এই আদি পিতা রূপ
মানুষের আর নরবানরের;
খুনশুটি করে একে অপরের লেজ টেনে ধরে
তার জানা নেই বংশ যে তার উন্নত হবে
শিড়দাঁড়া আরো সোজা রিজু হবে।
হাতগুলো তার হাঁটা ছেড়ে দেবে
একদিন তারা হাতাহাতি ছেড়ে অস্ত্র বানাবে আর
একে অপরকে মেরে রেখে যাবে, কোন্ কলিযুগে।
প্যারাপিথেকাস এসব জানে না।
গাছে গাছে তার নেচে বেড়াবার দিন শেষ হয়ে আসে। সাড়ে চার কোটি বছর আগেই নিভে গেছে তার নাম। এসব নিয়ম কালের লিখনে আমিও তো মুছে যাব। মানুষের নাম মানুষই মুছবে মনে হেন সন্দেহ…
ফানকুর কথা যে জানে সে জানে
একদিন এই পৃথিবী কিংবা আকাশ ছিলো না।
যারা মানে, মানে ফানকুর গড়া সেই মহাডিম
ভেঙে গড়া হয় আকাশ পৃথিবী
বিজুলি বজ্র মেঘ;
আঠার হাজার বছরের ঘুম ভাঙে নাই ভাঙে নাই,
ভেঙেছে অশ্বডিম।
ফানকুর চোখ জ্বলে লাল রবি
চোখ থেকে শাদা চাঁদ
চারদিকে কতো পাহাড় খন্দ
কতো বেদনার ফাঁদ ও ফন্দি।
আমি খুঁজে মরি ফানকুর সে কুঠার —
যার আঘাতেই পৃথিবী হয়েছে,
ডিম হলো ছারখার।
বরফ হাতড়ে যতোটুকু যাই
যতোখানি ঘুরি চীন,
ফানকুর কোনো ফসিলের দেখা
মেলে নাই মেলে নাই।
বরফ যুগের হিম শীতলতা
দু:খগুলোকে ঢাকে
লাল চোখ থেকে সূর্যের তেজ
শাদা চাঁদ দেয় প্রেম।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..