আমাকে ভালবাসো

শীর্ষেন্দু দত্ত
গল্প
আমাকে ভালবাসো

আমি ওকে ভালবাসি। খুবই ভালবাসি। ওর সবকিছু আমাকে প্রচন্ড রকম আকর্ষণ করে। ওর কথা বলা, হাটা,হাসি,তাকানো সব। ওর পেশল শরীর,চওড়া কাঁধ,নির্মেদ পেট,কোমড় এসব আমার শরীরকে অবশ করে দেয়। নিজেকে মাতাল মাতাল লাগে। শিঊরে শিঊরে উঠি নিজের রক্তের গতিমুখিনতায়। আর ও-ও আমাকে ভালবাসে। আমার মতই। আমার স্পর্শে ওর গোপনাঙ্গ শক্ত হয়ে মুখিয়ে ওঠে। ওর হাত আমার বুককে পিষে ফেলে। আমার বুকে ব্যথা করে দেয় ও। আমিও ওর গভীরে হাত ঢুকিয়ে লেহন করতে থাকি। আমরা দুজনেই দুজনকে খুব ভালবাসি। নিজের থেকেও বেশি। একে অপরকে এক মূহুর্ত ছেড়ে থাকার কথা ভাবতে পারিনা। থাকিওনা। আমাদের এই সম্পর্ক বাইরের লোকেরা,বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজন কেউই জানতে পারেনা। তবে অনেকে নাকি আমাদের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করে। কেউ কেউ আবার পিছন থেকে ছক্কা বলে আওয়াজও দেয়। কিন্তু তাতে আমাদের দুজনেরই কিছু আসে যায়না। আমরা আমাদের মতো থাকি। একে অপরে মিলেমিশে বুঁদ হয়ে থাকি ভালবাসার নেশায়।

যখন আমি ওর সাথে ঘুরতে বেরোই ওর হাতটা শক্ত করে মুঠোবন্ধ করে হাটি। আবার ও যখন আমার চুলে বিলি কাটে তখন লোকে অদ্ভুত ভাবে আমাদের দেখে। বা পার্কের নির্জণ কোণে যখন আমি ওর শার্টের বোতাম খুলি তখন ওর আরেকটা হাত আমার গোপনাঙ্গে ঢুকে যায়। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আমি যখন ওর হাতে চুমু খাই তখন আমাদের মা ভ্রূ কুঁচকে বিরক্তি প্রকাশ করে।

আমাদের নিয়ে আলোচনা হয় ঘরে ও বাইরে। সমালোচনা হয়। ঘৃণা বর্ষিত হয়। কি করা যায় তাই নিয়ে কথা চলে। পাগলাগারদে পাঠানোর প্রস্তাবও আসে। কিন্তু সেসব নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনা। কারণ একমাত্র মৃত্যুই পারে আমাদের আলাদা করতে। আমরা এক ও অভিন্ন অচ্ছেদ।

আমি জানি আমাদের সবাই ঘেন্না করে। কিন্তু আমি নিজেকে ঘেন্না করিনা। কারণ,আমিতো কোনো ভুল কাজ করছিনা। কারোর বউ বা প্রেমিকার সাথে প্রেম করছিনা। ডবল বয়েসী বা হাফ বয়েসী কারোর সাথেও প্রেম করিনা। কোনো আত্মীয়ের সাথেও না। এমনকী বিশ্বাসভঙ্গ করে কোনো বন্ধুর বোনের সাথেও না। আমি ভালবাসি আমাকে। তাতে কোনো অন্যায়, বিকৃতি বেইমানি হয়? নিজেকে ভালবাসা,নিজের প্রেমে পড়া কি অন্যায়? যদি কেউ বলে যে সে নিজেকে ভালবাসেনা তাহলে তার থেকে মিত্থ্যে আর কি হতে পারে? আর ভালবাসাও যখন গভীর গাঢ় হয় তখনই তো প্রেম। আমার যদি সেটা হয় ভুলটা কিসে?

আমি আমার শরীর দেখে যৌন উত্তেজনা অনুভব করি। নিজেকে আদর করতে আমার ভাল লাগে। নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে হাত বোলালে আমি আমার হাত আর শরীর উভয়কেই তৃপ্ত করতে পারি। গায়ে শীত কাটা বেরয়। লিঙ্গ হাতের ছোঁয়ায় শক্ত হয়ে ওঠে। আমার শরীর একজন শক্ত সমর্থ যুবকের হলেও আমার মন কোমল,নরম,মেয়েলী। আমার তিন বছর বয়সে আমার বাবা মারা যান। মায়ের আদরে বড় হই। কিন্তু বাবার আদর পাইনি। পুরুষালি আদর,স্নেহ,ভালবাসা কেমন তা বোঝার সুযোগ হয়নি। এখন সেই তৃষ্ণা আমি নিজে নিজেই মেটাতে চাই। এতসব জানার পরও কেউ যদি আমায় পাপী বলে তাহলে আমি পাপ করেছি।

অনেকদিন থেকে আমার মধ্যে আরেকটা আত্মার অস্তিত্ব আমি অনুভব করতে থাকি। যার সাথে আমি মনে মনে কথা বলতাম,শেয়ার করতাম আমার ভাল মন্দ,সুখ দুঃখ। প্রথম দিকে ও কিছু বলতনা। চুপ করে শুনত। তারপর ও-ও কথার উত্তর দিতে শুরু করল। আমাকে সবসময় সৎ পরামর্শ দিত,বকতো,ঝগড়া করতো। এখনতো আমি চোখ বুজলেই ওকে অনুভব করতে পারি। এইতো ও। যার শক্ত শক্ত আঙ্গুলগুলো আমার দেহ মনে বাসনার আগুন ধরিয়ে দেয়…

-তুই আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবিনা তো?

-আরে কি করে যাব! তুইও জানিস।

-সেটা কি তোর অসহায়তা?

-অসহায়তা কেন হবে? আমিতো তোকে সত্যিই ভালবাসি।

-যদি তুই অন্য কেউ হতিস তাহলে এমনি ভাবে ভালবাসতিস আমায়?

-তুই যদি পরিযায়ী পাখি হতিস তাহলেও তোকে আমি ভালবাসতাম।

-তুই দেখতে সুন্দর। মেয়েরা দেখলেই তোর প্রেমে পড়ে যায়।

-সেটা কি আমার দোষ?

-তাদের কারোর প্রেমে তুইও তো পড়ে যেতে পারিস।

-ধুসস।

-আমি তোকে ছাড়া বাঁচবো না। তুই আর কারো না। শুধু আমার। আমার,আমার। তোকে হারালে আমি সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেব।

হটাৎ যেন আমার মধ্যে হিংস্রতা এসে পড়ে। আমি ওর মাথাটাকে হাত দিয়ে চেপে নিজের বুকের মধ্যে আনার চেষ্টা করি। যন্ত্রণায় ককিয়ে উঠি দুজনেই।

    আমরা ঠিক করলাম বিয়ে করব। সমাজ আমাদের স্বীকৃতি না দিলেও আমরা আমাদের স্বীকৃতি দেব। শহর থেকে অনেক দূরে কোথাও গিয়ে বিয়েটা সেরে ফেলবো। যে কথা সেই কাজ। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম লং ড্রাইভে। উদ্দেশ্যহীন সে যাত্রা। পুরো একটা বেলা ড্রাইভ করে আমরা আমাদের শহর থেকে অনেক দূরে চলে এলাম। আশপাশ বদলে যাচ্ছে। লাল মাটির দেশ। দূরে দূরে টিলা পাহাড় চোখে পড়ছে। সুর্যাস্তের সময় গাড়ি থামালাম। রাস্তার ধারে একটা ভাঙ্গাচোরা মন্দির। সেখানে ঢুকে পড়লাম। কালিমন্দির। ঈশ্বর কে সাক্ষী রেখে আমি আমার মাথার সিঁথি লাল সিঁদুরে রাঙ্গিয়ে নিলাম। কালিমুর্তিকে প্রণাম সেরে মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে এলাম।

আমরা এখন দারুণ সুখী। এবার আমাদের মধুযামিনী যাপন। গাড়ি চালিয়ে আমরা চললাম সামনে।

পাহাড়ী টিলার কোলে একটা ছোট্টো রিসর্টে গিয়ে উঠলাম। রিসেপশনে রেজিষ্টারে লিখলাম মিষ্টার অ্যান্ড মিসেস দত্ত,পারপাস-হনিমুন,জাস্ট ম্যারেড। রিসেপশনের লোকটি আমার পিছনে উঁকি দিয়ে বলল,

-কংগ্রাচুলেশন। কিন্তু উনি কোথায়?

আমি হেসে উত্তর দিলাম,

-আছে,আপনি ঘরটা দেখিয়ে দিন প্লিজ…

    সারারাত আমি ওকে আদর করলাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ শরীরে হাত বোলাতে লাগলাম,চুমু খেলাম,টিপলাম। চূড়ান্ত পর্বে মৈথুন করলাম। ফিনকি দিয়ে বীর্য বেরিয়ে আয়নায় ছিটকে গেল। ক্লান্ত আবেশে বিছানায় শুয়ে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমোতে ঘুমোতে স্বপ্ন দেখলাম,এক পাহাড়ী ঝর্ণায় আমরা দুজন চান করছি। আমরা দুজন!! হা,একদম তাই। আমরা দুজন। একইরকম দেখতে দুজন। একজন পুরুষ,আরেকজন নারী। মুখদুটো একরকম। আমরা দুজন সেই পাহাড়ী ঝর্ণায় জলকেলি করতে লাগলাম। দুজনেই উদোম অবস্থায় একে অপরকে আলিঙ্গন করে চান করতে লাগলাম…

এমন্ সময় ডোরবেলের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। দরজা খুলে দেখলাম,বেয়ারা চা নিয়ে এসেছে দুকাপ।

ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ফিরতে হবে। রিসর্টের ম্যানেজার বেরোবার সময় বলল,

-হ্যাপি জার্নি।

-থ্যাঙ্কু।

-ওনাকে তো দেখলাম না!

-এইতো বেড়িয়ে গেল।

-বেড়িয়ে গেল! কোথায়?

-ওই তো গাড়িতে গিয়ে বসেছে।

ম্যানেজার অবাক হয়ে দুরের গাড়িটার দিকে তাকিয়ে রইল। আমি ওকে পাশ কাটিয়ে বেড়িয়ে গেলাম।

    বাড়িতে ফিরে আমি আমার ঘর সাজাতে লাগলাম। ঘরে রঙ করলাম। নতুন ফার্নিচার আনলাম। সবাই অবাক হল। জানতে চাইল যে আমি কি বিয়ে করছি।

আমার নতুন দাম্পত্য জীবন বেশ ভালই কাটতে লাগল। নিউমার্কেটে গিয়ে সব থেকে দামি রঙ্গীন কনডোম কিনে আনলাম। আনলাম আরো অনেক কিছু। সুন্দর সুন্দর নাইটি,আন্ডারগারমেন্টস। রোজ রাতে আমি সেসবে নিজেকে সাজিয়ে আয়নার সামনে ওকে আদর করতাম। এই ভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলি। ভালই কাটছিল।

একদিন সকালে উঠে দেখি আমাদের সামনের ফ্ল্যাট বাড়িটায় নতুন একটা পরিবার ভাড়া এসেছে। ভদ্রলোক,ভদ্রমহিলা ও তাদের পরমা সুন্দরী একটি মেয়ে। মেয়েটা মনে হয় কলেজে পড়ে। সন্ধ্যেবেলায় মেয়েটি আমাদের বাড়িতে চলে এল আলাপ জমাতে। রান্নাঘরের সামনে টুল টেনে বসে মায়ের সাথে গল্প জুড়লো। মাও বেশ খুশী খুশী মুখে তার সাথে কথা বলতে লাগলো। এসব আদিখ্যেতা আমার একদম ভাল লাগল না। মেয়েটা হাসি হাসি মুখে আমার দিকে তাকালেও আমি পাত্তা না দিয়ে আমার ঘরে ঢুকে পড়লাম।

ঘরে ঢুকে ওকে বললাম,

-মায়ের সবটাতেই বাড়াবাড়ি। চেনেনা জানেনা,তার সাথে হাড়ি খুলে বসেছে।

ও বলল,

-এইভাবেই তো চেনাজানা বাড়ে। পাড়ায় নতুন এসেছে,সবার সাথে মিশতে     চায়,ভালইতো।

-মেয়েটা বড্ডো গায়ে পড়া।

-আমার তো তেমন মনে হল না। মিশুকে মেয়ে।

-তাহলে আরকী! তুই গিয়ে মেশ।

-যাহ! আমি তাই বলেছি বুঝি? তবে কথা বলতে এলে বলবোনা কেন!

আমি ঘটাং করে জলের গ্লাশটা রেখে শুয়ে পড়লাম।

পরদিন কাজে বেরনোর সময় মেয়েটার মুখোমুখি। আমি যতই মেয়েটাকে এড়ানোর চেষ্টা করিনা কেন ও মেয়েটার সাথে খেজুড়ে আলাপ শুরু করল। আমার মনে অশণি সংকেত দেখা দিল।

বিয়ের প্রাথমিক আমেজটা কাটা শুরু হল।নিজের কাজকম্মো নিয়ে ব্যস্ততা বেড়ে গেল। দিনের শেষে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরে এলিয়ে পড়তে লাগলাম। ওর সাথে কথাবার্তাও কমে গেলো। ফোনে খুটুর খুটুর করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়তে লাগলুম। আড্ডা,যৌনতা সব ছুটির দিনে। আমার মনে হচ্ছে ও আর আমার আদরে তেমন তৃপ্ত হচ্ছেনা।

একদিন রাতে ওর চুলে বিলি কেটে জিজ্ঞেস করলাম,

-তুই হ্যাপি তো?

-হটাৎ এই কথা কেন?

-না,এমনি।

-শুয়ে পর। সারাদিন পর এসব বাজে কথা ভাল লাগেনা।

বাজে কথা! আমি কথা বললে এখন ওর বাজে কথা মনে হয়! আগেতো মুগ্ধ হয়ে শুনত!

    সামনের ফ্ল্যাটের মেয়েটার সাথে ওর সখ্যতা যেন বেড়েই চলল। দুজনে দুজনের ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়াও করে ফেলেছে। ও প্রায়ই আনমনা হয়ে কি ভাবে। শোবার সময় আর মৈথুনে উৎসাহ দেখায়না। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শুধু পরের পর সিগারেট খেয়ে যায়। আমার মাথা  ক্রমশ গরম হয় ওঠে। আমাদের মাঝখানে একটা মেয়ে ঢুকে পড়েছে। রাতে মেয়েটা ওকে ফোন করে। ফোনালাপ রোমান্টিক হতে থাকে দিনের পর দিন। আম ওকে বোঝাতে চাই। ও বুঝতে চায়না। প্রসঙ্গ পালটে দেয় শুধু।

সেদিন ও বলল,

-চল আজ সিনেমা দেখতে যাই মুনমুনের সাথে।

-মুনমুন কে?

-আরে সামনের বাড়ির মেয়েটা।

-না আমি যাবনা।।

-তুই না গেলে আমি কিভাবে যাব!

আমি জানি আমাকে ছাড়া ও যেতে পারবেনা। আবার ও গেলে আমিতো আটকাতেও পারব না। সাথে সাথে যেতে যেতে হবে। শেষ পর্যন্ত তাই হল।

সিনেমা হলে ওরা পাশাপাশি গায়ে গা লাগিয়ে বসে সিনেমা দেখতে লাগল। কিছুটা পর মুনমুনের মাথা ওর কাঁধে এলিয়ে পড়ল। আমার কিছু করার নেই। চুপচাপ বসে সব সহ্য করতে লাগলাম। ঠিক করলাম আজ বাড়ি ফিরে এর একটা হেস্তনেস্ত করব।

ঘরে ঢুকেই আমি ওকে চেপে ধরলাম।

-তুই মেয়েটাকে ভালবাসিস?

ও মাথা নীচু করে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।

আমি দুহাতে ওর কলার ধরে ঝাঁকুনি দিয়ে বললাম,

-বল,বল,বল,তোকে বলতেই হবে।

ওকে টেনে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে চোখে চোখ রেখে বললাম,

-উত্তর দে।

ও এবার সরাসরি আয়নার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল,

-হা,আমি মুনমুন কে ভালবেসে ফেলেছি। কিন্তু আমি তোকেও ভালবাসি।

-একসাথে দুজনের সাথে সম্পর্ক রাখবি তুই?

-তুই জানিস সেটা কতোটা ঠিক। তাছাড়া তোর আমার সম্পরক তো কেউ কোনোদিন জানতে বুঝতে পারবেনা। আমরা তো আমাদের মধ্যে আছিই। কিন্তু বাস্তব তো এটাই যে আমার একটা আস্ত মেয়ের শরীর প্রয়োজন।

আমি ওর জামার কলার ছেড়ে ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসতে লাগলাম। আমি কিছুতেই অন্য কোনো মেয়েকে মেনে নেবনা। তা সে যতোই আমাদের অ্যাবসার্ড  ইউটোপিও হোক। আমি মনস্থির করে ফেললাম। আলমারির ভিতর থেকে বের করে আনলাম রিভলবারটা। ও চিৎকার করে আমাকে বাধা দিতে চাইল।

-কি করছিস তুই! এতে করে আমরা কেউ বাঁচবোনা। কি লাভ হবে তাতে?

-দরকার নেই লাভের। কাউকেই বাঁচতে হবেনা। না তোকে,না আমাকে।

দরজার বাইরে মায়ের গলা শুনতে পাচ্ছি। দরজা ধাক্কাচ্ছে। আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলাম। রিভলবারটা বের করে ওর কানের উপর রেখে বললাম,

-তুই বেইমানি করেছিস,তোর বাঁচার কোনো অধিকার নেই…

আয়নাটার উপর রক্ত ঘিলু ছিটকে পড়ল। চোখ বন্ধ হতে হতে আয়নায় দেখলাম,ও পড়ে যাচ্ছে।

শীর্ষেন্দু দত্ত। লেখক ও ঔপন্যাসিক। জন্ম ১৯৬৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভারতের ইস্পাত নগরী জামসেদপুরে। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বাবাকে চার বছর বয়সে হারান পথ দুর্ঘটনায়। মায়ের সাথে কলকাতায় চলে আসেন। মেজমামা অরুন আইন একজন পরিচিত লেখক ছিলেন। তার কাজে প্রাণিত হয়ে লেখা...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..