আমাদের জানালায় ধ্যানী সময়

তৌহীদা ইয়াকুব
কবিতা
Bengali
আমাদের জানালায় ধ্যানী সময়

আসম পদাবলি

দুটো আলাদা স্রোত
মৃদু তরঙ্গের মত বয়ে যায়

সময় ও সম্পর্কের স্বস্তিহিন যাপন
ইত্যবসরে বিনিদ্র অক্ষর শরীর
অসম বিন্দুর কাছে বিস্ময়কর মতো বসে থাকে ।

আর উন্মাতাল নৃত্যের আবহ থেকে ফিরায়ে আনতে পারেনি বলে
বিম্বের ছায়া মুখ নেমে আসে বিম্বের মুখে
গুপ্ত ও প্রচ্ছন্ন ঘোরের মতো ।

কোন মুহূর্ত জ্বলে নি আলো হয়ে
কোন অভিমান ও রাখেনি বলে
এত খুঁড়ে কেন বিগত জোয়ারের পলি ?

আড়াল শুধু বেদনার কেন হবে ?
আনন্দ ও একেবারে ?
নিবিড় উড়াল মতো মানুষ পাখি হতে পারে নি বলে
দু’কদম দূর থকে সরে গেছে মুগ্ধ পদাবলি ।

ধ্যানী সময় ও আমরা

ধ্যান মঘ্নতার বিস্তার
অতলের দিকে কতটা টেনে নিতে পারে?
ধ্যানে , মঘ্নতায় , অতলে ও শূণ্যে
উলটে পাল্টে আগে ও পরে আমাদের দেখা হয় না কিছুই ।

জীবনের সব জটিল সত্যের তদুপরি উল্লেখে
পরিণাম সাথে নিয়ে দর্পে চলা অহং
এক জীবনে দেখারো একটা ধ্যানীসময় আছে !

মুহূর্ত মৌনতায় স্থির হয়ে গেলে
প্রকৃতি প্রগলভ হয়ে উঠে।
আর আমরা এক একজন
শিশু, পাখি আর ফুলের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়ে যাই।

 

আমাদের জানালায়

হয়তো বা ঘাস দুব্বায়
ফেলে গেছে কেউ কষ্টের শিশির।
আমাদের জানালা থেকে ফিরে গেছে
আলোর কণা গুলো বাতাসে
কিছু অনাগত মেঘ
কিছু আনত লাজুক করতল
ছুঁয়ে সুখী চাদরের ভাঁজে
মৃ্ম্ময়ী দিন …

আলনায় মেলে দেয়া
লোনা আর বুনো গন্ধের রাতে
হয়তো বা ফিরে যাবে মধু রেণু
পালকের নিস্তব্ধতায় … শান্ত মেঘেদের পাশে।

থেমে যেতে পারে কোন অঙ্কুরিত সুর
দক্ষিনের স্রোতে উদাসী ছায়ার মত
মিলিয়ে যেতে যেতে একদিন আবারো
নবান্নের সুঘ্রাণে …নকশির সু-চারু উদ্ভিত
বিনীত আবেশে নবীন ফাগুন দিন সেই সব।
পারিপারিক উঠোন থেকে চরাচরে
শালিক -চড়ুই আর বৎসায়নের বীজে
কাটাবে উন্মুখ আবারো কিছুটা সময়
উদ্গারিত ফলনের মুখে
নিবিষ্ট আলাপে…

তৌহীদা ইয়াকুব। কবি। জন্ম- ১৫ই মে ১৯৬৯। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলায়। বাবা ইয়াকুব আলি তালুকদার, সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। মা ছিলেন গৃহিনী। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি ৩য়। ছোট বেলা থেকেই লিখছেন। তবে প্রকাশে একেবারেই অনিচ্ছুক সবসময়। ফেসবুকে নিজের স্ট্যাটাস এ...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ