আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
দুটো আলাদা স্রোত
মৃদু তরঙ্গের মত বয়ে যায়
সময় ও সম্পর্কের স্বস্তিহিন যাপন
ইত্যবসরে বিনিদ্র অক্ষর শরীর
অসম বিন্দুর কাছে বিস্ময়কর মতো বসে থাকে ।
আর উন্মাতাল নৃত্যের আবহ থেকে ফিরায়ে আনতে পারেনি বলে
বিম্বের ছায়া মুখ নেমে আসে বিম্বের মুখে
গুপ্ত ও প্রচ্ছন্ন ঘোরের মতো ।
কোন মুহূর্ত জ্বলে নি আলো হয়ে
কোন অভিমান ও রাখেনি বলে
এত খুঁড়ে কেন বিগত জোয়ারের পলি ?
আড়াল শুধু বেদনার কেন হবে ?
আনন্দ ও একেবারে ?
নিবিড় উড়াল মতো মানুষ পাখি হতে পারে নি বলে
দু’কদম দূর থকে সরে গেছে মুগ্ধ পদাবলি ।
ধ্যান মঘ্নতার বিস্তার
অতলের দিকে কতটা টেনে নিতে পারে?
ধ্যানে , মঘ্নতায় , অতলে ও শূণ্যে
উলটে পাল্টে আগে ও পরে আমাদের দেখা হয় না কিছুই ।
জীবনের সব জটিল সত্যের তদুপরি উল্লেখে
পরিণাম সাথে নিয়ে দর্পে চলা অহং
এক জীবনে দেখারো একটা ধ্যানীসময় আছে !
মুহূর্ত মৌনতায় স্থির হয়ে গেলে
প্রকৃতি প্রগলভ হয়ে উঠে।
আর আমরা এক একজন
শিশু, পাখি আর ফুলের পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়ে যাই।
হয়তো বা ঘাস দুব্বায়
ফেলে গেছে কেউ কষ্টের শিশির।
আমাদের জানালা থেকে ফিরে গেছে
আলোর কণা গুলো বাতাসে
কিছু অনাগত মেঘ
কিছু আনত লাজুক করতল
ছুঁয়ে সুখী চাদরের ভাঁজে
মৃ্ম্ময়ী দিন …
আলনায় মেলে দেয়া
লোনা আর বুনো গন্ধের রাতে
হয়তো বা ফিরে যাবে মধু রেণু
পালকের নিস্তব্ধতায় … শান্ত মেঘেদের পাশে।
থেমে যেতে পারে কোন অঙ্কুরিত সুর
দক্ষিনের স্রোতে উদাসী ছায়ার মত
মিলিয়ে যেতে যেতে একদিন আবারো
নবান্নের সুঘ্রাণে …নকশির সু-চারু উদ্ভিত
বিনীত আবেশে নবীন ফাগুন দিন সেই সব।
পারিপারিক উঠোন থেকে চরাচরে
শালিক -চড়ুই আর বৎসায়নের বীজে
কাটাবে উন্মুখ আবারো কিছুটা সময়
উদ্গারিত ফলনের মুখে
নিবিষ্ট আলাপে…
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..