প্রেমিক
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
তাঁর মগ্ন সুর
আমাকে বারংবার বাঙালী করে।
জন্ম দেয় রচিত ভোর-
অরণ্যবীথির বীজফুল
জমে ওঠে একদলা গোস্ত ও রক্তজল
আমি প্রবাহিত হই-সন্তানে;
পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা নিবিড় আলাপন
সবুজ কালিতে লিখে দেয় দীর্ঘ ছুটির আবেদন,
একা দূরে যেতে বারণ
শুকনো কাঠের সমুল্লসিত
দরজার কংক্রিট শহরে…
আরো বুকসমান ইচ্ছা দেয়।অভয়ে সুমিশ্রণ-
এই বৃহস্পতিবার তোমার ছুটি হোক,
দীর্ঘতম নদীর মতো
আমাদের দলছুট বয়সে অনন্য নীরবচারী পায়ে
গ্রাম থেকে শহরে,কবিতার লাইব্রেরি পড়তে যাব।
এই তো সেদিন বালুর কাছে
তার পায়ের চিহ্ন অমনি আছে
যতদূর হেঁটে গেছে
খানিক পরে কিছুক্ষণ
থেমে থেমে পথের মতো বেঁকে-
স্নিগ্ধ ছোঁয়া নরম চোয়াল রেখে
ডাহুক পাখির পোষ না মানা
আবার দেখা অজান্ত দীর্ঘশ্বাসে-
ঘাসের ওপর সরোদ নাচে
নেশার জীবন মৃদু হাসে
মুগ্ধ গলায় বলতে গিয়ে
চোখের ভেতর সংকোচ বাঁধে
একজোড়া সুখ বেদনার বন্ধন…
ঝরাপাতায় অস্ত ফেরে
লুটিয়ে পড়ে সরু বৈকাল-
বুকের ভেতর যন্ত্রণার আস্ফালন!
হাতের ওপিঠে ঠেস রাখা দেয়াল
ঘুমন্ত জানালার থাইগ্লাস সরিয়ে
খুন চালানো প্রাকটিস দেখতে থাকলাম
কেবল মানুষ কোপাচ্ছে মানুষ
লাশ-টুকরো টুকরো সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
আর কোনো অবশিষ্ট নেই-আনুষ্ঠানিক
বিউগল বাজাচ্ছে গাছপাতা-বৃক্ষপুরুষ
এভাবে-কখনো সখনো রাত-দিন
চোখে চোখে নেমে যাচ্ছে শোক, অনুতাপ
জীবন্ত দু শালিক উড়ে যায়-অচিন্ত্য আকাশ।
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..
স্মৃতি চাঁদের আজ দুঃখ পাবার কিছু নেই ! সবুজ পৃথিবীতে আজকের এই বিকেলে আকাশে উড়ে…..
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..