প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
তোমার কি মনে পড়েনা
আমাদের প্রথম প্রেমে-
ভালোবাসার আকাশ ছিল সুনীল,
হৃদয়ের রঙ গুলো ছিল রঙ্গিন।
ঠোঁটের কার্নিসে জমে থাকতো
দু’জনার হৃদয়ের না বলা কথাগুলো।
দু’চোখের চাহনিতে থাকতো
মুখে না বলা ভাষাগুলো।
তোমার কি মনে পড়েনা
আমাদের প্রথম প্রেমে-
নাকের রন্ধ্রে ছিল কিছু চেনা গন্ধ,
গায়ের ঘামে ছিল কিছু মিশ্র জল।
কানে বাজতো কিছু চেনা সুরের ঝঙ্কার,
গলার স্বরে থাকতো কিছু কথার আভাস।
কথার প্রতিটি পরতে ছিল একটি জবান
“আমি শুধু তোমার, তুমি শুধু আমার।”
তবে আজ কেন তুমি নেই!
আজ শুধু আমার মনে পড়ে-
স্মৃতিগুলো ছিল অনেক মধুর
কষ্টগুলো ছিল অনেক ব্যাথাতুর ।
রোমন্থনের শিহরণে আজো কেন তুমি?
না আমাকে ভুলতে দাও, না বাঁচতে!
কোথায় খুঁজি তোমারে?
পুরনো ক্যালেন্ডারে! মরে যাওয়া বটের তলায়!
বৃষ্টি ভেজা গৌধুলিতে! সিঁড়ির দেয়ালে!
নাকি ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয়ের ফসিলে!
রোমন্থনের শিহরণে আজো কেন তুমি?
না আমাকে ভুলতে দাও, না বাঁচতে!
কোথায় খুঁজি তোমারে?
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপের বিবর্ণতায়!
শীতের সকালের অস্পষ্ট কুয়াশার ছাদরে!
নাকি প্রখর রোদে ঘামসিক্ত প্রহরীর তীব্র তৃষ্ণায়!
রোমন্থনের শিহরণে আজো কেন তুমি?
না আমাকে ভুলতে দাও, না বাঁচতে!
আমার শব্দহীন অশ্রু জলে হইনা নদী,
ভেসে যাইনা শুকনো পাতায় লিখা
“আজো তোমাকে খুঁজি।”
ভাবছি-
তোমার কাছে আমার ভালোবাসার
অনন্ত পতন কে উপেক্ষা করে,
এলোমেলো চিন্তার সীমানা পেরিয়ে,
যেতে হবে বহুদূর।
কি পেলাম আর কি হারালাম,
জানি মিলবেনা হিসেবের অঙ্ক,
তবুও বেঁচে থাকতে হয়
এই গোলক ধাঁধার দুনিয়াতে,
তোমাকে সুখী দেখবো বলে।
আমিও অনেক সুখী,
মরুর অশ্রুজল যেমন রোজ
প্রখর তাপের উষ্ণতায় বিলীন
হয়ে যায়, আমার সুখগুলো তেমনি
করে তোমার মিথ্যে ভালোসায়
রোজ হারিয়ে যায়।
তাই ভাবছি-
পিছনে ফিরে দেখে কি হবে?
থাকুক না স্মৃতির পাতায় সযত্নে
লিখা এক যুবতীর জীবন গাঁথা।
তোমায় দিতে পারিনি –
বর্ণহীন একটি মৃত গোলাপ,
একটুকরো কাঁচের ভাঙ্গা কাঁকন,
আঠাহীন পুরনো একটি টিপ,
রংখসা একটি পুরনো শাড়ি।
তবুও ভালবেসেছিলে, রক্তের নহরে
যে কাঁটা ভরা পথের শুরু করছিলে,
সে রক্তগঙ্গা আজো আমার প্রতিটি
শিরা-উপশিরায় প্রবাহমান।
পাঁচ টাকাতে কত কি মিলতো-
একটি সিঙ্গারা, একটি সমুচা
আরো যে কত কী, শুধু মিলতো না
তোমায় দেব কী?
তবুও ভালোবেসেছিলে জন্মজন্মান্তরের,
রেখেছিলে বদনে বিশ্বাসের হাত, দিয়েছিলে
শিথিল হৃদয়ে ভালোবাসার উষ্ণতার তীব্র ছোঁয়া।
যে দিনগুলো গেছে, পিছনে ফিরে দেখি রোজ বারংবার
সেই সময়গুলো কি আর ফিরে আসে! হয়তো দেখবে
পড়ে আছে, সেই পুরনো ডায়েরির অলিতে গলিতে।
“হাতে হাত রেখে চলা সেই পথগুলো, মজেছিলুম
হৃদয়ের কত না বলা কথায়। সেই সব মনের কথা
কেমনে ভুলি! নাকি ভয় হচ্ছে ভুলে যাবো?”
হয়তো দেখবে সেই ডায়েরির কোনো এক কোণে,
রক্তে লিখা সেই প্রিয় নাম আর পড়ে থাকা শুকনো
গোলাপ গুচ্ছে-“আজো তোমার সেই হাসির সুরে,
মেঘেরা ছুটে চলেছে হৃদয়ের বন্দরে, আর সেই
সুরে ঝিরি ঝিরি শব্দে বৃষ্টিগুলো আজো ঝরে।”
আজকের বর্তমান যখন অতীত হবে হয়তো
দেখবে সেই ডায়েরির শেষের পাতায় লিখা-
“হৃদয়ের মরুকরণে তোমাকে আবার বৃষ্টি হয়ে
ফিরে পেতে চাই, আবার ফিরে আসবে আমাতে
তুমি, ভালোবাসবে আগের মতই শুধু। চুপ করে
মুখ বুঝে কিছু কথা শুনে থাকি, তবুও বলতে
ইচ্ছে হয় চোখের ভাষায়-আজো আগের মতই
ভালোবাসি, বড্ড বেশি ভালবাসি।”
সব ভুলে গেছি তোর ছোঁয়াতে যা ছিলো,
সহে যায়নি কী, চোখে ভাসে তোর হাসি মুখ।
সব উজাড় করেছি, কে মুছে তোর পদ ছাপ?
হাসি, খুশি, কান্না সব কিছুতে শুধু তুই।
আমিতো আমাকে জানিনা, না চিনতে শিখেছি,
মিশে গেছিস শিরা উপ-শিরাতে, এই জীবনে।
আমি বুঝিনি, বুঝতে শিখিনি, তোকে বুঝি;
পরিবার, সমাজ, বন্ধু, স্বজন কিছুই দেখিনি
সব পরতে তুই, তুই ছাড়া সব ধোঁয়াশা।
তোর তো সবই আছে, আমার শুধু তুই,
আমি মানিনা, মানিনা কোন নিয়ম।
মরে যাব তবু যেন না ভাঙ্গে স্বপ্ন আমার,
পাগল হয়ে যাবো তবু এই অধরে তোর নাম।
আমি অনেক স্বার্থপর, তুই যে শুধু আমার।
কেন দূরে থাকব, মানবো এতো রীতিনীতি!
যেখানে তুই সেখানে আমার ভালোবাসার রশ্মি,
অদ্ভুত এই ভালোবাসার ক্ষিপ্রতা, অদ্ভুত আমি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..