করাচিতে নজরুল
করাচি বন্দরে এককালে গ্রিক-পারসিক-আরবীয় সওদাগরেরা নোঙ্গর করেছে; অনেক স্থাপত্য চিহ্ন আজো রয়ে গেছে; যা…..
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি দু’বছর পরই। আমরা জাঁকজমকভাবে তা পালনের অপেক্ষায়। আসলে স্বাধীনতার সেই স্বাদ কি নিতে পারছি?
কবি হেলাল হাফিজ, তার কবিতায় বলেছেন-
“কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে
ভজন গায়িকা সেই সন্ন্যাসিনী সবিতা মিস্ট্রেস
ব্যর্থ চল্লিশে বসে বলবেন, ‘পেয়েছি, পেয়েছি’।”
(একটি পতাকা পেলে)
সাম্প্রতিককালে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ লক্ষ্য করেছি। যেগুলো বেশ ঘটা করেই প্রচার করা হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ এগিয়ে। বাইরের দেশগুলো আমাদের ভূয়সী প্রশংসাও করছে। আজ আমরা নিজেদের অর্থে দারুণ সব মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি; যার বেশ কয়েকটা বাস্তবায়নের পথে (নিন্দুকেরা বলেন, এসব প্রকল্পের খরচ বহির্বিশ্বের যেকোনও ব্যয়ের চেয়ে অতিরিক্ত)! আজ আমরা স্যাটেলাইট পাঠাতে পেরেছি মহাকাশে।
কিন্তু কবি, তার বচনে ‘কথা ছিলো’ লিখে আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছেন।
আজ বিশ্বের নামকরা মিডিয়াগুলোর বাংলা বিভাগ আমাদের সামনে তুলে ধরে স্বৈরাচারের দশ লক্ষণ। তারা জানিয়ে দেয়- যারা গণমাধ্যমকে ভয় দেখায়, রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দলীয়করণ করে, বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি করে, বিশেষ সুবিধা ও দমনপীড়ণে সিদ্ধহস্ত, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে কিংবা নির্বাচনে কারচুপি করে- তাদের স্বৈরাচারের আওতায় ফেলা হয়।
মুক্ত সাংবাদিকতার এই সময়কালে আমাদের মিডিয়াগুলো কতটা অসহায়, তাদের সেই জোরালো ভূমিকা আজ দূরঅস্ত! মিডিয়াকর্মীরা আজ নিজে থেকেই গা বাঁচিয়ে চলার পথে ধাবমান।
কেন আমাদের পূর্বপুরুষগণ নিজেদের জীবনপ্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন? ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রিয় এই ভূমিতে ছড়িয়ে ছিল বারুদের গন্ধ, আর লাশের স্তূপ! এসব প্রশ্ন আজ নতুন প্রজন্মের কাছে ফিরে ফিরে আসছে।
মহান স্বাধীনতার পর এই সময়েও আমাদের সন্তানদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ সড়কের দাবি জানাতে হচ্ছে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণে রাজপথ সরগরম করতে হয়।
যে জনগোষ্ঠী একদা একাট্টা হয়ে ১৯৪৬ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়ে মুসলিম লীগকে একচেটিয়া জয় এনে দিয়েছিল, তারা কেন হঠাৎ ঘুরে দাঁড়াল-এ প্রশ্নের অনেকটাই মীমাংসা হয়ে যায় একাত্তরে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক বছর না পেরোতেই এ দেশের মানুষের মোহভঙ্গ হতে শুরু করে। মুসলিম লীগের মধ্যে গণতন্ত্রচর্চার অভাব, ক্ষমতাসীনদের কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতার হাতবদল, পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বেড়ে যাওয়া, জাতিগত নিপীড়ন এবং সবশেষে একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহা স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেয়। ১৯৪৭ সালের অবস্থানটি পাল্টাতে যে বিরাট মনোজাগতিক পরিবর্তন দরকার হয়েছিল, তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২৪টি বছর। কেবল ধর্মের গাঁথুনি দিয়ে যে একটি রাষ্ট্র তৈরি করা যায় না, এ বোধোদয় যেদিন হয়, সেদিন থেকেই একটি ভিন্নরকম রাষ্ট্রের চাহিদা তৈরি হয় মানুষের মনে। শেষমেশ প্রায় সব ধারা এসে এক মোহনায় মিশে যায়, যার প্রতিধ্বনি শোনা যায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। আর এই স্লোগান হলো একটি জনগোষ্ঠীর জেগে ওঠার প্রেরণা, যা সব শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের মানুষকে এক সুতোয় গাঁথতে পেরেছিল।
স্বাধীনতার এই সময়ে দারুণ জ্বলজ্বলে সময়ে এখনও আমরা দেখছি, একদিকে শহরকে সুন্দর করার আয়োজন, অন্যদিকে ওই মানুষগুলোর পেছনে একটি করে নিরন্ন পরিবারের হাহাকার।
শেষ করি সৈয়দ আবুল মকসুদের একটি বক্তব্য দিয়ে,
“৭ মার্চের ভাষণে ‘বাংলার মানুষ অধিকার চায়’ বলার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বুঝিয়েছিলেন সব ধরনের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার। যে রাষ্ট্রের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, তার রাজনৈতিক স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ। তার জনগণ স্বাধীন দেশের নাগরিক হলেও মুক্তির স্বাদ থেকে বঞ্চিত।”
করাচি বন্দরে এককালে গ্রিক-পারসিক-আরবীয় সওদাগরেরা নোঙ্গর করেছে; অনেক স্থাপত্য চিহ্ন আজো রয়ে গেছে; যা…..
তিনি বললেন, ভাষা হল ওষ্ঠের উপর সুধার মতো। আর বললেন, কবিতা যথেষ্ট স্বাদু, কিন্তু…..
রূপকথা পড়েছেন ছোট বেলায় অনেকে একথা আর বলা সন্দেহমুলক, প্রযুক্তির ব্যবহার জন্মের পর থেকে এখন …..
একটি পরাধীন দেশ আর তার বাসিন্দাদের মনে স্বাধীনতার আকুতি আমরা দেখেছিলাম ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে। এর…..