প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ভালোবাসা লেখো।লেখো, আদর।
যত্ন লেখো, আর লেখো এক আকাশ তারা।
একটা ছোটো বাড়ি লেখো।
সামনে বাগান একফালি।
বাড়ির ভিতর লেখো ছোট এক ঘর।
একটা টেবিল আর একটা কলম আর
বাঁধানো খাতাটা, লেখো।
আমার একাকী ক্ষণ লিখে দাও।
আর অনন্ত কবিতা লিখো, ভুলোনা।
অভাবী কলম আবেগ লিখতে লজ্জা পায়।
ঠিক যেভাবে রান্নাপিসির ভাতের হাঁড়িতে ভাত নয়,
শুধুই জল ফুটতে দেখে আতঙ্কে পালিয়ে এসেছিল বড়বাড়ির ছোটছেলে,
সেভাবেই আতঙ্কিত হয়, সেভাবেই পালিয়ে যায়।
অভাবী কলম দুঃখ লেখে না, মনখারাপ লেখে না।
টগবগ আওয়াজের সঙ্গে ভাতের গন্ধওলা একটা বৃষ্টিসন্ধ্যা লেখে শুধু।
‘শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা’য় বজ্রপাতের আওয়াজে
শরীর না, মন না, ভাতের গরম ভালোবাসার পেটভরা রাত লেখে।
সাড়া নেই, শব্দ নেই
নিরুদ্দেশ, নিরুদ্দেশ
সকাল
চায়ের কাপ
বারান্দা
ছুঁড়ে ফেলা খবরের কাগজ তুলতেই
উদ্যত রাইফেল, রক্তাক্ত চিবুক।
ধোঁয়া-ওঠা ধোঁয়া-ওঠা ভাত
খাদ্যনালী আরাম-আরাম
ওরা টিভি থেকে তাকিয়ে, স্থির
সীমান্তক্যাম্প ভাত দেখে, ধোঁয়া দেখে
কাঁটাতারের ওপারের গোলায়
আমার গলা এফোঁড় ওফোঁড়
মেট্রোয় পাশের সিটে মেয়েটা
ঝাঁঝালো গন্ধ,
“অ্যাসিড, আসিড”
গলে যাওয়া চোখে অট্টহাসি
তখনি
ঠিক তখনি
মহিলা সিটের দিকে
রক্ত রক্ত ফুলছাপ ফুলছাপ ফ্রক
“গলায় দড়িটায় ঠিক এভাবেই গিঁট তো?
দেখুন না, প্লিজ, আর কোনও ভুল করতে চাই না যে!
একটু দেখুন , প্লিইইজ !”
সাড়া দাও
শব্দ দাও
শব্দ নিয়ে সাড়া নিয়ে
কবিতা, ফেরো
ওরা আমাকে দিয়ে একটা আয়তক্ষেত্র আঁকিয়ে নিচ্ছিল।
প্রস্থ বরাবর আমি ‘চোখ’ আঁকতে চাইছিলাম।
ওরা আপত্তি করলনা।
সোল্লাসে, দৈর্ঘ্য বরাবর ওরা ‘বদলা’ এঁকে দিল।
বদলা, চোখের থেকে বড় হয়ে গেল বলে
আমি মৃদু আপত্তি জানালাম।
ওরা সঙ্গে সঙ্গে চোখ বরাবর ‘রক্ত’ এঁকে নিল।
আমি আয়তক্ষেত্রের মৃদু কাঁপুনি টের পেলাম।
দেখলাম, আমার হাত বদ্ধক্ষেত্রটিতে লিখল, ‘বোধ’।
বেশ কদিন ধরেই ওদের সংখ্যা বাড়ছে,
বাসে, কলেজে, ইস্কুলে , রাস্তা-ঘাটে …
হামাগুড়ি দিয়ে বেড়াচ্ছে—
মানুষের মতো, বিশ্বাস করুন,
একদম মানুষের মতো দেখতে
কতগুলি মেরুদণ্ডহীন প্রাণী।
“আপনারা শঙ্খবাবুর কবিতা থেকে এসেছেন বুঝি!”
-প্রশ্ন করলে ওরা শূণ্য দৃষ্টিতে তাকায় .
“মেরুদণ্ডগুলো এখনও খুঁজে পাননি ?”
এবার গর্বিত উত্তর আসে
-“বেচে দিয়েছি ”
ঈশ্বরবিশ্বাসী জানে, শুধু ভালোবেসে
জিতে নেওয়া যায় যাবতীয় ভালোবাসা,
এবং ঘৃণাও।
তোমাদের চোখে আগুন, বুকে বারুদ,
হাতে অস্ত্র ঠাসা। যে হৃদয় শান্তি
খোঁজে, তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া
তোমাদের কাজ।
তোমরা নাস্তিক।
ঈশ্বর আমায় গান দিয়েছেন, ভালোবাসার।
নাস্তিক হৃদয়ে হৃদয়ে আমি গান লাগিয়ে দেব।
গানে গানে সুরে সুরে ঘৃণা পুড়ে যে ছাই,
আর ছাই থেকে যে ফিনিক্স পাখিটা,
সে উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে বিশ্বাস আর ভালোবাসার গান শিখিয়ে দেবে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..