দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
না পাওয়া গুলোকে অনেকে শূন্যতা বলে
এরকম অনেক শূন্যতা আছে আমার,
সেগুলো মিলেমিশে এক একসময় এক একটি কবিতা হয়ে যায়।
এক একটি কবিতা মুখে অনুরাগ মেখে থাকে,
হুবহু তোমার মতো, শীত শেষে একটু একটু করে বসন্তের হাওয়া
যখন জামা কাপড়ে জড়িয়ে যায়, বুকের ভিতরে গিয়ে ঢোকে,
তখন জমে থাকা সব কথাগুলি ফুলের কুচি হয়ে উড়ে যায়।
এক একটা শূন্যতা কেমন আকুল হয়ে ডাকে,
অনাবৃষ্টির জন্য যে জমিতে চাষ হয়নি, এক ফাল্গুনের দিনে
আমি সেখানে গিয়ে দাঁড়াই, পলাশের আগুন দেখে ভুলে যাই
কার পাশে কে কখন দাঁড়াতে পারেনি।
এক একটা শূন্যতা আকাশকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়।
এরকমই হয় মাঝেমাঝে
যখন মনে হয়ে পাতার পর পাতা ঝরঝর করে লিখে ফেলতে পারি
তখন হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয় চুপচাপ,
মনে মনে প্রচণ্ড তৎপর হতে চাইলেও
একটি শব্দও খুঁজে পাইনা কোনোদিক থেকে।
এরকম হয়। খুব কাছে কেউ আছে ভেবে যখন খোলা মনে ডেকে উঠি,
সে ডাক ভেসে যায় বন্য হাওয়ায়, কেউ সাড়া দেয়না,
বুঝতে পারিনা যে মাঝাখানে অদৃশ্য দেওয়াল উঠে গেছে।
এরকম হয়। যে হাতের মায়ায় আঁকড়ে ধরতে চায় বারান্দার খুঁটি
তাকে আচমকা চলে যেতে হয় বহুদূর পথে।
আমি আর কতটুকু দূরত্ব রাখতে পারি
প্রবল উচ্ছ্বাসে যখন ফুলে ফেঁপে ওঠা নদীর পাড় ভাঙে
তখন এমনি এমনিই বেঁচেবর্তে থাকা মানুষ ভেসে যায়।
পথের সাহায্য নিয়েই এদিক ওদিক চলাফেরা আমার
নেহাত পথ নিয়ে যায় তাই ঠিকানাগুলো সামনে আসে
নইলে আমি আর কতটুকু খুঁজে যেতে পারি।
ভালোবাসার জন্য কিছুই তো করিনি কোনোদিন
ঠিক সময়ে প্রিয় নারীটির পাশে দাঁড়াতে পারলে
পাতার বাঁশী টি আপনিই সুরে বেজে ওঠে।
এই যে মনের মধ্যে ঘরের মধ্যে উপচে পড়ে আলো
তাতে আমার আর কি করার আছে
দরজা ভেঙে আসে বলেই তো সে জ্যোতির্ময়।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..