প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
শান্ত শহরের একটানা ঘুম, ঠিকানাবিহীন পথে থেমে আছে;
নিশ্চিন্তের বাহুকে জড়িয়ে চলছে অবান্তর স্বপ্ন স্নান;
কিছু বিপরীতে জেগে থাকে একলা থাকার অভিযোজন,
অতি সংগোপনে;
চারপাশের গতিময় হৈ হুল্লোড়ে, একটা বিদেহী আগুনের জ্বালা জ্বলছে যেন!
আকাশে মেঘের বীজ বোনা সবে শুরু,
আর কদিন পরেই বৃষ্টির ফসলে শত শত কবিতা পড়ে থাকবে,
শহরের আনাচে কানাচে;
কেউ দেখবে না,
কেউ তুলবে না;
শান্ত শহর তার প্রশান্তি নিয়েই ব্যস্ত!
বিশ্বস্ত দাবানলের আঘাতে বৃক্ষ,অঙ্কুর গুলো একে একে পুড়ে ছাই হোক,
তবু এ তরঙ্গ আটকানো যাবে না!
প্রগতির ছদ্মবেশে,
অবক্ষয়ের মায়াবী ইশারা,
টেনে নিয়ে যাচ্ছে নাম না জানা সীমানায়!
আমরাও বেশ আছি সেই জোয়ারে;
উদাসিনী গঙ্গার বুকে ভেসে যায় আবেগের জলাঞ্জলি!
চারিদিকে শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া!
পঞ্চভূতের রঙ্গমঞ্চ ধোঁয়াশায় ঢেকে যেতে বেশি দেরি নেই আর!
নীলগ্রহের নতুন নাম এখন –
‘ধূসর পৃথিবী’!
অভিমানী সূর্যের অস্ত রাগে,
মৃত শহর কুড়িয়ে চলেছে ঝরা ফুলের বিরহী গন্ধ;
কিছু দ্বন্দ্ব,কিছু অসম্পূর্ণ কথা,
চারিপাশ হেঁটে বেড়ায় থমথমে শূন্যতা নিয়ে!
কোনো এক স্থির নিঃশ্বাসে গিয়ে,
এলোমেলো হবে সবকিছু,
এই আশায় অযথা
সময়ের ব্যবধানে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা পলাশের প্রাচীনতা,
দুহাতে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিল বসন্তের পরিতৃপ্ত ছায়া;
অণুরণনের শব্দ খুঁজে বেড়ানো সেই চোখে লেখা,
কিছু না বলা কথার অনুরোধ,
বেশ ছিল অশ্রুর সাথে এক কোণে;
সহসা লাল আগুনের সবটুকু রঙ ভেঙে,
আকাশ জ্বলে উঠলো আবার,
তোমার এক পশলা অবগাহনে।
থমকে থাকা শহরের সর্পিল বুকে আতঙ্কের দাগ লেগে আছে;
অজস্র প্রশ্নের ভিড়ে পরিচিত উত্তর আজ হারিয়ে গেছে কোথাও;
এরই মাঝে ঘরের কোণায়,
জমে থাকা ধূলোর দাপটে
নিঃশ্বাস নেওয়া দায়!
অসহিষ্ণুতার আগুন নিয়ে গন্ডীরেখার শিখা ক্রমশ ঊর্ধমুখী;
জানলার ফাঁক থেকে বয়ে আসছে আলোর সরলরেখা!
খুব ধরতে ইচ্ছা হয় সেই রোদ্দুর হাসিকে,
তাকে চুমু দিয়ে পাতার সবুজটা বেঁচে উঠুক আবার;
না বলা শব্দের স্রোতে একলা থাকার অভিপ্রায়,
প্রিয় মানুষটাকে খুঁজে বেড়ায় এখানে ওখানে;
প্রতিবাদের সিঁড়ি পেরোনো পায়ে যেন শিকল পরিয়ে দিয়েছে কেউ!
অচেনা স্থৈর্য নিয়ে চারিদিকে কেমন দমবন্ধ ছটফটানি!
মুক্ত করবে কে এদের,
নেই কোনো পূর্বাভাস!
দিনের চোখ ধাঁধানো তারার দিকে তাকিয়ে,
ধৈর্যের অপেক্ষায় প্রহর গুনে চলেছি কেবল!
মধ্যরাতের স্বপ্ন বিনিময় খেলায়,
একাকী মেয়ের হেঁটে চলা ছায়া আমি;
অলিগলিতে প্রশ্নচিহ্ন লেগে থাকা চোখে,
আগুনের উত্তর ছুঁড়ে,
খুঁজে আনবো নিরাপদ বাতাসের ছোঁয়া,
শুধু তোমার জন্য।
সমস্ত সন্দীহান দৃষ্টি গুলো আকাশে উড়ে যাবে,
উষ্ণ অশ্রুর বাষ্প ধরে!
তোমার একা চলার দম্ভ সৌন্দর্য দেখবো দুচোখ ভরে;
আমি সেই পুরুষ হবো।
যে পাথরের কাঠিন্যে তুমি আহত হয়ে থেমেছিলে কোনোদিন,
অজ্ঞাত বনবাসে মুখ লুকিয়েছিলে পরিচয়হীন রূপ নিয়ে,
সে পাথর আমি ভাঙবো না;
আঘাতেও দেব না ওষধির প্রলেপ;
শুধু সে পাথর সরিয়ে,
চাঁদে ভেজা এক বৃষ্টির রাতকে এনে দেব তোমার কোলে;
স্নেহ ভালোবাসার গান গাইতে গাইতে,
তুমি ছুঁয়ে যাবে প্রতিপাদ ফালির আলোরেখা;
একান্তে জানলায় বসে
জোনাকির ঝাড়বাতি সাজাবো,
তোমায় স্বাগত জানাতে-
আমি সেই পুরুষ হবো।
তোমার উদ্বাস্তু জীবনের ধ্রুবতারা আমি;
দিগ্ভ্রান্ত চোখের পলকে এনে দেবো উদ্দেশ্যকে খুঁজে পাওয়ার অস্থিরতা।
সম্পর্কের শিকলে বেঁধে না রেখে,
উড়তে দেব তোমায়,
পরিযায়ীর মত এপার থেকে ওপার;
জানি,তুমি ফিরবে ঠিকই!
বিশ্বাসের নিঃশ্বাসে নিশ্চিন্ত মনে চেয়ে থাকবো,
নুয়ে থাকা আকাশের দিকে;
হ্যাঁ, আমি সেই পুরুষ হবো।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..