আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
আমি যা আমি তা…
তুমি ভিড়ে গেছ দলে।
জানি তা।হয় নাই দেখা।
শ্যামলা সবুজ গাছের গায়ে ঝুলে আছে যজ্ঞডুমুর।
চোখ তুলে দেখি আমি আর শীতের দুপুর।
পাশের সারি সারি সুপারি গাছের কম্পমান পাতার
ফাঁকে ফাঁকে জমে যাওয়া অনুভূতি নিয়ে
বেরিয়ে আসছিল মাঘের তীব্র শীত।
যদি ফিরে দেখ গ্রীষ্মে
স্বাভাবিক নিয়মেই ডুমুরের খোলসের ভেতরেই
ফুল ফুটে যায় অজান্তেই।
বট পাকুড়ের মত এর ফুলেরাও ভারী লজ্জাবতী।
মুখ লুকায় খোলসের অন্তরালে।
আমি কেন পারিনা লুকিয়ে রাখতে মুখ
প্রসাধনের গাঢ় প্রলেপের আস্তরণে!
ভিতর ও বাহিরে একই মুখ কেন?
কেন মোর একই মুখচ্ছবি?
অনেকেরই আছে ভিতর ও বাহিরে রূপ
যেখানে যা লাগে প্রকাশ ঘটে ভিন্ন ভিন্ন পাত্র ভেদে।
আমিই শুধু হায় এই হতভাগি মুখ দেখিয়ে ঘুরি
আর লুটোপুটি খেয়ে মরি।
আমার লজ্জাও গেছে ধুয়ে বোধ নদীর জলে।
সভ্যতার কাছে এ এক উলঙ্গ জীবন।
এ এক নির্লজ্জ অমানুষতা।
শীতের আবেশে
উত্তাপ খোঁজে মুষ্টিবদ্ধ দুটি হাত বগলের নিচে।
এই দৃষ্টিগম্য আকাশের নিচে নেই আলো,আলো নেই।
তবে কিছুটা ঘুরপথে হেঁটে গেলে
আমি যেতে পারি আলোর সন্নিকটে
যেখানে জ্বলে গনগনে আগুনের আলো।
এ আগুনের আভা প্রতিফলিত মুখে সোনার ঝিলিক,
অভিমানী সূর্যকে টেক্কা দিয়ে উপভোগ্য হয়ে ওঠে শীতে।
মনে হয় ঋষি ধ্যানে বসেছে,চলছে যজ্ঞ মেলা।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..