দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
এত জাঁকজমক হৈচৈ আর ভালো লাগে না বিদিশার। একটু নিভৃত শান্তি চায় ও। অন্বেষা ওর মেয়ে। ক্লাস টেনে পড়ে। বর পার্থ স্কুলের টিচার। বিদিশা নিজেও টিচার। অন্বেষার হাবভাব কথাবার্তা দেখে আজকাল বিদিশার মনে হয় বিদিশার যুগটা অনেক পেছনে পড়ে আছে। “ঠাম্মির কাল জন্মদিন একটা চকলেট কেক কিনে আনবে মা? আর মর্নিংওয়াক করে যে দিদা গুলো ঠাম্মির সাথে ওদেরকে ফোন করে ইনভাইট করে দিতে বলি ঠাম্মিকে।“ বিদিশা লেপ গুলো রোদে দিতে যাচ্ছিল। মেয়ের আবদার শুনেই দাঁড়িয়ে গেল।“এই যা তো যা! লেপ গুলো এক এক করে ছাদে দিয়ে আয়।“ আকাশ থেকে পড়ল অন্বেষা।
“আমি!” বিদিশা একটু গম্ভীর হয়ে বলল,” হ্যাঁ। স্ংসারে অনেক কাজ থাকে। কাজ করতে না হলে এরকম উৎসব অনুষ্ঠানর প্ল্যান করতে খুব ভালো লাগে।“ অন্বেষা বলল, “এরকম করছো কেন? খাবার অর্ডার করে দেবে!” বিদিশার আজকাল কেমন যেন মনে হয়, এতো উৎসব অনুষ্ঠান জাঁকজমক করার প্রবণতাটা স্বচ্ছলতার অসুখ। বিদিশা কিপটে না। টাকা খরচ করতে আপত্তিও নেই। কিন্ত্তু কম করে আট নয় জন বয়স্কা মানুষ সন্ধ্যে বেলা আসা মানে তাদের একবার চা, তারপর খাবার, ঠিকমতো কথাবার্তা বলা, পরিশেষে বাড়ি ফেরার সময় গলি পর্যন্ত একটু এগিয়ে দেওয়া। এগুলো বিদিশাকেই করতে হবে। ওরা বাবা আর মেয়ে কেক এনে কেক কাটিয়ই সব দায়িত্ব শেষ মনে করবে।
শাশুড়ির জন্মদিন, নিজের মেয়ে পালন করতে চেয়েছে, আয়োজন করতেই হলো বিদিশাকে। নিজের এমনকি পার্থর হলেও না করতে পারতো জোর দিয়ে। কিন্ত্তু সম্পর্কটা এমন যে না করা যায় না। না করতে নেই। পরেরদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কেক কিনলো, খাবার অর্ডার করে দিল। সেরকমই কথা হয়ে আছে বাড়িতে। সারাটা সন্ধ্যে বয়স্ক মানুষ গুলো খুব গল্প করে গেল। সাংসারিক এটা সেটা নিন্দে মন্দ থেকে শুরু করে ঠাকুর দেবতা পুজো আচ্চা সব নিয়েই কথা হলো। অন্বেষা আর বিদিশার খুব প্রশংসা করলেন সবাই। “এমন নাতনি, এমন বৌমা ভাগ্য করে পায় সবাই” সবাই বললো এইকথা।
রাতে এঁটো বাসন কোসোন বের করে দিয়ে, ঘর মোটামুটি পরিষ্কার করে সোফায় একলা চুপ করে বসলো বিদিশা। সময়টাকে বড় নিজের করে পায় এইসময়। ওর একটু পরিশ্রমের বিনিময়ে অনেকের খুব আনন্দ হলো। যারা স়ংসার থেকে কোনোদিনই ঠিকমতো অবসর নিতে পারে না। সবার সব ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে, উপদেশ দেয়, নির্দেশ দেয় … আজ তারা সবাই এসে নির্ভেজাল আনন্দ করে গেল। চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিলো বিদিশা। একলা থাকা যায় না। একলা হওয়া যায় না। কত দায় কত দায়িত্ব কতজনের আশা আকাঙ্খার পূরণ করতে করতে দিন গড়িয়ে যায়। বিদিশার মনে হয় নিজের মতো থাকতে চাওয়াটাই বিলাসিতা। যুগের দাবি মেটাতে মেটাতেই যুগ চলে যায়।
অন্বেষা ডাকলো,”মা শুয়ে পড়ো। কাল স্কুল আছে না তোমার?”
বিদিশা আলো নিভিয়ে খাটে ঢুকতে ঢুকতে হাসলো,”ওরে বাবা কতো খেয়াল রাখে খেয়াল রাখে মায়ের!”
আবার কাল নতুন দিন। ঘুম নেমে এলো চোখে।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..