প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মাঝে মাঝে শান্তি লিখি
আপাত ঘোরের আঁচল উড়িয়ে
ধূমাবতী মেঘ দেখা দিলে
বিস্ফোরণে নিজেকেও
ছিন্নভিন্ন দেখার আগেই
মৃদু থেকে মৃদুতর …চোখের পাতায় স্পর্শচিহ্ন
অথবা তোমার পুরুষালী ঘাম …
না না জেনে নিও এ দোষ আমারই
হেমন্তের অকাল বৃষ্টি অথবা স্পর্ধা
চলে যেতে যেতে ঘুরপথে ফিরে পেতে চাওয়া
অনমনীয় … মাতাল বাতাস কিংবা
ভোরবেলার দুরন্ত ঘোড়সওয়ার আগ্রাসী তীব্রতা
কবে কখন কোথায় …তোমার দুরন্ত শ্বাস ?
নাকি পদ্মকলির নিবিড় আকর্ষণ ….
বুকের বাঁদিকে লাবডুব …মথিত চন্দন গন্ধ
হতেই পারে পাঁচশো বছর আগে
অথবা অযুত নিযুত বছর পার হয়ে আসা
অপরূপ রাতের খোঁজ …যুগান্তরেও
স্মিতলয়ে দ্রুতছন্দে শরীরে শরীর সমাপতন
সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে লুঠেরা চুম্বন
তোমাতেই বিমুগ্ধ হতে পারি …বর্ণে গন্ধে
মাঝে মাঝে চলো পাড়ি দিই এমন অতলান্তিক
স্হির জল , নীল নকশায় মধুবনি কথা …
কোনো কোনো বিকল্প বিকেলে
রোদরঙা আকাশ জুড়ে মায়া মায়া আলো …
জমাট মেঘেরা কখনো অগোছালো
কানায় কানায় ভরা নদী বেয়ে ফিরতে ফিরতেও
স্হির বসুধারা …দেয়ালের সাদাটে বিস্তারে স্হির, সিঁদুরে লালচে
নদীর দুপাড় বেয়ে পাকসাট, ফেনার মিশেলে জল , ঢেউ …আলেয়া
চেনারঙে আঁকা ছবি জুড়ে মেঘের পালক
বলেছি তো কতবার একটুকু শ্বাস দিও বুকের বাঁদিকে
ভেবেছি তো … চিবুকের নরম কিনারে বিদ্যুৎ নয়
উষ্ণতা খেলা করে …. কথোপকথনের উঠোনে দাওয়ায় শিশির
খাবার টেবিলে ,সেগুন চেয়ারে সুখ ছুঁয়ে থাকে …উপচোনো …
ঈর্ষা কাতরায় পড়শী দুচোখে, কালো রঙ
বাইরে রোদের পায়ে পৃথিবীটা হেঁটে হেঁটে ভুবন ভোলায় ….
গুহামুখে পাঠিয়েছ আহ্বান
শিকারীর তীর নাকি চূড়ান্ত সঙ্গম
বুঝিনি তখন ও
কুয়াশা বাতাসে কি যে ছিল
কি যে থাকে ….অলীক আবরণে
যদি রক্ত মুছে দিতে হয়
একটানা চুম্বন দিও ক্ষতমুখে
বাকিটা নতজানু অবাধ প্রশ্রয়…
ধুলো মাটি কারুছায়া …আহারে আমার
সাদাকালো একমুঠো বিরহী জীবন
সয় না সয়না আর এই বেঁচে থাকা
তুমি ও পড়ে নিও ….
আলোর কাছে থাকতে চেয়ে
কত নদী বয়ে গিয়েছিল ঝরনা ধারায়
পাহাড় পেরিয়ে, কুয়াশা সরিয়ে
ঝিকমিকে আলোয় হাঁটতে হাঁটতে
ডুব দিয়েছিল নোনা ঢেউ ও
সেইসব গাঢ় ছায়া ছায়া পথে
আমরা ফেলেছি পা
খানিক হেঁটেছি হাতে হাত …
আজ থাক রূপকথা মায়াবি সাঝবাতি…..
দেখতো ফিরতে পারি কি না
প্রবাসী মেঘ থেকে
খুঁজে নিতে পারি কিনা
অলৌকিক আলো … এই ঘোর জনাকীর্ণ আমূল প্রহরে ….
আষাঢ়ের মেঘ ছুঁয়ে রং লাগে কৃষ্ণ চূড়ায়
আলোর বাড়িতে কোন ঘর নেই
আছে কিছু নিজস্ব দেয়াল
জ্যোছনা এখানে দেয়ালেই কান পেতে রাখে
জীবন সহবাসহীন সঙ্গমে
ঢেউ তোলে জল আছড়ায় ….
কথকঠাকুরের একটানা গুনগুন …
দেয়ালের ওপারে পৌঁছোয়
খুব মাঝেমাঝে …
কিছুই চলে না কথামতো , পুরোনো চৌকাঠে জলছাপ
এবাড়ির নিকোনো উঠোনে পায়ের ছাপে ছাপে
বাতিল ঠিকানা লেখা চিঠির খাম আর অস্পষ্ট অক্ষর
এবাড়িতে ছাদ নেই কোন
চোখের নাগালে যতটুকু ধরে
সেসব কাহিনীচিত্র তারারাই লেখে …
জ্যোছনার শিরায় শিরায় আলোরঙ … মাঝেমাঝে মুছে যায়
এ বাড়িতে নদী নেই কোন …
চাঁদ জেগে থাকে অন্ধকারে ঘেমো পারাপারে
দেয়ালে আগুন সেজে ওঠে … সেতারের ঝালায় বৃষ্টি বন্দিশ
সিঁড়ির ফাটলে ভাঙাচোরা জ্যোৎস্না ঝলক
চুপিসাড়ে পড়ে থাকে গরবী নদীর মতো
দেয়ালের ওপারে বাতাস এভাবেও ঢেউ তোলে
এ উঠোনে, জানালার গোবরাটে … লাল ইটের খাজখোজে
হাওয়া জানে , কোন সুর বাজে দোতারায় … হৃদয়জমিনে
এবাড়ির সবটুকু ছায়া ঘিরে হৃদি জেগে ছিল একদিন
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..