আলোর মোশন

নীলিমা দেব

জুন 2019

ধারামুক্ত কবিতা

Bengali

যেভাবে লুট হয়ে যাচ্ছে আলো খেয়াল করলেই যেটুকু বাস্তব তারও বেশি ঘটে গ্যালো। সাদা চাঁদ দেয়ালে রাত ভাঙে। কিশোরকুমার এসে টিপে যায় ঘুমের পা। সারা শরীরে কাশ্মীর ফুটে উঠলেই কবিতার উপর উপুড় আকাশ আমাকে জাগরণ শেখায়। ভাবছি কিভাবে সাঁতার ছড়াবো বৈশাখের তীব্র শরতে। মিথ্যের গুজবে ভাসে জলের কঙ্কাল। অসমাপ্ত উৎসব জখম লিখে রাখে মায়ের বিশ্বাসে। মা জলজ শব্দে ইশারা করে ইশ্বরের পাপ। রসুন রসুন গন্ধে অর্গানিক রাত–ফায়ার ফায়ার ফায়ার! এভাবেই চাঁদের অন্ধকার কল্পনা সঞ্চয় করে নাদুসনুদুস। মাটির বাসরে আলো ঘাবড়ে গ্যালে ফ্যামিনিন হয়ে যায় বাকি রাত। হেঁয়ালি ছেড়ে বেহদ্দ বাতাস সারসের ডানায় টুকে যায় আমার ফেলে আসা বেলুনবেলা…

দুই.

নদীর ক্ষয়ের দিকে নৌকোর হুঁশ। মধ্যমায় পাশের নদীর ভেংচি। যাতায়াতের মাঝে থেমে থাকা গতির অভিমুখে আলোর লাফ আমাকে রক্তাক্ত করে। ঘুমের আদলে কান্না ঝুলে থাকে সাইকেলের প্যাডেলে। গোছগাছ শহর ভেতরে নিঃশ্বাস ফেলে গ্রামের মতো। হারিয়ে যাওয়া ঠিকানায় উসখুস যাপন জল থেকে তুলে আনে ছায়া ও শব্দ। চলে যাওয়া দেখে দেখে বড় হওয়া ফেরার কল্পনা অন্ধকার মেখে মেখে জল। নীল গিটারে সমাধিস্ত সূর্য চাঁদের ছায়া ফেলে গ্যালে রান্নাঘরে রেওয়াজ করে সেক্সস্পিয়ার। আমি নৌকা ঘুরাই আঁতুড়ঘরের মোড়ে…

তিন. 

বাগানে মেঘ জমে গ্যালে একলা হয়ে যায় আকাশ ও রবিঠাকুরের কনসার্ট। একপ্লেটে সংসার ও বাগানবিলাস। নরম হয়ে আসছে দরজা জানালার যা কিছু অন্তরঙ্গ। মাঝখানে সহজ দূরত্ব। অথচ যে সময় গুলি লুকানো ছিল তাতে আয়নার ছাপ পড়লে গেরুয়া হয়ে যায় ঘরের রং। সেতারের নীচে ডাকঘর। চিঠি আসে ভুল ঠিকানায়। শেষ লাইনে একটা নিঃশ্বাসের গন্ধ লেমন-রুটির মতো মমতা ছড়ালে আরধেক গঙ্গায় ফুটে থাকে হেমন্ত। ঘনঘন সিরাপ চিবোচ্ছে ভেতরবাড়ির শান্তিনিকেতন…

চার.

তোমার শুকনো বুকের জমিনে ঝুলছে মুরুগান টেম্পল। জলজ্যান্ত গোধূলির তাপে আলো শুকিয়ে গ্যালে তুমি মৃত্যু থেকে সঞ্চয় করো ঈদের জ্যোৎস্না। যুদ্ধের চেয়েও সমজদার সংগীত প্রার্থনা বুঝেনা বলেই কাবেরির জলে ধুয়ে যায় ত্রিকাল। একহাতে চাঁদ আরেক হাতে ছুরি নিয়ে বেহুদা কালচ্যার উপন্যাস বুনে শরীরের খোলা মাঠে। রিপিট শট ১ ২ ৩ …। আয়নার প্রতি পৃষ্ঠায় মৃত্যুর শব্দে বুনো ইতিহাস…

পাঁচ.

ঘর আসলে একটা সম্ভাবনা। পিয়ানোর ছত্রিশ মুখে আঘাত করি। প্রত্যেকটি গান ধরে –“নিজের পূর্ণ আকাশ হও”। অন্ধকারই ক্ষতের সেলাই। মাথার মিডল এ চাঁদ রাখি। ছটফট করে আয়ুর দোলনা। আসলে আলোর ট্রিক্স বলে কিছু হয়না। ধমনী খুঁড়ে পাঞ্চ করি ইশক। বেশক আলেয়া।কাছেই আপেলের মৃত্যু। রোজ উৎসর্গ পালন করে শূন্যতা জমাই প্রার্থনায়। হাতের জ্যা থেকে ছিটকে যায় অমাবস্যা। চাঁদে ফুঁ। জলের সহজ নিয়ে আরও একটা রোববার …