আলো কুটির

শ্বেতা সরকার
ছোটগল্প
Bengali
আলো কুটির

সাড়ে আটটার চড়া রোদ জানালা দিয়ে গায়ে পড়ে জুঁইয়ের ঘুম ভাঙিয়ে দিলো।পুরো সপ্তাহটা খুব ব্যস্ত ছিলো সে। নতুন ফ্ল্যাট পরিষ্কার করে মালপত্তর আর নতুন ফার্নিচার শিফট করতে করতেই সপ্তাহ শেষ। ঋতুকে দিয়ে মনের মত করে সাজিয়েছে ফ্লাটটাকে। ইন্টিরিওরের বিজনেসে ঋতু বেশ ভালোই চৌখশ হয়েছে। জুঁইয়ের পছন্দ মত টেরাকোটা আর মাটির শোপিস আর অনেক ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে ঘরগুলো। জুঁই তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে ঝুল বারান্দায় কফির কাপ হাতে দোলনায় বসলো। কাল থেকে কলেজ শুরু। আজ সিদ্ধ ভাত খেয়ে সারাদিন ল্যাদ খাবে।

“মেয়েকে অতো আস্কারা দিওনা বলছি, ভালো ঘর দেখে বিয়ে দিলাম, কোনকিছুর অভাব নেই, মাথায় ভীমরতি না ধরলে কেউ চাকরী করতে যায়? চাকরী করে তুই কটা টাকা পাবি শুনি, তার চেয়ে বেশী টাকা তো তোর আলমারিতে থাকে, আর ওই অতটুকু ছেলেটার কথাও ভাববিনা, কেমন পাষাণী মা তুই, কোথায় ছেলে নিয়েই এখন মেতে থাকবি তা না ড্যাং ডেঙিয়ে চললো চাকরী করতে। ভুত চেপেছে ওর মাথায়, ওকে পত্রপাঠ বিদেয় করো বলছি, আমি পারবোনা ওর জন্য ভাত রাঁধতে। “

রাগে ফেটে পড়েন মায়া।

মায়ার মুখে মুখ না নেড়ে দেবেনবাবু মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে থাকেন। দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত হয়ে বসে থাকা মেয়েকে নিচু গলায় বলেন,

“তোর যা মন চাইছে তাই কর মা, নিজের মত গুছিয়ে নে, আমি আর কটা দিন, মরার আগে যেন তোকে তোর মত করে বাঁচতে দেখতে পারি রে “

বাবার হাতের স্পর্শে চমকে উঠলো জুঁই। দোলনায় বসে বসে ঝিমুনি এসেছিলো। নতুন ফ্ল্যাটটা কেনার পর থেকেই বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। সামনের সপ্তাহে বাবাকে নিয়ে এসে রাখবে কদিন।

সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে দেখে প্রেসারে আলুসিদ্ধ ভাত বসিয়ে দিলো জুঁই। অন্য ওভেনে ডিমসিদ্ধ। তাড়াতাড়ি স্নান সেরে খেয়ে শুয়ে পড়লো। ক্লান্তিতে চোখে ঘুম জড়িয়ে এলো।

“আমাদের বাড়ির কোন বৌ মেয়ে চাকরী করেনা, কতবার বলতে হবে তোমায়, এতকাল বলেছো পড়াশোনা করতে চাও, যদিও সেটার ও দরকার ছিলোনা, সে যাকগে, পড়ার পাট তো শেষ হয়েছে, এবার ঘর সামলাও, ছেলে সামলাও, চাকরী করার কি দরকার পড়লো? “

গলা চড়ায় কৃশানু। জুঁই জানে বাড়ির বাকি সদস্যরা কান খাড়া করে আছে। ছোট ছেলে তার বৌকে কিভাবে শাসন করছে তা জানার জন্য। জুঁই স্পষ্ট জবাব দেয়,

“সব সামলেই তো কাজটা করছি, সংসারে কোন ত্রুটি তো করছিনা।”

“বাজে কথা বোলোনা। “

কৃশানু গলা তোলে।

“দুপুরে খাবার সময় কোথায় বাড়ির বৌ টেবিলের সামনে থাকবে, খাবার দেবে, তা না উনি তখন ছাত্র পড়াচ্ছেন আর বৌদিরা আমায় খাবার দিচ্ছে, বাচ্চাটার কথাও ভাবেনা।”

“ওই টুকু সময়ের জন্য একটা আয়া রাখলেই তো হয়, আমি তো রাখতে চাইছি, তাছাড়া বাড়িতে একগাদা লোক আছে, কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ।”

শান্ত স্থির গলায় জবাব দেয় জুঁই।

“মুখে মুখে তক্কো কোরোনাতো, এ বাড়ির বাচ্চা বড় হবে আয়ার কাছে আর বাচ্চার মা বাইরে ছেলে পড়াবে? “

ক্ষেপে ওঠে কৃশানু।

“ছেলেকে মানুষ করার ক্ষেত্রে আমার ভূমিকা আয়ার থেকে বেশী কিছু হবে কি? “

স্থির চোখে জানতে চায় জুঁই।

“নিজের পছন্দ মত কোন শিক্ষাই তো তাকে দিতে পারবোনা, শুধু নাওয়ানো খাওয়ানো ছাড়া। বাকি সব দায়িত্ব তো ভাড়া করা মাস্টার কেই দেওয়া হবে। “

“আলবাত তাই হবে, দুপাতা পড়েছো বলে ছেলে পড়ানোর দায়িত্ব তোমায় দিলে হয়েছে আরকি, আমার ছেলে মানুষ হবেনা, মাথায় যত বদ মেয়ের বুদ্ধি গজাবে , দেখো প্রতিদিন এই অশান্তি আমার ভালো লাগেনা, ঘরের বৌ ঘরের বৌয়ের মত থাকো, এটাই শেষবার বললাম, হয় চাকরী ছাড়বে নয় আমি তোমায় বাড়ি ছাড়া করবো, অমন উচ্ছন্নে যাওয়া মেয়েছেলের সংসারে কোন দরকার নেই। “

কৃশানুর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় জুঁইয়ের। সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। জুঁই তাড়াতাড়ি আলো জ্বালে। চোখে মুখে জল দিয়ে আদা দিয়ে চা বসায়। চা আর ক্রিমকেকার নিয়ে বারান্দায় আসে। দোলনাটা তার খুব প্রিয়। দুলতে দুলতে চারতলার ওপর থেকে আলোকিত শহর দেখে। চা শেষ করে দোলনায় এলিয়ে পড়ে জুঁই। আকাশের তারা দেখে। নাগরিক আলোয় খুব বেশী তারা দেখা যায়না। তবুও সন্ধ্যা তারাটা বেশ উজ্জ্বল। বেশ খানিকক্ষণ দোল খেয়ে আয়নার সামনে বসে জুঁই চুল বাঁধে। টেনে টেনে দুদিকে দুটো বিনুনি বাঁধা তার অভ্যাস। চুল বেঁধে আয়নার দিকে তাকায় সে। বারো বছর হয়ে গেলো। অনেক বড়ো হয়ে গেছে সে। ষোল বছরের জুঁই এখন আঠাশ বছরের পূর্ণ যুবতী। স্মৃতিতে এখনো ধূলো জমেনি। সেই ষোল বছর থেকে এক মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছে সে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

স্ত্রী মায়ার মুখের ওপর কোন কথা বলতে পারননি দেবেনবাবু। মায়ার বান্ধবীর আনা সম্বন্ধেই মাত্র ষোল বছর বয়সে স্টার লেটার নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করা মেধাবী জুঁইয়ের বিয়ে দিয়ে দেন সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের ছোট ছেলের সাথে। ষোল বছরের জুঁই আঠারো জনের পরিবারে ছোট বৌ হয়ে এলো। ঝি চাকরের অভাব ছিলোনা বাড়ীতে। সুখ স্বাচ্ছন্দ্যেরও অভাব ছিলোনা। কৃশানুকেও ভালো ছেলেই বলা চলে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই জুঁই বুঝলো, রান্নাবান্না ঘরগোছানো সিরিয়াল দেখা আর কৃশানুর মন মত শোয়া ছাড়া তার আর কোন অস্তিত্ব নেই। এই বাড়িতে সব কিছু উথলে পড়ে, শুধু উথলে পড়েনা শিক্ষা। জুঁই পড়তে ভীষণ ভালোবাসে।অসম্ভব মেধাবী জুঁই ক্লাসে কখনো দ্বিতীয় হয়নি। মনে মনে ঠিক করলো পড়া শুরু করবে। পুজোয় বাপের বাড়ি এসে বন্ধুদের সাহায্যে একাদশ শ্রেণীর বইখাতা কিনে ফেললো। তারপর স্কুলের স্যার ম্যাডামদের সাথে যোগাযোগ করে নতুন সেশনে ভর্তির দিন জানতে চাইলো। স্কুলের সেরা ছাত্রীকে ফিরে পেয়ে স্যার ম্যাডামেরা খুব খুশি হলেন। সব রকম সহযোগীতার আশ্বাস দিলেন। বন্ধুরা দিলো এগিয়ে যাওয়ার সাহস। ফর্ম ফিলআপের দিনও মিথ্যা অজুহাতে বাপের বাড়ি এসে কাজটা সারলো জুঁই। এবার মুখুজ্যে বাড়ীর সদস্যদের মুখোমুখি দাঁড়ানোর পালা। আগামী সপ্তাহ থেকে জুঁই স্কুলে যাবে একথা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় কৃশানু। আজন্ম রান্নাঘর বাচ্চা সামলানো সিরিয়াল দেখা আর বরের খাতির যত্ন করা মা মাসি বৌদিদের দেখে অভ্যস্ত কৃশানুর চোখ কান মাত্র সতেরো বছরের জুঁইয়ের স্পর্ধার থৈ খুঁজে পেলোনা কোনভাবেই। হতভম্ব ভাবটা কাটিয়ে উঠে বলে,

“বাড়ির বৌ পড়তে যাবে, সংসার ফেলে স্কুল করবে, পাঁচজনে কি বলবে, তাছাড়া কিসের অভাব, পড়তেই বা হবে কেন? “

“শুধু পড়তেই তো চেয়েছি।”

মাথা নিচু করে স্পষ্ট উত্তর দেয় জুঁই।

“পড়তে আমার খুব ভালো লাগে, রান্না করেই যাবো, দুপুরে তো কোন কাজ থাকেনা তখন স্কুল যাবো।”

“ওই জন্যই বলেছিলাম ঠাকুরপো “

পাশ থেকে গলা তোলে বড় বৌদি।

“তাড়াতাড়ি বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে নাও, কাজ তখন শেষই হবেনা, আমাদের তো বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ছেলে হলো, কিছু অসুবিধা হয়েছে কি, তুমিই দেরী করে যাচ্ছো। “

“ঠিকই বলেছো, দেরী করে ভুল করেছি দেখছি।”

অাক্ষেপ ঝরে পড়ে কৃশানুর গলায়।

“আঠারো বছর পার না হলে যদি আমি প্রেগনেন্ট হই তাহলে আমি থানায় যাবো, বলবো আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নাবালিকা বিয়ে করেছেন আপনারা।”

চোখ মেলে তাকায় জুঁই।

“আমি তো শুধু পড়তে চেয়েছি, সংসারের কোন অসুবিধা না করেই, আশাকরি আমি কি বলতে চেয়েছি বুঝতে পারছেন আপনারা”

শান্ত স্থির জবাব জুঁইয়ের।

মুখুজ্যে বাড়িতে তখন বাজ পড়েছে। এমন স্পর্ধা কেউ স্বপ্নে কল্পনা করেনি। সেই শুরু হলো এক অসম লড়াই।যতখানি আদর করে তাকে সংসারের কাজকর্ম শেখানো হয়েছিল ঠিক ততটাই অসহযোগিতা শুরু হলো। জুঁই বুঝেছিল ওই নাবালিকা বিবাহের জুজুই তার কাছে একমাত্র অস্ত্র।তাই সেই জুজুর ভয় দেখিয়েই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে চললো জুঁই।

কিন্তু সময় থেমে থাকেনা। বয়সও লক্ষণরেখা পেরিয়ে আসে। টেস্ট পরীক্ষার কয়েক মাস আগে বলপূর্বক পিতৃত্ব্য অর্জন করে কৃশানু। ফলস্বরূপ গা গোলানো মাথা ভার অরুচি শুরু হয় জুঁইএর। মুখুজ্যে পরিবার বেশ খুশি। এতদিনে ছোটছেলে কাজের কাজ করেছে। এবার ছেলে কোলে ছোটবৌ এর লেখা পড়া শিকেয় উঠবে। কিন্তু জেদ আর মেধা সম্বল করে জুঁই ক্লাসের সেরা হয়ে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়। দেবেনবাবু আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। আড়ালে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। কিন্তু মেয়ের সাফল্যে মা মায়ার কোন হেলদোল ছিলোনা।যেমন হেলদোল ছিলোনা মুখুজ্যে পরিবারের।কদিন পর জুঁই ছেলে সামলে আর যাই করুক কলেজ করতে পারবেনা এই খুশিতেই তারা মশগুল ছিলো।উনিশ বছরের দোরগোড়ায় জুঁই মা হলো। কিন্তু পড়া ছাড়লোনা। প্রাইভেটে পাশ করলো মাস্টারডিগ্রী। জুঁইয়ের মাতৃহৃদয় চেয়েছিলো নিজের অর্জিত শিক্ষার আলোয় মনের মত করে ছেলেকে মানুষ করবে। কিন্তু বাড়ীর বৌদের নাকি পড়ানোর কোন যোগ্যতা নেই। তাই বাড়ির অন্য বাচ্চাদের মতো ছেলের শিক্ষার ভার তুলে দেওয়া হলো ভাড়া করা প্রাইভেট টিউটরের হাতে। জুঁই তৈরি হয় নেট পরীক্ষার জন্য।

কলিং বেলের শব্দে বর্তমানে ফিরলো জুঁই। আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে অতীতে ডুব দিয়েছিলো সে।

“দিদি নেমপ্লেটটা লাগাবেন বলেছিলেন।”

হাসিমুখে বলে পল্টাই।

“হ্যাঁ রে দিচ্ছি ,মনে করে এসেছিস তাহলে, টাকাপয়সা গুলো কবে নিবি? “

নেম প্লেট এগিয়ে দেয় জুঁই।

“কাল বিকেলে এসে হিসাব করবো দিদি, আজ আর এক জায়গায় কাজ আছে গো। “

নিপুণ হাতে কাজ সারে পল্টন।

“দেখে নাও দিদি, আমি চললুম।”

জুঁই দরজার সামনে দাঁড়ায়।নেম প্লেটে লেখা…জে ব্যানার্জী, আলো কুটির। “আলো কুটির ” বাবা দেখলে খুব খুশি হবে। কৃশানু শেষ কথা বলে দেওয়ার পর বাপের বাড়ি ফিরে এসেছিলো জুঁই। কিন্তু মা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। একমাসের মধ্যে লেডিস মেসবাড়ী দেখে বাবাকে প্রণাম করে বেরিয়ে আসে জুঁই। অসহায় দেবেনবাবু মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন,

“বাবার বাড়িতে নয়রে মা তুই তোর নিজের বাড়িতে বাঁচিস, মাথা উঁচু করে। “

মুঠোফোনের ভাইব্রেশনের শব্দে দরজা বন্ধ করে ফোন ধরে জুঁই।

“হ্যালো “

“হ্যালো আন্টি, আজ সাতটার সময় চলে এসো, রিহার্সাল হবে আজ, স্যারও আসবে।”

কচি কন্ঠের কলতান ভেসে আসে।

“আন্টি আজ স্যার নাটকের স্ক্রিপ্ট দেবে গো, তাড়াতাড়ি এসো। “

পাশ থেকে আর এক মিঠে স্বর যোগদান করে।

“আচ্ছা আচ্ছা “

হেসে বলে জুঁই।

“আমি এখুনি আসছি। “

মিনিট পনেরোর মধ্যে জুঁই তিনতলা বাগান বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ায়। মোটা মাইনের চাকুরে উজান পিতৃপুরুষের বাড়ীটাতে প্রায় শ খানেক বাচ্চার হোম করেছে। অনাথ মেয়েদের সংখ্যাই বেশী।কাজের শেষে সন্ধ্যাবেলা জুঁইয়ের মত আরও চারজন বাচ্চাগুলোকে পড়াতে আসে। পড়ানোর সাথেসাথে নাচ গান আঁকা আবৃত্তি যে যেমন পারে তাও শেখানো হয়। এই হোমটা জুঁইয়ের কাছে প্রাণবায়ু। নিজের সমস্ত শিক্ষাটুকু ছোট ছোট কুঁড়ি গুলোর মধ্যে ভরে দিতে চায়। গেট খুলে ঢুকতে ঢুকতে জুঁই শোনে কচি কন্ঠের কলতান।

“হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর, হও উন্নত শির, নাহি ভয়… “

প্রার্থনা সঙ্গীত গাইছে ওরা। দরজা ঠেলে এক মমতাহীন উচ্ছন্নে যাওয়া পাষাণী মেয়ে ভিতরে ঢুকলো আরও অনেক আলোর চোখে “আলো কুটির ” এর স্বপ্ন এঁকে দেওয়ার লক্ষ্যে।

শ্বেতা সরকার। জন্ম ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি। স্থান, বাবার কর্মস্থল টিকিয়াপাড়া রেল কোয়াটার, হাওড়া,বাংলা, ভারত। পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে হাওড়া নরসিংহ কলেজ থেকে বায়ো-সায়েন্সে স্নাতক। ছোট বেলা থেকেই নাচ,গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফিতে ছিল শখ। বিবাহসূত্রে খড়্গপুরের বাসিন্দা। আঞ্চলিক...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ