যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
মৃত্যুকে যৌতুক জ্ঞানে
নিঃসংকোচ বিষের পেয়ালা
তুমি মুখে ধর। আর সভ্যতার সারা অঙ্গ
সে পাপে দগ্ধ হতে থাকে।
বাজা তোরা রাজা যায়-
এ শুনে আমরা বাজাই
নিজের মাথাকে করে ঢাক!
কবন্ধতো সে, বিদ্রোহ করে না
তাইতো শান্তি থাকে।
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা তবু হয়
অস্ত্রের গৌরবে।
তুমি পাহাড়ের কথা ভাবো,
আর আমি জল স্বভাবে।
পুড়ি,উড়ি,জমি, কখনো গড়াই।
তবু মৃত্তিকার ঘরে আমাদের চেনা জানা।
এক হই কিছু সময়,
ধরে রাখি গানে, কবিতা,গল্পে।
তুমি কী এসব ভেবেছ?
একটু অবুঝ-একটি বালিকা লতা
বৃক্ষের আশ্রয় চেয়েছিলে!
ঘন্টা বাজে দূরে কোথাও বনের মাঝে,
অথবা তা মনেই বাজে মেঘের স্বরে।
আবছা আলোয় দেখতে থাকি ঘর ও বাহির।
যেমন ছিল ছেলেবেলায় তাই কি আছে?
ভেজা মাটির গন্ধে ব্যাকুল বালক বেলা
খুঁজে বেড়াই আমের বনে জামের বনে।
কিন্তু বাবা বারণ করেন: ওরে যাসনে একা!
ওই ওখানেই অস্ত্র শানায় শয়তানেরা।
রক্ত লোলুপ রক্তবীজের বংশ ওরা,
অঙ্গে বারুদ মুখখানা তাও গামছা ঢাকা!
ভয় পাবোনা করবো লড়াই মুখোমুখি
যতই ভাবি ,সামনে আসেন মাসি পিসি!
সময়ের পালতোলা নৌকা
দুর্বার গতিতে চলছে,
কোন মাঝি হালধরে বসে তা?
আমাদের কোথা নিয়ে চলছে!
আমরা কি তার পর নির্ভর?
অথবা কোথাও নেই কর্তা!
আমাদের কর্মের ভারে
আমাদের নাওখান ডুবছে।
পাখি পড়া করছ, কর।
এদিকে মন পাখি যে উড়াল দিল
ধরবে তারে কে?
আলোর মাঝে ছায়ার নাচন
যে দেখেছে জানে,
ঘর ও বাহির যে একাকার
কখন ,কোন খানে?
থমকে থাকি
আবার ঘুঁরে দাঁড়াই।
আরশি জুড়ে খুঁজি
নিজের মুখই।
মুখোশ গুলো
যতই ছুড়ি দূরে,
মুখেই থাকে
হয়ে আসল মুখ!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..