দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
সন্ধ্যের দিকে মুরলী ধরে মনোহর–
চুপিচুপি নামছে পাহাড় ও ব্যক্তিগত নিশাচর। অনুভূমিক রেখায়…
নিচু নিসর্গের সমতল।
উঠে আসছে উচ্চকিত সুরে গ্রাম্য মাদল।
ভাঙা খঞ্জরের মত এভাবেই ভেঙে বসতে যদি বুকে…
যুক্তবর্ণ ভেঙে ভেঙে বলা নেপথ্যপ্রস্তাব
মেঘের ভিতরে বজ্রলীন প্রমাদ ভেঙে ভেঙে
সব ঘনঘটা এখনও
আমারই দিকে …
কেঁপে কেঁপে উঠি প্রথম শীতের মতই
যাবতীয় অভিমান ভেঙে চুরচুর হত যদি আসন্ন কুহু’তে
মুক্তির জাবেদা নিয়ে উড়ে যাওয়া অসংখ্য পাখ-পাখালি…
ম্যানগ্রোভের দিকে তাকালে
কেউ ঘাস কিংবা নদী
যেতে যেতে
চোখে চোখ রেখে লিখে যাও উড়ো লিপি
কথা নয় শব্দ নয়
দরজা খুলছিল ভয়।
সান্ধ্য রঙের
বাদলাগন্ধে কিছুটা ক্ষয়,
ক্ষতি নেই কিছু
বাতাসও মুগ্ধ কি মন্ত্রে
না মন্ত্রমুগ্ধতায় বিচরণ করছে জানলো না তো কেউ
বসন্ত এলে পরাজয়ের মরশুম…
ফাগুনে আগুন মুঠোয় ভরাবে কে?
যদি সুগন্ধবাহিত হয়ে আসে বাতাসে নতুন সংক্রমণ?
যদি নোঙর-ছেঁড়া বৃষ্টির মোহ ও ছটায়
প্রকাশঅক্ষম জমিনে লতিয়ে
উঠে পিয়াসী সূর্যমুখীর বীজ
যদি মোহর ভাঙে টিনের চালা বৃষ্টিপাতের শব্দে…
জেগে জেগে শুনবে অনেকে
সুরার পরিবর্তে অতীন্দ্রিয় সে সুর
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..