শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আখড়া
বিড়িও নিজের মতো আখড়া খুঁজে নেয়
ধোঁয়াকার হয়
ভাতের গন্ধ যখন আকাশে উড়ে যায়
ক্ষিদের আয়োজন
খোল করতাল বাজিয়ে
নদীতীরে মোহানা খুলেছে
তার পাশে
অগ্নিজ্বলে
ধিকি ধিকি সরে যায়
ধোঁয়া ওড়ে আসমান জমিন
সকালে পাথর বাটি
কুমির তুলেছে খালকেটে
এক নৌকো থেকে অন্য নৌকায়
আসা যাওয়ার গান
ভোরাই এখানে এসে চুপটি হয়েছে।
আয়না নামক দ্বিতীয় কবিতা
আয়নার থাকে অস্পষ্ট ইঙ্গিত
সে আমাকে প্রত্যেক বার উল্টো আচরণ ফিরিয়ে
দেয়
প্রেমিকের মতো
চুল আঁচড়ে নিই
কাকের বাসায় এসে বসে কোকিল
সেই মাহেন্দ্রক্ষণে
প্রেমের নীরব ভাষা আছড়ে
পরে ব্যার্থ উপত্যকায়
মিথের ঘোড়া
সেন্টর আর মিথের যত ঘোড়া
থিতু হয়
বর্ষাফলক নিয়ে আশমানে দাঁড়ায়
অলৌকিক আদেশের অপেক্ষায়
মেলায় আসা মেয়েদের ঘামের ঘ্রাণ খুঁজে পাই
এমন সন্ধ্যায়
তানপ্রধান ছন্দে
জ্যোৎস্নায়
মনে পড়ে অনেকদিন আগে
কীত্তন শুনে ফিরেছি মধ্যরাতে
আখড়ায় তৃতীয় দিন,মধ্যরাতে
খোল শুয়ে আছে পুরোনো
আখড়ায়
আগুন ফুটছে
জল গরম হচ্ছে
পাথর থেকে খুলে আসছে
চাঙড়
মাঝরাতে উনুন ঘিরে
খিদের উৎসব
টুনিবালবের ভেতর থেকে
ঝরে পড়ছে ঐশ্বরিক আলো
আখড়া থেকে ফেরার পর
ঘুম আসেনা
বান্ধবীর দোপাট্টার গন্ধে বিভোর হয়ে আছি
শেষরাত
কত পুরোনো কথা মনে পড়ছে
তোমাকে না পেয়েও কত পাওয়া হল
জীবন ফুরিয়ে এলো ব্রাদার
অথচ রাত শেষ হচ্ছে না আর
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..