দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বানান ভুলে যাই
সহস্র ধর্ষণে
কে জানত তুই, সামান্য লোভে তছনছ করবি
আবহমান শব
পানের বাটা আর তার একরত্তি জরদায়
ডুবে যা, সব ছেনালি পুরুষেরা
ঠিক ততটা সুযোগ পাইনি কখনো
নাহলে জন্ম দিতাম সাতশো সেনার দল
একে একে মেরে ফেলতাম তোকে
(-তোকে ভালবাসার দাম মেটাবো আমি-)
বাবু হয়ে খুলে বসলাম হিসেবের খাতা
পালিয়ে যা বসার ঘরে
সেখানে জেঠিমারা সব কাঁদছে আজও
পারলেও জপাতে পারিস এখনো
তবে তোর কোলে চড়েই একদিন ছুঁড়ে দেব
অযত্নের বিরাটত্ব!!
কোন উত্তাপ নেই গোপন রুমালে
কোন উত্তাপ নেই গোপন রুমালে
অন্ধকার সাক্ষ্য দেবে।
তোমার ফিরিয়ে দেওয়া মাটি
অবচেতনের পালিশে
জলপ্রপাতের শব্দের মতো আছড়ে পড়েছে।
তোমাকে হঠাৎ করে দেখলে
মফসসলের মনে হয় বটে।
তবু তুমিই তো পারো আমার মতো
মেয়ের সঙ্গে নদী পাড়ি দিতে।
তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি বহুদিন
শুকনো ঠোঁটে, আর,
বর্ষামঙ্গল শুনেছি গর্ভবতী চাষি বউদের।
কিন্তু তুমি তো তখন রূপান্তরিত জীবনচক্রে
ভেজা চুলে পাশ ফিরে শোও
ভয়ে কাঁটা বউয়ের পাশে।
আর যাই হোক, আমি তোমার পুরোনো
চিঠির তলব চাইব না।
তবু যদি পারো, জলহাতে একদিন
উদ্ধার কোরো এ বিষণ্ণ মেয়েকে।
(আমার প্রশ্নের উত্তর দিলে সমস্ত যুবতী আশ্লেষে জড়িয়ে ধরবে অবশিষ্ট-পাশবালিশ।)
১. আমার প্রশ্নের উত্তর দিলে
সমস্ত যুবতী আশ্লেষে জড়িয়ে ধরবে পাশবালিশ!!
২. যদি তুমি আমাকে মৃত ময়ূরের গল্প বল,
তবে আমি মন্দ হতে পারি।
যে কোনো দামেই হোক,
তোমাকে কিনে দেব তোমার ছাদের কোণের
এক টুকরো।
কুমোর বসাবো আর চাক তোলামেটেরঙে
এঁকে দেব ফিরোজা রঙের প্রজাপতি।
তখন কিন্তু আমি কাঁদবনা যখন তখন,
নীচু নীচু চৌকিতে নিমের বাতাস মেখে
লিখে দেব সর্বনেশে স্নানের কবিতা
৩. ওর স্পর্শাতীত শীৎকার শুনেছ?
আরে দেখনি বলদের কামাতুর চোখ
ওফ কী অদ্ভুত তুমি!
এত সহজে পার কর দিলে তিরিশের চোরাস্রোত।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..